মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বালিয়াকান্দিতে জমির ভুয়া কাগজ তৈরি করে মালিককে হয়রানির অভিযোগ 

মেহেদী হাসান, রাজবাড়ী প্রতিনিধি

রাজবাড়ী বালিয়াকান্দিতে জমির ভুয়া কাগজ তৈরি করে জমির মালিককে হয়রানির অভিযোগ উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের ইলিশকোল গ্রামের মৃত জমারত আলী মন্ডলের ছেলে, মো আকমল হোসেনের বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী মো.  কাজেম আলী মন্ডল জানান,  আমার পিতা মৃত ইদ্রিস মন্ডল বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের ইলিশকোল মৌজার এস.এ ৩০ নং খতিয়ানের  ৪ ও  ৪/১২৭২, নং দাগ এবং ৪নং ক্ষতিয়ানের ৩ নং দাগে, মোট ১৬১ শতক জমি ক্রয়করে, ১৫।৬।১৯৭৫ ইং সনে নামজারি পূর্বক জমি ভোগদখলে থাকে। পরবর্তীতে ১৯৮৮ সালে  ১৬১ শতক জমি তিনি আমার নামে দলিল করে দেয়। জমিটা ৩ দাগে থাকে
১৯৯০সালে বিএস এ গিয়ে এই ৩ দাগ ভেঙে ১ দাগ হয়। ওই জমির ১০ শতক রাস্তায় কেটে যায়  এবং ১১১ শতক জমি আমার নামে রেকর্ড হয় বাকি ৪০ শতক জমি ভিপিতে গেলে আমরা ভিপি কাটিয়ে ২৮।২।২০২১ ইং সনে  আমার নামে রেকর্ড হয়।
কিন্তু মো. আকমল হোসেন  তার মৃত মায়ের নাম ব্যবহার করে কিছু,জাল কাগজ তৈরি করে ২০২১ সালে নামজারি কৃত ৪০ শতক এসম্পদের দাবি করে এবং ওই কাগজ নিয়ে ভূমি অফিসে গিয়ে খজনা/দাখিলা আবেদন করলে তার আবেদন খারিজ হয়ে যায়।
মুলত ,সে দাবি করে ১৯৫৪ সালে তার মা নিলামে জমি ক্রয় করে মালিকানা লাভ করছে তাহলে পরবর্তীতে ১৯৬২ সালে এস এ রেকর্ড হলো তাদের নামে কেন হলো না? পরবর্তীতে বি এস রেকর্ড কেন আমাদের নামে হলো? পর পর দুইটি (এসএ ও বিএস রেকর্ড)  তাদের নামে না হওয়ার জন্য কেন আদালতে মামলা করে নি? কারন তার বৈধ কোন কাগজ পত্র নাই, কখনোই সম্পত্তিতে তারা ভোগ দখলে ছিল না। ইতিপূর্বে বালিয়াকান্দি সহকারী কমিশনার ভূমি দপ্তরে এসি(এল)-১৩-১৮/১৭-১৮) নং মিস কেস রুজু করে। পরবর্তীতে মিসকেস নথিটি  অধিক যাচাই বাছাইয়ের জন্য অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এর আদালত নোটিশ করে সকল পক্ষের শুনানি গ্রহন করা হয় এবং কাগজ পত্র বিশ্লেষণ করে নথিটি নিম্ন আদালতে ফেরত পাঠালে তার মিস কেস আবেদনটি খারিজ করে দেয়। কোন উপায় না পেয়ে গত ৭।৭।২০২৫ এ মো.  আকমল হোসেন  আবারও মিস কেস করেন।
সকল বৈধ কাগজপত্র আমার আছে এবং শুরু থেকে আমি এই জমির ভোগ দখল থাকা সত্বেও  এই আকমল হোসেন ভুয়া কাগজ তৈরি করে জমি দাবি করে, বার বার আমাকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে। আমি আইনের প্রতিশ্রদ্ধাশীল আশা করছি ন্যায় বিচার পাবো। এই হয়রারিন প্রতিবাদে তার বিরুদ্ধে আমি আইনগত ব্যবস্থা নিব।
স্থানীয় ইলিশকোল গ্রামের হাবিব ক্যাশিয়ার বলেন, এই আকমল হোসেন অত্যান্ত ধুরন্দর ব্যক্তি।  আওয়ামী লীগ ক্ষমতা থাকাকালীন সময়ে সে ক্ষমতার অপ ব্যবহার করে অনেক  মানুষকে হয়রানি করেছে। মধুপুরের এর ইসলাম মন্ডল বলেন এই আকমল ভূমি দস্যু যখন আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় ছিল তখোন দলীয় প্রভাব বিস্তার করে জমি দখল, সালিশ, মামলা বানিজ্য করেছে এলাকায় ওনাকে ভূমি দস্যু বলে সবাই। কাজেম মন্ডল ছারাও বহু মানুষকে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে হযরানি করেছে।
জনপ্রিয়

