
বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগ গত কয়েক বছরে ৩০০ শতাংশ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন। তার মতে, যৌথ অভিজ্ঞতা ও সহযোগিতা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ আরও দ্রুত অর্থনৈতিক অগ্রগতি অর্জন করতে পারবে।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ ইন বাংলাদেশ এক্সিবিশন’–এ গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এ প্রদর্শনীটি আয়োজন করেছে বাংলাদেশে অবস্থিত চীনা দূতাবাস। এতে বাংলাদেশের ৮টি ও চীনের ৩২টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। অবকাঠামো, প্রযুক্তি, টেলিকম, স্বাস্থ্য, কৃষি, শক্তি, পরিবহন ও লজিস্টিকসসহ বিভিন্ন খাতের প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করছে। দর্শনার্থীদের জন্য প্রদর্শনীটি ১২ ও ১৩ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকবে।
শেখ বশির উদ্দিন বলেন, আমাদের দুর্বলতা খুঁজে বের করতে হবে। অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে এগিয়ে যেতে হবে। উৎপাদন ও প্যাকেজিংয়ে চীনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারলে আমাদের অগ্রসর হওয়ার সুযোগ আছে।
তিনি উল্লেখ করেন, তৈরি পোশাক খাতে বাংলাদেশ পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানিকারক হলেও সামগ্রিকভাবে এখনো পিছিয়ে রয়েছে। তাই উৎপাদনশীলতা ও গুণগত মান উন্নত করতে প্রযুক্তি ও অভিজ্ঞতা বিনিময় জরুরি।
বাংলাদেশে প্রতিবছর সড়ক দুর্ঘটনায় যে বিপুলসংখ্যক মানুষের প্রাণহানি ঘটে, তা “ভয়াবহ” বলে মন্তব্য করেন বাণিজ্য উপদেষ্টা। তিনি বলেন, সড়ক অবকাঠামো উন্নয়ন ও পরিবহন ব্যবস্থা আধুনিকায়ন করতে হবে। এজন্য আমরা চীনের সহযোগিতা কামনা করেছি।
এছাড়া পরিবহন সক্ষমতা বাড়ানো ও নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করার জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণের ওপর গুরুত্ব দেন তিনি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রেসিপ্রোকল ট্যারিফ বিষয়ে আসন্ন আলোচনার প্রসঙ্গও উল্লেখ করেন বাণিজ্য উপদেষ্টা। তিনি জানান, আগামী রোববার যুক্তরাষ্ট্র সরকারের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকায় আসছে।
সেখানে দুই দেশের মধ্যে ট্যারিফ কাঠামো কীভাবে আরও সমন্বিত করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা হবে।
ঢাকা ব্যূরো।। 






































