বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাঙ্গালহালিয়াতে অভিভাবক সমাবেশ

মিন্টু কান্তি নাথ
মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম’ ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন একটি প্রকল্প। বর্তমানে প্রকল্পটির ৬ষ্ঠ পর্যায় চলমান। প্রাক-প্রাথমিক, ধর্মীয় শিক্ষা (শিশু) এবং ধর্মীয় শিক্ষা (বয়স্ক) শিক্ষাকেন্দ্রের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা প্রকল্পের প্রধান কাজ।
আজ ১১সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার রাঙ্গামাটি রাজস্থলী উপজেলার বাঙ্গালহালিয়া শ্রী শ্রী দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দির,কুতুরিয়া পাড়া শিব মন্দির ও ছাগল খাইয়া কৃষ্ণ মন্দিরে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম ৬ষ্ঠ পর্যায় কেন্দ্র শিক্ষক কর্তৃক আয়োজিত প্রাক-প্রাথমিক ও ধর্মীয় শিক্ষা শিশু অভিভাবক সমাবেশ ২০২৬ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান ধর্মীয় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের মনোনীত রাজস্থলী উপজেলা প্রতিনিধি এবং বাঙ্গালহালিয়া সনাতন ঋষি আশ্রমের(প্রতিষ্ঠাতা)মঠ অধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী সনাতন ঋষি মহারাজ,শ্রী শ্রী শিব মন্দির পরিচালনা কমিটির প্রধান উপদেষ্টা পুলক চৌধুরী,উপদেষ্টা অরুণ চৌধুরী,সোনারাম বিশ্বাস,বসন্ত দাশ। শ্রী শ্রী দক্ষিণেশ্বর কালীমন্দিরের উপদেষ্টা বিমন দেব,সভাপতি বিশ্বনাথ চৌধুরী,বাবু প্রিয়লাল দত্ত। শ্রী শ্রী শিব মন্দির সমাজ পরিচালনা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটি সদস্য জিকু কুমার দে,সাবেক ইউপি সদস্য সহিদুল ইসলাম, সাংবাদিক মিন্টু কান্তি নাথ,গীতা শিক্ষক শিক্ষক উজ্জ্বল দেব,সুব্রত দে,ধর্মীয় শিক্ষা ও প্রাক প্রাথমিক শিক্ষিকা প্রিয়া দাশ, রত্মা দাশ,সোমা চৌধুরী ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহ ছাত্র-ছাত্রীদের পিতা-মাতারা উপস্থিত ছিলেন।
ধর্মীয় শ্রী গুরু শ্রীমৎ স্বামী সনাতন ঋষি মহারাজ বলেন,আপনাদের ছেলে সন্তানদের অবশ্যই নৈতিক শিক্ষা দিতে গীতা স্কুলে পাঠাবেন। এই স্কুলগুলোতে ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা দেওয়ার মাধ্যমে শিশুদের একটি সঠিক ও সুশৃঙ্খল জীবন ধারণের পদ্ধতি শেখানো হয়। যা তাদের ধর্মীয় এবং নৈতিক মান বজায় রাখতে সাহায্য করে।
বাঙ্গালহালিয়া কুতুরিয়া পাড়া শিব মন্দিরের গীতা স্কুলে পড়ুয়া এক ছাত্রের মা প্রিয়াঙ্কা দেবী অভিভাবক হিসেবে বলেন,এই মন্দিরের গীতা শিক্ষক উজ্জ্বল দেব ও প্রাক প্রাথমিক শিক্ষিকা প্রিয়া দাশ,কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের যেভাবে আদর যত্ন করে ধর্মীয় শিক্ষা গুলো দিয়ে থাকেন। আমি একান্তভাবে কৃতজ্ঞ প্রকাশ করছি আপনাদের। আপনাদের সুশিক্ষায় আজ আমার ছেলে মেয়ে,কিছু মাত্র হলোও ধর্মীয় অনেক কিছুই শিখেছেন। ছুটির পরে স্কুল থেকে দূরে গিয়ে আমাকে বলেন, মা আমি আজ গীতার ঐ স্লোকটা মুখস্ত করেছি এবং স্কুলে বলতে পেরেছি। ছেলেমেয়েদের এই কথাগুলো শুনে আমরা অভিভাবকরা অনেক খুশি হই।
জনপ্রিয়

