মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যুদ্ধের প্রস্তুতি:-ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা বৃদ্ধি করছে ভারত

শুধু পাকিস্তানই নয়, চীনকেও সতর্ক করতে ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা বৃদ্ধি করছে ভারত। সম্প্রতি অগ্নি-ফাইভ মিসাইলের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে দেশটি। ইসলামাবাদের রকেট ফোর্স ইউনিট গঠনের পরপরই অগ্নি ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায় দিল্লি। তারই প্রেক্ষিতে বিশ্লেষকরা বলছেন, পাকিস্তানের পাশাপাশি চীনের গুরুত্বপূর্ণ সব শহরে হামলার জন্য মিসাইলের সক্ষমতা বৃদ্ধি করছে ভারত।

গেল ২০ আগস্ট অগ্নি ব্যালিস্টিক মিসাইলের সফল উৎক্ষেপন চালায় ভারত। অগ্নি সিরিজের ৫ম সংযোজন এই ক্ষেপণাস্ত্রটি। দৈর্ঘে ১৭ মিটারেরও বেশি এই ক্ষেপণাস্ত্রের ওজন ৫০ হাজার কেজি। যা ১ হাজার কেজি ওজনের ওয়্যরহেড বহনে সক্ষম। ঘণ্টায় প্রায় ৩০ হাজার কিলোমিটার গতিতে ছুটে ৫ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে এ ক্ষেপণাস্ত্রটি।

পাকিস্তানের নতুন সামরিক ইউনিট ‘আর্মি রকেট ফোর্স কমান্ড’- এর ঘোষণার কয়েকদিন পরই অগ্নি ফাইভ উৎক্ষেপণ করে ভারত। আপাতদৃষ্টিতে চিরবৈরী পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি বার্তা দিতেই ভারত এ পদক্ষেপ নিয়েছে বলে মনে হলেও বিশ্লেষকরা বলছেন ভিন্ন কথা।

ধারণা করা হচ্ছে, শুধু পাকিস্তান নয়, আরেক প্রতিবেশী চীনকেও সতর্ক করতে এ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা ভারতের। সীমান্ত নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই উত্তেজনা চলছে ভারত-চীনের মধ্যে। তাই বেইজিংকে চোখরাঙানি দিতেই এমন উদ্যোগ দিল্লির।

যুক্তরাষ্ট্রের অ্যালবানি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ক্রিস্টোফার ক্ল্যারি বলেন, পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি দিলেও ভারতে অগ্নি ফাইভ এর মূল টার্গেট চীন। দেশটির পূর্ব উপকূল, বিশেষ করে যেখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলো রয়েছে সেখানে আঘাত হানতে দীর্ঘ-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র প্রয়োজন ভারতের।

এদিকে, অপারেশন সিন্দুরকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট যুদ্ধের প্রেক্ষিতে রকেট ফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান। ধারণা করা হচ্ছে, চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির রকেট ফোর্সের আদলে তৈরি করা হবে এ সামরিক বাহিনীর এ ইউনিট। যাদের কাজ হবে ব্যালিস্টিক, হাইপারসোনিক ও ক্রুজ মিসাইলের পাশাপাশি বিভিন্ন পাল্লার রকেটের তদারকি করা। যা পাকিস্তানের সামরিক নীতিতে লক্ষ্যনীয় পরিবর্তন নিয়ে আসবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

জনপ্রিয়

বাংলাদেশ-কোরিয়া উন্নয়ন সহযোগিতা আরও জোরদার করতে চায়

যুদ্ধের প্রস্তুতি:-ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা বৃদ্ধি করছে ভারত

প্রকাশের সময় : ১১:০১:৩৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৫

শুধু পাকিস্তানই নয়, চীনকেও সতর্ক করতে ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা বৃদ্ধি করছে ভারত। সম্প্রতি অগ্নি-ফাইভ মিসাইলের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে দেশটি। ইসলামাবাদের রকেট ফোর্স ইউনিট গঠনের পরপরই অগ্নি ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায় দিল্লি। তারই প্রেক্ষিতে বিশ্লেষকরা বলছেন, পাকিস্তানের পাশাপাশি চীনের গুরুত্বপূর্ণ সব শহরে হামলার জন্য মিসাইলের সক্ষমতা বৃদ্ধি করছে ভারত।

গেল ২০ আগস্ট অগ্নি ব্যালিস্টিক মিসাইলের সফল উৎক্ষেপন চালায় ভারত। অগ্নি সিরিজের ৫ম সংযোজন এই ক্ষেপণাস্ত্রটি। দৈর্ঘে ১৭ মিটারেরও বেশি এই ক্ষেপণাস্ত্রের ওজন ৫০ হাজার কেজি। যা ১ হাজার কেজি ওজনের ওয়্যরহেড বহনে সক্ষম। ঘণ্টায় প্রায় ৩০ হাজার কিলোমিটার গতিতে ছুটে ৫ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে এ ক্ষেপণাস্ত্রটি।

পাকিস্তানের নতুন সামরিক ইউনিট ‘আর্মি রকেট ফোর্স কমান্ড’- এর ঘোষণার কয়েকদিন পরই অগ্নি ফাইভ উৎক্ষেপণ করে ভারত। আপাতদৃষ্টিতে চিরবৈরী পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি বার্তা দিতেই ভারত এ পদক্ষেপ নিয়েছে বলে মনে হলেও বিশ্লেষকরা বলছেন ভিন্ন কথা।

ধারণা করা হচ্ছে, শুধু পাকিস্তান নয়, আরেক প্রতিবেশী চীনকেও সতর্ক করতে এ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা ভারতের। সীমান্ত নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই উত্তেজনা চলছে ভারত-চীনের মধ্যে। তাই বেইজিংকে চোখরাঙানি দিতেই এমন উদ্যোগ দিল্লির।

যুক্তরাষ্ট্রের অ্যালবানি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ক্রিস্টোফার ক্ল্যারি বলেন, পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি দিলেও ভারতে অগ্নি ফাইভ এর মূল টার্গেট চীন। দেশটির পূর্ব উপকূল, বিশেষ করে যেখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলো রয়েছে সেখানে আঘাত হানতে দীর্ঘ-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র প্রয়োজন ভারতের।

এদিকে, অপারেশন সিন্দুরকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট যুদ্ধের প্রেক্ষিতে রকেট ফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান। ধারণা করা হচ্ছে, চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির রকেট ফোর্সের আদলে তৈরি করা হবে এ সামরিক বাহিনীর এ ইউনিট। যাদের কাজ হবে ব্যালিস্টিক, হাইপারসোনিক ও ক্রুজ মিসাইলের পাশাপাশি বিভিন্ন পাল্লার রকেটের তদারকি করা। যা পাকিস্তানের সামরিক নীতিতে লক্ষ্যনীয় পরিবর্তন নিয়ে আসবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।