সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
রাজবাড়ী

একসঙ্গে বিসিএস জয় করলো আপন দুই বোন 

রাজবাড়ী প্রতিনিধি
রাজবাড়ীতে আপন দুই বোন ডাঃ সারিকা শশী ও ডাঃ সিলমা সুবাহ আরশি ৪৮তম (বিশেষ) বিসিএস পরীক্ষায় স্বাস্থ্য ক্যাডারে সহকারী সার্জন পদে চুড়ান্তভাবে সুপারিশ প্রাপ্ত হয়েছে। একসঙ্গে দুই বোনের এ সাফল্যে আনন্দে ভাসছে পরিবারটি।
শশী ও আরশি রাজবাড়ী পৌরসভার ভবানীপুরের রাজবাড়ী সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আক্কাস আলী এবং বালিয়াকান্দি মীর মোশারফ হোসেন ডিগ্ৰী কলেজের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর মালেকা আক্তার শিখা দম্পতির মেয়ে। তারা দুই বোন এক ভাই। তাদের একমাত্র ভাই রাজবাড়ী সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র।
জানা গেছে, বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারে সুপারিশ প্রাপ্ত দুই বোন সারিকা শশী ও সিলমা সুবাহ আরশি ২০১৫ সালে রাজবাড়ী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫  পেয়ে এসএসসি এবং ২০১৭ সালে রাজবাড়ী সরকারি কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এইচএসসি পাশ করে। এরপর সিলমা সুবাহ আরশি ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ এবং সিলমা সারিকা শশী ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। ২০২২ সালে সেখান থেকে তারা এমবিবিএস পাস করেন। পরে দুজনই একসাথে বিসিএসের প্রস্তুতি নেন। সেই সাথে ৪৮ তম বিসিএস পরীক্ষা দেন।
আরশি ও শশীর বাবা রাজবাড়ী সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আক্কাস আলী বলেন, আমার দুই মেয়ের ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল তারা বড় চিকিৎসক হবে, তারা ছোটবেলা থেকেই অনেক মেধাবী ছিল। সেই লক্ষ্য নিয়ে তারা পড়ালেখা করেছে। আমি এবং তাদের মা আমরা আমাদের দুই মেয়েকে মানসিকভাবে সব সময় সাপোর্ট করেছি। তারা দুই বোন একই বয়সী হওয়ায় একসঙ্গে এসএসসি ও এইচএসসি একই স্কুলে একসাথে পড়েছে। সেখান থেকে তারা দুজনই জিপিএ-৫ পেয়ে পাশ  করে। পরে শশী ময়মনসিং মেডিকেল কলেজ ও আরশি স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে থেকে বিসিএস সম্পূর্ণ করে। পরে তারা দুজনই একসাথে বিসিএসের প্রস্তুতি নিয়ে ৪৮ তম বিসিএস পরীক্ষা দেয়। বৃহস্পতিবার তাদের পরীক্ষার ফলাফল দিয়েছে। তারা দুজনেই স্বাস্থ্য ক্যাডারে সহকারী সার্জন পদের চূড়ান্তভাবে সুপারিশ প্রাপ্ত হয়েছে।  তাদের জীবনে এটাই ছিল প্রথম বিসিএস পরীক্ষা। আমি আমার দুই মেয়ের জন্য সকলের কাছে দোয়া চাই।
শশী ও আরশির মা বালিয়াকান্দি মীর মোশারফ হোসেন ডিগ্ৰী কলেজের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর মালেকা আক্তার শিখা বলেন, আমার দুই মেয়ের একসঙ্গে বিসিএস জয়ে আমরা খুবই আনন্দিত। তারা যেন মানবিক চিকিৎসক হয়ে সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করতে পারে এটাই আমাদের প্রত্যাশা। দেশবাসীর কাছে সবাই আমার দুই মেয়ের জন্য দোয়া কামনা করছি।
একসঙ্গে দুই বোনের এই সাফল্য পিতা-মাতা ভাই বোন পাশাপাশি রাজবাড়ীবাসীও আনন্দিত। তারা দেশবাসীর সকলের কাছে দোয়াপ্রার্থী।
জনপ্রিয়

যশোর বাঘারপাড়ায় খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় হাজারো মানুষের দোয়া

