
মেহেদী হাসান, রাজবাড়ী প্রতিনিধি
রাজবাড়ী জেলার পাংশা পৌরসভার মাগুড়াডাঙ্গী গ্রামে মায়ের সম্পত্তি প্রতারণার মাধ্যমে নিজের নামে করে বিক্রি ও নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ছেলে খোন্দকার ফজলে রাব্বী সাগর ও তার স্ত্রী শারমিন সুলতানা মুন্নির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মা ফিরোজা খোন্দকার বর্তমানে দিশেহারা হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।
অভিযোগে জানা গেছে, ফিরোজা খোন্দকারের নামে থাকা প্রায় ৪৩.৫০ শতাংশ জমি প্রতারণার মাধ্যমে ছেলে সাগর নিজের নামে লিখিয়ে নেন। এরপর ওই জমি বিভিন্ন সময়ে একাধিক ব্যক্তির কাছে বিক্রির চেষ্টা চালান। প্রাথমিকভাবে কয়েকজনের কাছ থেকে বায়না বাবদ টাকা নিলেও পরে সেগুলো বাতিল হয়ে যায়। সর্বশেষ তিনি পাংশার কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যবসায়ীর কাছে প্রায় ১০ কোটি টাকার বাড়ি দেড় কোটি টাকায় বিক্রি করেছেন বলে অভিযোগ করেন ফিরোজা খোন্দকার।
ভুক্তভোগী ফিরোজা খোন্দকার বলেন, “এ জমি আমার। আমি ছাড়া কেউ বিক্রি করতে পারবে না। আমার সাথে প্রতারণা করে জমির দলিল করেছে। আদালতে আমি মামলা করেছি। জেনে বুঝে যদি কেউ এ জমি কেনে, সে ঠকবে এবং কখনো জমি পাবে না।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, ছেলে ও পুত্রবধূ তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন এবং শেষ পর্যন্ত বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছেন। এ সময় বসতবাড়ির ঘর ভেঙে বিক্রি করা হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।
স্থানীয় ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী আবু সায়েম বলেন, সাগরের স্ত্রী মুন্নি তার কাছে সাড়ে তিন লাখ টাকায় পাঁচটি ঘর বিক্রি করেছেন। তিনি জানান, জমিটি সবুজ সরদার নামে এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি হয়েছে বলে শুনেছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত খোন্দকার ফজলে রাব্বী সাগর ও তার স্ত্রী শারমিন সুলতানা মুন্নির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।
ফিরোজা খোন্দকারের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল কাইয়ুম বলেন, আদালতে মামলা চলমান থাকাবস্থায় এই জমি বিক্রি বেআইনি। আমরা ন্যায়বিচারের প্রত্যাশা করছি।”আগামী ২৫ তারিখ এর মামলার পরবর্তী তারিখ।
পাংশা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে ফোর্স পাঠিয়েছে। আদালতের নির্দেশনা পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মেহেদী হাসান, রাজবাড়ী প্রতিনিধি 







































