
শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি:
বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সংকট ও জরাজীর্ণ ভবনের কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ রোগীরা। প্রতিদিন চিকিৎসা নিতে শত শত মানুষ এ হাসপাতালে আসলেও চিকিৎসকের অভাব, যন্ত্রপাতি বিকল থাকা এবং অবকাঠামোগত দুর্বলতায় ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে অনুমোদিত ১৯ জন চিকিৎসকের মধ্যে ১১ জন এখনো যোগদান করেননি। বাকি ৮টি পদের মধ্যে ৪টিই দীর্ঘদিন ধরে শূন্য। চিকিৎসকের পাশাপাশি নার্স ও তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরও তীব্র সংকট রয়েছে।
অন্যদিকে হাসপাতালটির ভবনে দেখা দিয়েছে বড় বড় ফাটল। রোগী ও তাদের স্বজনরা প্রতিনিয়তই ঝুঁকির মধ্যে চিকিৎসা নিতে বাধ্য হচ্ছেন।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা একাধিক রোগী অভিযোগ করেন, প্রয়োজনীয় চিকিৎসক না থাকায় তারা প্রত্যাশিত সেবা পাচ্ছেন না। ফলে গরিব রোগীরা চিকিৎসা বঞ্চিত হচ্ছেন এবং অনেককে হতাশ হয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে।
শরণখোলা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেন মিলন বলেন, “এ হাসপাতালে প্রতিদিন ৩০০’রও বেশি রোগী চিকিৎসা নিতে আসে। কিন্তু চিকিৎসক সংকট ও বিকল যন্ত্রপাতির কারণে তারা সঠিক সেবা পাচ্ছেন না। তাছাড়া জরাজীর্ণ ভবনটিও রোগীদের জন্য বড় ঝুঁকি তৈরি করেছে।”
হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা এক নার্স জানান, “৫০ শয্যার হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ৮০-৯০ জন রোগী ভর্তি থাকে। কিন্তু জনবল কম থাকায় আমাদের হিমশিম খেতে হয়।”
এ বিষয়ে শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা প্রিয় গোপাল বিশ্বাস বলেন, “অবকাঠামোগত সমস্যা ও জনবল সংকটের বিষয়টি বহুবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও সমাধান আসেনি। বর্তমান ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।”
স্থানীয়রা দ্রুত চিকিৎসক নিয়োগ, যন্ত্রপাতি সংস্কার এবং হাসপাতালের নতুন ভবন নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।
শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি: 







































