মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কেরানীগঞ্জ নাজিরের বাগ এলাকায় দিন-দুপুরে যুবক খুন 

দেলোয়ার হোসেন, ঢাকা ব্যুরো 
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে নাজিরের বাগ এলাকায় একদল সন্ত্রাসী প্রকাশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলাকেটে মো: সগীর (২৭) নামের এক যুবককে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এলাকাবাসী মরদেহ রাস্তায় দেখে পুলিশকে খবর দেয় । দুর্ধর্ষ এই হত্যাকান্ড দেখে সাধারণ মানুষ হতবাক হয়ে গেছে । এলাকাবাসী জানিয়েছেন কপালে তারা নাজিরাবাগ এলাকায় রাস্তার পাশে গলা কাটা অবস্থায় একজনের লাশ দেখতে পায়। সময় সাধারণ মানুষ ভিড় জমায়। ঘটনার খবর পেয়ে নিহতের আত্মীয়-স্বজনরা এসে তাকে সনাক্ত করে । আত্মীয়স্বজনরা জানিয়েছে সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত ব্যক্তির নাম সগীর । নিহত সগীর শুভাঢ্যা উত্তরপাড়া এলাকার মো: আমির হোসেনের ছেলে। সে রাজধানীর ইসলামপুর এলাকায় একটি আয়রনের দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করতো। কি কারনে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি।
শনিবার সকালে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন শুভাঢ্যা ইউনিয়নের চুনকুঠিয়া নাজিরের বাগ এলাকায় বাগানবাড়ি সংলগ্ন রাস্তার উপর লাশটি পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও দুপুর আনুমানিক একটা সময় পর্যন্ত মরদেহটি রাস্তায় পড়েছিল বলে এলাকাবাসী জানান। মরদেহ দীর্ঘক্ষণ রাস্তায় পড়ে থাকায় উৎসুক জনতার ভিড় বাড়তে থাকে। দুপুর একটার পর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য প্রেরণ করে । নিহত জগিংয়ের স্ত্রী টিনা বলেন, তার স্বামী সকালে দোকানে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন। কিছুক্ষণ আগে আমরা খবর পাই, তাকে মারা গেছেন। আমার স্বামী কারও সঙ্গে শত্রুতা করেনি। কেন এমন হলো, আমি বুঝতে পারছি না । এলাকাবাসী ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, নিহত সগীর ৮ বছর আগে বিয়ে করেছে এবং তাদের ৬ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। দুই বছর আগে স্ত্রীর পরকীয়ার কারণে তাদের ডিভোর্স হয়। এর কিছুদিন পর আবার স্ত্রীর সাথে বনিবনা না হওয়ায় পর পুনরায় ঘর-সংসার শুরু করলে, এলাকাবাসীর কটুক্তির মুখে সে নিজ বাড়ি ছেড়ে নাজিরেরবাগ এলাকায় ভাড়া বাড়ীতে বসবাস করে।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সৈয়দ আকতার হোসেন জানান,  এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে মরা তদন্ত শুরু করেছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পূর্ব শত্রুতা বা ব্যক্তিগত বিরোধের জেরে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়ে থাকতে পারে। তবে নিশ্চিত হতে তদন্তের অগ্রগতি সাপেক্ষে বিস্তারিত জানা যাবে।
ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এলাকাবাসী আব্দুর রহমান, আফজাল রহিম ও কুদ্দুস এই প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন, এই এলাকায় বিভিন্ন গ্রুপে গ্রুপে সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে উঠেছে দিনে দুপুরে এ ধরনের হত্যাকান্ড এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। এই এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে । এলাকাবাসী নিহতের পরিবারের আত্মীয়-স্বজন অবিলম্বে এই হত্যাকাণ্ডে বিচার এবং হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার দাবি করেছেন।
জনপ্রিয়

মোংলায় শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মহান বিজয় দিবসকে সামনে রেখে প্রস্তুতি সভা

কেরানীগঞ্জ নাজিরের বাগ এলাকায় দিন-দুপুরে যুবক খুন 

প্রকাশের সময় : ০৪:২২:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
দেলোয়ার হোসেন, ঢাকা ব্যুরো 
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে নাজিরের বাগ এলাকায় একদল সন্ত্রাসী প্রকাশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলাকেটে মো: সগীর (২৭) নামের এক যুবককে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এলাকাবাসী মরদেহ রাস্তায় দেখে পুলিশকে খবর দেয় । দুর্ধর্ষ এই হত্যাকান্ড দেখে সাধারণ মানুষ হতবাক হয়ে গেছে । এলাকাবাসী জানিয়েছেন কপালে তারা নাজিরাবাগ এলাকায় রাস্তার পাশে গলা কাটা অবস্থায় একজনের লাশ দেখতে পায়। সময় সাধারণ মানুষ ভিড় জমায়। ঘটনার খবর পেয়ে নিহতের আত্মীয়-স্বজনরা এসে তাকে সনাক্ত করে । আত্মীয়স্বজনরা জানিয়েছে সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত ব্যক্তির নাম সগীর । নিহত সগীর শুভাঢ্যা উত্তরপাড়া এলাকার মো: আমির হোসেনের ছেলে। সে রাজধানীর ইসলামপুর এলাকায় একটি আয়রনের দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করতো। কি কারনে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি।
শনিবার সকালে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন শুভাঢ্যা ইউনিয়নের চুনকুঠিয়া নাজিরের বাগ এলাকায় বাগানবাড়ি সংলগ্ন রাস্তার উপর লাশটি পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও দুপুর আনুমানিক একটা সময় পর্যন্ত মরদেহটি রাস্তায় পড়েছিল বলে এলাকাবাসী জানান। মরদেহ দীর্ঘক্ষণ রাস্তায় পড়ে থাকায় উৎসুক জনতার ভিড় বাড়তে থাকে। দুপুর একটার পর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য প্রেরণ করে । নিহত জগিংয়ের স্ত্রী টিনা বলেন, তার স্বামী সকালে দোকানে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন। কিছুক্ষণ আগে আমরা খবর পাই, তাকে মারা গেছেন। আমার স্বামী কারও সঙ্গে শত্রুতা করেনি। কেন এমন হলো, আমি বুঝতে পারছি না । এলাকাবাসী ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, নিহত সগীর ৮ বছর আগে বিয়ে করেছে এবং তাদের ৬ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। দুই বছর আগে স্ত্রীর পরকীয়ার কারণে তাদের ডিভোর্স হয়। এর কিছুদিন পর আবার স্ত্রীর সাথে বনিবনা না হওয়ায় পর পুনরায় ঘর-সংসার শুরু করলে, এলাকাবাসীর কটুক্তির মুখে সে নিজ বাড়ি ছেড়ে নাজিরেরবাগ এলাকায় ভাড়া বাড়ীতে বসবাস করে।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সৈয়দ আকতার হোসেন জানান,  এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে মরা তদন্ত শুরু করেছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পূর্ব শত্রুতা বা ব্যক্তিগত বিরোধের জেরে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়ে থাকতে পারে। তবে নিশ্চিত হতে তদন্তের অগ্রগতি সাপেক্ষে বিস্তারিত জানা যাবে।
ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এলাকাবাসী আব্দুর রহমান, আফজাল রহিম ও কুদ্দুস এই প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন, এই এলাকায় বিভিন্ন গ্রুপে গ্রুপে সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে উঠেছে দিনে দুপুরে এ ধরনের হত্যাকান্ড এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। এই এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে । এলাকাবাসী নিহতের পরিবারের আত্মীয়-স্বজন অবিলম্বে এই হত্যাকাণ্ডে বিচার এবং হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার দাবি করেছেন।