মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুন্দরবনের ডিমের চরে নিখোঁজ কিশোর পর্যটকের মরদেহ ২৯ ঘন্টা পর উদ্ধার 

শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি 

নিখোঁজের প্রায় ২৯ ঘন্টা পর উদ্ধার হল পর্যটক কিশোর মাহিত আব্দুল্লাহর (১৬) মরদেহ। রবিবার (১৪সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের কচিখালী অভয়ারণ্য কেন্দ্রে ডিমের চরের দক্ষিণ পাশের নদীতে ভাসমান অবস্থায় মরদেটি দেখতে পান মাছ ধরারত জেলেরা। পরে কোস্ট গার্ড ও বন বিভাগের সদস্যরা মরদেহ উদ্ধার করেন। এতথ্য নিশ্চিত করেছে বনবিভাগ।

শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কচিখালী ডিমের চরে নদীতে নেমে সাঁতার কাটার সময় ঘূর্ণিস্রোতে ভেসে যায় আব্দুল্লাহ। এর পর থেকে কোস্ট গার্ডের ডুবুরি দল ও বন বিভাগের সদস্যরা তল্লাশি অভিযান শুরু করেন।

নিহত মাহিত আব্দুল্লাহ ঢাকার মীরপুর ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চিকিৎসক ডা. শেখ সুলতান মাহামুদ আসাদের ছেলে। তারা মহাম্মদপুর শেখেরটেকের বাসিন্দা।

ডা. সুলতান মাহামুদ তার স্ত্রী ও চার ছেলেসহ ঢাকার বিভিন্ন এলাকার মোট ৭৫ জনের একটি পর্যটক দল এমভি দ্য এক্সপ্লোরার নামের একটি জাহাজে সুন্দরবন ভ্রমণে এসেছিলেন।  শরণখোলা রেঞ্জের কটকা, কচিখালী, ডিমের চরসহ সুন্দরবনের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ভ্রমণের কথা ছিলো তাদের। কিন্তু আকষ্মিক দুর্ঘটনায় তাদের সবকিছু তছনছ হয়ে যায়। ভ্রমণ স্থগিত করে সবাই ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন।

পর্যটক দলের সদস্য মো. আল আমীন রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মোবাইল ফোনে জানান, দুর্ঘটনার তারা সবাই শোকাহত। তারা ভ্রমণ স্থগিত করেছেন।

 নিখোঁজ আব্দুল্লাহর মা, তিন ভাইকে নিয়ে তারা সবাই ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। ঘটনাস্থলে শুধু আব্দুল্লাহর বাবা, তার এক বন্ধু এবং জাহাজের দুজন স্টাফ রয়েছেন।

পর্যটক আল আমীন জানান, ছেলেকে হারিয়ে মা লিমা বেগম জাহাজের কেবিনের দরজ বন্ধ করে শুধু কান্না করছেন। অন্য পর্যটকরাও শোকে বিহ্বল হয়ে পড়েছেন। আনন্দ উপভোগের জন্য ভ্রমণে এসে এখন সবাইকে।

জনপ্রিয়

আকাশে ইতিহাস রচনা করলো তুরস্ক

সুন্দরবনের ডিমের চরে নিখোঁজ কিশোর পর্যটকের মরদেহ ২৯ ঘন্টা পর উদ্ধার 

প্রকাশের সময় : ০৮:১০:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি 

নিখোঁজের প্রায় ২৯ ঘন্টা পর উদ্ধার হল পর্যটক কিশোর মাহিত আব্দুল্লাহর (১৬) মরদেহ। রবিবার (১৪সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের কচিখালী অভয়ারণ্য কেন্দ্রে ডিমের চরের দক্ষিণ পাশের নদীতে ভাসমান অবস্থায় মরদেটি দেখতে পান মাছ ধরারত জেলেরা। পরে কোস্ট গার্ড ও বন বিভাগের সদস্যরা মরদেহ উদ্ধার করেন। এতথ্য নিশ্চিত করেছে বনবিভাগ।

শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কচিখালী ডিমের চরে নদীতে নেমে সাঁতার কাটার সময় ঘূর্ণিস্রোতে ভেসে যায় আব্দুল্লাহ। এর পর থেকে কোস্ট গার্ডের ডুবুরি দল ও বন বিভাগের সদস্যরা তল্লাশি অভিযান শুরু করেন।

নিহত মাহিত আব্দুল্লাহ ঢাকার মীরপুর ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চিকিৎসক ডা. শেখ সুলতান মাহামুদ আসাদের ছেলে। তারা মহাম্মদপুর শেখেরটেকের বাসিন্দা।

ডা. সুলতান মাহামুদ তার স্ত্রী ও চার ছেলেসহ ঢাকার বিভিন্ন এলাকার মোট ৭৫ জনের একটি পর্যটক দল এমভি দ্য এক্সপ্লোরার নামের একটি জাহাজে সুন্দরবন ভ্রমণে এসেছিলেন।  শরণখোলা রেঞ্জের কটকা, কচিখালী, ডিমের চরসহ সুন্দরবনের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ভ্রমণের কথা ছিলো তাদের। কিন্তু আকষ্মিক দুর্ঘটনায় তাদের সবকিছু তছনছ হয়ে যায়। ভ্রমণ স্থগিত করে সবাই ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন।

পর্যটক দলের সদস্য মো. আল আমীন রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মোবাইল ফোনে জানান, দুর্ঘটনার তারা সবাই শোকাহত। তারা ভ্রমণ স্থগিত করেছেন।

 নিখোঁজ আব্দুল্লাহর মা, তিন ভাইকে নিয়ে তারা সবাই ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। ঘটনাস্থলে শুধু আব্দুল্লাহর বাবা, তার এক বন্ধু এবং জাহাজের দুজন স্টাফ রয়েছেন।

পর্যটক আল আমীন জানান, ছেলেকে হারিয়ে মা লিমা বেগম জাহাজের কেবিনের দরজ বন্ধ করে শুধু কান্না করছেন। অন্য পর্যটকরাও শোকে বিহ্বল হয়ে পড়েছেন। আনন্দ উপভোগের জন্য ভ্রমণে এসে এখন সবাইকে।