মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অভিনেত্রী হুমাইরা মৃত্যুর চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ ফরেনসিক রিপোর্টে !

রক্ত ও মোবাইল ফোন ইস্যুতে মৃত্যুর খবর প্রকাশের আড়াই মাস পর আবারও আলোচনায় পাকিস্তানি অভিনেত্রী হুমাইরা আসগর। তার মৃত্যর সঠিক কারণ ময়নাতদন্তের রিপোর্টে পাওয়া যায়নি। সঠিক কারণ নির্ধারণ করতে তাই চলছিল ফরেনসিক বিশ্লেষণ। এবার সে রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছেন তদন্তকারীরা।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, অভিনেত্রী হুমাইরার টিশার্ট ও ট্রাউজারে পাওয়া গেছে রক্তের দাগ। এ রক্ত অভিনেত্রীর না কি অন্য কারো তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
 পুলিশ বলছে, পাকিস্তানে রক্ত ও ডিএনএ ডেটাবেজের উন্নত ব্যবস্থা না থাকায় জৈবিক নমুনা মেলানোর ক্ষেত্রে একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
 
পুলিশ আরও বলছে, তদন্ত থেকে জানা যায় হুমাইরার ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোনও নিখোঁজ রয়েছে। মৃত্যুর শেষ দিনগুলোতে নিখোঁজ ফোনই ব্যবহার করতেন অভিনেত্রী। তাই তদন্তকারীদের ধারণা, ওই মোবাইল ফোনেই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে। যে কারণে সেটি আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
 
এর আগে তদন্তকারীরা জানিয়েছিল, অভিনেত্রীর মৃত্যর খবর প্রকাশের পরপরই সেখানে উপস্থিত হয়ে পুরো ঘরে তল্লাসি চালানো হয়। এ তল্লাসিতে অভিনেত্রীর ঘর থেকে ‘রহস্যজনক সাদা পাউডার’ মেলে। যেটির উপস্থিতির যৌক্তিক কারণ বা ব্যাখ্যা খুঁজে পাননি তারা।
 
এছাড়া অভিনেত্রীর ফ্ল্যাটে কোনো গয়না পাওয়া যায়নি। যা সন্দেহ বাড়িয়ে হুমাইরার মৃত্যুকে আরও রহস্যময় করে তুলেছে। সন্দেহ আরও বাড়িয়েছে একটি খোলা বারান্দা। অভিনেত্রীর ফ্ল্যাটের সব দরজা, জানালা বন্ধ থাকলেও একটি বারান্দা খোলা পান তদন্তকারীরা। তাই ওই বারান্দা থেকে কেউ ফ্ল্যাটে প্রবেশ করে অভিনেত্রীকে খুন করেছিলেন কিনা সে বিষয়টিও পরিষ্কার হতে পারেননি পুলিশ কর্মকর্তারা।
 
গত ৮ জুলাই পাকিস্তানের ফেজ-৬ এর ইত্তিহাদ কমার্শিয়ালের একটি ফ্ল্যাট থেকে পাকিস্তানি অভিনেত্রী হুমাইরা আসগরের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃত্যুর নয় মাস পেরিয়ে যাওয়ায় অর্ধগলিত অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়।
 
অভিনেত্রীর মরদেহ উদ্ধারের সময় তার লাশে বাদাামি পোকার উপস্থিতি পায় পুলিশ। মস্তিষ্ক সহ শরীরের প্রধান অঙ্গগুলো পচে যায় অভিনেত্রীর। তাই হুমাইরার মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে ফরেনসিক তদন্তে টক্সিকোলজি পরীক্ষার চুলচেরা বিশ্লেষণের চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। 
জনপ্রিয়

যশোর বাঘারপাড়ায় খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় হাজারো মানুষের দোয়া

অভিনেত্রী হুমাইরা মৃত্যুর চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ ফরেনসিক রিপোর্টে !

প্রকাশের সময় : ০৩:৪৬:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

রক্ত ও মোবাইল ফোন ইস্যুতে মৃত্যুর খবর প্রকাশের আড়াই মাস পর আবারও আলোচনায় পাকিস্তানি অভিনেত্রী হুমাইরা আসগর। তার মৃত্যর সঠিক কারণ ময়নাতদন্তের রিপোর্টে পাওয়া যায়নি। সঠিক কারণ নির্ধারণ করতে তাই চলছিল ফরেনসিক বিশ্লেষণ। এবার সে রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছেন তদন্তকারীরা।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, অভিনেত্রী হুমাইরার টিশার্ট ও ট্রাউজারে পাওয়া গেছে রক্তের দাগ। এ রক্ত অভিনেত্রীর না কি অন্য কারো তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
 পুলিশ বলছে, পাকিস্তানে রক্ত ও ডিএনএ ডেটাবেজের উন্নত ব্যবস্থা না থাকায় জৈবিক নমুনা মেলানোর ক্ষেত্রে একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
 
পুলিশ আরও বলছে, তদন্ত থেকে জানা যায় হুমাইরার ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোনও নিখোঁজ রয়েছে। মৃত্যুর শেষ দিনগুলোতে নিখোঁজ ফোনই ব্যবহার করতেন অভিনেত্রী। তাই তদন্তকারীদের ধারণা, ওই মোবাইল ফোনেই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে। যে কারণে সেটি আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
 
এর আগে তদন্তকারীরা জানিয়েছিল, অভিনেত্রীর মৃত্যর খবর প্রকাশের পরপরই সেখানে উপস্থিত হয়ে পুরো ঘরে তল্লাসি চালানো হয়। এ তল্লাসিতে অভিনেত্রীর ঘর থেকে ‘রহস্যজনক সাদা পাউডার’ মেলে। যেটির উপস্থিতির যৌক্তিক কারণ বা ব্যাখ্যা খুঁজে পাননি তারা।
 
এছাড়া অভিনেত্রীর ফ্ল্যাটে কোনো গয়না পাওয়া যায়নি। যা সন্দেহ বাড়িয়ে হুমাইরার মৃত্যুকে আরও রহস্যময় করে তুলেছে। সন্দেহ আরও বাড়িয়েছে একটি খোলা বারান্দা। অভিনেত্রীর ফ্ল্যাটের সব দরজা, জানালা বন্ধ থাকলেও একটি বারান্দা খোলা পান তদন্তকারীরা। তাই ওই বারান্দা থেকে কেউ ফ্ল্যাটে প্রবেশ করে অভিনেত্রীকে খুন করেছিলেন কিনা সে বিষয়টিও পরিষ্কার হতে পারেননি পুলিশ কর্মকর্তারা।
 
গত ৮ জুলাই পাকিস্তানের ফেজ-৬ এর ইত্তিহাদ কমার্শিয়ালের একটি ফ্ল্যাট থেকে পাকিস্তানি অভিনেত্রী হুমাইরা আসগরের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃত্যুর নয় মাস পেরিয়ে যাওয়ায় অর্ধগলিত অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়।
 
অভিনেত্রীর মরদেহ উদ্ধারের সময় তার লাশে বাদাামি পোকার উপস্থিতি পায় পুলিশ। মস্তিষ্ক সহ শরীরের প্রধান অঙ্গগুলো পচে যায় অভিনেত্রীর। তাই হুমাইরার মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে ফরেনসিক তদন্তে টক্সিকোলজি পরীক্ষার চুলচেরা বিশ্লেষণের চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।