হাতীবান্ধায় প্রাথমিক শিক্ষকদের শাটডাউন কর্মসূচি পালিত

বাঙ্গালহালিয়াতে অভিভাবক সমাবেশ

প্রকাশের সময় : ০৮:৫৩:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
মিন্টু কান্তি নাথ
মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম’ ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন একটি প্রকল্প। বর্তমানে প্রকল্পটির ৬ষ্ঠ পর্যায় চলমান। প্রাক-প্রাথমিক, ধর্মীয় শিক্ষা (শিশু) এবং ধর্মীয় শিক্ষা (বয়স্ক) শিক্ষাকেন্দ্রের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা প্রকল্পের প্রধান কাজ।
আজ ১১সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার রাঙ্গামাটি রাজস্থলী উপজেলার বাঙ্গালহালিয়া শ্রী শ্রী দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দির,কুতুরিয়া পাড়া শিব মন্দির ও ছাগল খাইয়া কৃষ্ণ মন্দিরে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম ৬ষ্ঠ পর্যায় কেন্দ্র শিক্ষক কর্তৃক আয়োজিত প্রাক-প্রাথমিক ও ধর্মীয় শিক্ষা শিশু অভিভাবক সমাবেশ ২০২৬ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান ধর্মীয় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের মনোনীত রাজস্থলী উপজেলা প্রতিনিধি এবং বাঙ্গালহালিয়া সনাতন ঋষি আশ্রমের(প্রতিষ্ঠাতা)মঠ অধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী সনাতন ঋষি মহারাজ,শ্রী শ্রী শিব মন্দির পরিচালনা কমিটির প্রধান উপদেষ্টা পুলক চৌধুরী,উপদেষ্টা অরুণ চৌধুরী,সোনারাম বিশ্বাস,বসন্ত দাশ। শ্রী শ্রী দক্ষিণেশ্বর কালীমন্দিরের উপদেষ্টা বিমন দেব,সভাপতি বিশ্বনাথ চৌধুরী,বাবু প্রিয়লাল দত্ত। শ্রী শ্রী শিব মন্দির সমাজ পরিচালনা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটি সদস্য জিকু কুমার দে,সাবেক ইউপি সদস্য সহিদুল ইসলাম, সাংবাদিক মিন্টু কান্তি নাথ,গীতা শিক্ষক শিক্ষক উজ্জ্বল দেব,সুব্রত দে,ধর্মীয় শিক্ষা ও প্রাক প্রাথমিক শিক্ষিকা প্রিয়া দাশ, রত্মা দাশ,সোমা চৌধুরী ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহ ছাত্র-ছাত্রীদের পিতা-মাতারা উপস্থিত ছিলেন।
ধর্মীয় শ্রী গুরু শ্রীমৎ স্বামী সনাতন ঋষি মহারাজ বলেন,আপনাদের ছেলে সন্তানদের অবশ্যই নৈতিক শিক্ষা দিতে গীতা স্কুলে পাঠাবেন। এই স্কুলগুলোতে ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা দেওয়ার মাধ্যমে শিশুদের একটি সঠিক ও সুশৃঙ্খল জীবন ধারণের পদ্ধতি শেখানো হয়। যা তাদের ধর্মীয় এবং নৈতিক মান বজায় রাখতে সাহায্য করে।
বাঙ্গালহালিয়া কুতুরিয়া পাড়া শিব মন্দিরের গীতা স্কুলে পড়ুয়া এক ছাত্রের মা প্রিয়াঙ্কা দেবী অভিভাবক হিসেবে বলেন,এই মন্দিরের গীতা শিক্ষক উজ্জ্বল দেব ও প্রাক প্রাথমিক শিক্ষিকা প্রিয়া দাশ,কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের যেভাবে আদর যত্ন করে ধর্মীয় শিক্ষা গুলো দিয়ে থাকেন। আমি একান্তভাবে কৃতজ্ঞ প্রকাশ করছি আপনাদের। আপনাদের সুশিক্ষায় আজ আমার ছেলে মেয়ে,কিছু মাত্র হলোও ধর্মীয় অনেক কিছুই শিখেছেন। ছুটির পরে স্কুল থেকে দূরে গিয়ে আমাকে বলেন, মা আমি আজ গীতার ঐ স্লোকটা মুখস্ত করেছি এবং স্কুলে বলতে পেরেছি। ছেলেমেয়েদের এই কথাগুলো শুনে আমরা অভিভাবকরা অনেক খুশি হই।