রাজবাড়ী

একসঙ্গে বিসিএস জয় করলো আপন দুই বোন 

প্রকাশের সময় : ০৫:০৫:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
রাজবাড়ী প্রতিনিধি
রাজবাড়ীতে আপন দুই বোন ডাঃ সারিকা শশী ও ডাঃ সিলমা সুবাহ আরশি ৪৮তম (বিশেষ) বিসিএস পরীক্ষায় স্বাস্থ্য ক্যাডারে সহকারী সার্জন পদে চুড়ান্তভাবে সুপারিশ প্রাপ্ত হয়েছে। একসঙ্গে দুই বোনের এ সাফল্যে আনন্দে ভাসছে পরিবারটি।
শশী ও আরশি রাজবাড়ী পৌরসভার ভবানীপুরের রাজবাড়ী সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আক্কাস আলী এবং বালিয়াকান্দি মীর মোশারফ হোসেন ডিগ্ৰী কলেজের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর মালেকা আক্তার শিখা দম্পতির মেয়ে। তারা দুই বোন এক ভাই। তাদের একমাত্র ভাই রাজবাড়ী সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র।
জানা গেছে, বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারে সুপারিশ প্রাপ্ত দুই বোন সারিকা শশী ও সিলমা সুবাহ আরশি ২০১৫ সালে রাজবাড়ী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫  পেয়ে এসএসসি এবং ২০১৭ সালে রাজবাড়ী সরকারি কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এইচএসসি পাশ করে। এরপর সিলমা সুবাহ আরশি ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ এবং সিলমা সারিকা শশী ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। ২০২২ সালে সেখান থেকে তারা এমবিবিএস পাস করেন। পরে দুজনই একসাথে বিসিএসের প্রস্তুতি নেন। সেই সাথে ৪৮ তম বিসিএস পরীক্ষা দেন।
আরশি ও শশীর বাবা রাজবাড়ী সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আক্কাস আলী বলেন, আমার দুই মেয়ের ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল তারা বড় চিকিৎসক হবে, তারা ছোটবেলা থেকেই অনেক মেধাবী ছিল। সেই লক্ষ্য নিয়ে তারা পড়ালেখা করেছে। আমি এবং তাদের মা আমরা আমাদের দুই মেয়েকে মানসিকভাবে সব সময় সাপোর্ট করেছি। তারা দুই বোন একই বয়সী হওয়ায় একসঙ্গে এসএসসি ও এইচএসসি একই স্কুলে একসাথে পড়েছে। সেখান থেকে তারা দুজনই জিপিএ-৫ পেয়ে পাশ  করে। পরে শশী ময়মনসিং মেডিকেল কলেজ ও আরশি স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে থেকে বিসিএস সম্পূর্ণ করে। পরে তারা দুজনই একসাথে বিসিএসের প্রস্তুতি নিয়ে ৪৮ তম বিসিএস পরীক্ষা দেয়। বৃহস্পতিবার তাদের পরীক্ষার ফলাফল দিয়েছে। তারা দুজনেই স্বাস্থ্য ক্যাডারে সহকারী সার্জন পদের চূড়ান্তভাবে সুপারিশ প্রাপ্ত হয়েছে।  তাদের জীবনে এটাই ছিল প্রথম বিসিএস পরীক্ষা। আমি আমার দুই মেয়ের জন্য সকলের কাছে দোয়া চাই।
শশী ও আরশির মা বালিয়াকান্দি মীর মোশারফ হোসেন ডিগ্ৰী কলেজের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর মালেকা আক্তার শিখা বলেন, আমার দুই মেয়ের একসঙ্গে বিসিএস জয়ে আমরা খুবই আনন্দিত। তারা যেন মানবিক চিকিৎসক হয়ে সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করতে পারে এটাই আমাদের প্রত্যাশা। দেশবাসীর কাছে সবাই আমার দুই মেয়ের জন্য দোয়া কামনা করছি।
একসঙ্গে দুই বোনের এই সাফল্য পিতা-মাতা ভাই বোন পাশাপাশি রাজবাড়ীবাসীও আনন্দিত। তারা দেশবাসীর সকলের কাছে দোয়াপ্রার্থী।