আকাশে ইতিহাস রচনা করলো তুরস্ক

বালিয়াকান্দিতে জমির ভুয়া কাগজ তৈরি করে মালিককে হয়রানির অভিযোগ 

প্রকাশের সময় : ০১:৩০:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫

মেহেদী হাসান, রাজবাড়ী প্রতিনিধি

রাজবাড়ী বালিয়াকান্দিতে জমির ভুয়া কাগজ তৈরি করে জমির মালিককে হয়রানির অভিযোগ উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের ইলিশকোল গ্রামের মৃত জমারত আলী মন্ডলের ছেলে, মো আকমল হোসেনের বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী মো.  কাজেম আলী মন্ডল জানান,  আমার পিতা মৃত ইদ্রিস মন্ডল বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের ইলিশকোল মৌজার এস.এ ৩০ নং খতিয়ানের  ৪ ও  ৪/১২৭২, নং দাগ এবং ৪নং ক্ষতিয়ানের ৩ নং দাগে, মোট ১৬১ শতক জমি ক্রয়করে, ১৫।৬।১৯৭৫ ইং সনে নামজারি পূর্বক জমি ভোগদখলে থাকে। পরবর্তীতে ১৯৮৮ সালে  ১৬১ শতক জমি তিনি আমার নামে দলিল করে দেয়। জমিটা ৩ দাগে থাকে
১৯৯০সালে বিএস এ গিয়ে এই ৩ দাগ ভেঙে ১ দাগ হয়। ওই জমির ১০ শতক রাস্তায় কেটে যায়  এবং ১১১ শতক জমি আমার নামে রেকর্ড হয় বাকি ৪০ শতক জমি ভিপিতে গেলে আমরা ভিপি কাটিয়ে ২৮।২।২০২১ ইং সনে  আমার নামে রেকর্ড হয়।
কিন্তু মো. আকমল হোসেন  তার মৃত মায়ের নাম ব্যবহার করে কিছু,জাল কাগজ তৈরি করে ২০২১ সালে নামজারি কৃত ৪০ শতক এসম্পদের দাবি করে এবং ওই কাগজ নিয়ে ভূমি অফিসে গিয়ে খজনা/দাখিলা আবেদন করলে তার আবেদন খারিজ হয়ে যায়।
মুলত ,সে দাবি করে ১৯৫৪ সালে তার মা নিলামে জমি ক্রয় করে মালিকানা লাভ করছে তাহলে পরবর্তীতে ১৯৬২ সালে এস এ রেকর্ড হলো তাদের নামে কেন হলো না? পরবর্তীতে বি এস রেকর্ড কেন আমাদের নামে হলো? পর পর দুইটি (এসএ ও বিএস রেকর্ড)  তাদের নামে না হওয়ার জন্য কেন আদালতে মামলা করে নি? কারন তার বৈধ কোন কাগজ পত্র নাই, কখনোই সম্পত্তিতে তারা ভোগ দখলে ছিল না। ইতিপূর্বে বালিয়াকান্দি সহকারী কমিশনার ভূমি দপ্তরে এসি(এল)-১৩-১৮/১৭-১৮) নং মিস কেস রুজু করে। পরবর্তীতে মিসকেস নথিটি  অধিক যাচাই বাছাইয়ের জন্য অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এর আদালত নোটিশ করে সকল পক্ষের শুনানি গ্রহন করা হয় এবং কাগজ পত্র বিশ্লেষণ করে নথিটি নিম্ন আদালতে ফেরত পাঠালে তার মিস কেস আবেদনটি খারিজ করে দেয়। কোন উপায় না পেয়ে গত ৭।৭।২০২৫ এ মো.  আকমল হোসেন  আবারও মিস কেস করেন।
সকল বৈধ কাগজপত্র আমার আছে এবং শুরু থেকে আমি এই জমির ভোগ দখল থাকা সত্বেও  এই আকমল হোসেন ভুয়া কাগজ তৈরি করে জমি দাবি করে, বার বার আমাকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে। আমি আইনের প্রতিশ্রদ্ধাশীল আশা করছি ন্যায় বিচার পাবো। এই হয়রারিন প্রতিবাদে তার বিরুদ্ধে আমি আইনগত ব্যবস্থা নিব।
স্থানীয় ইলিশকোল গ্রামের হাবিব ক্যাশিয়ার বলেন, এই আকমল হোসেন অত্যান্ত ধুরন্দর ব্যক্তি।  আওয়ামী লীগ ক্ষমতা থাকাকালীন সময়ে সে ক্ষমতার অপ ব্যবহার করে অনেক  মানুষকে হয়রানি করেছে। মধুপুরের এর ইসলাম মন্ডল বলেন এই আকমল ভূমি দস্যু যখন আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় ছিল তখোন দলীয় প্রভাব বিস্তার করে জমি দখল, সালিশ, মামলা বানিজ্য করেছে এলাকায় ওনাকে ভূমি দস্যু বলে সবাই। কাজেম মন্ডল ছারাও বহু মানুষকে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে হযরানি করেছে।