শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে জামাতের প্রার্থীর ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ

দেলোয়ার হোসেন, ঢাকা ব্যুরো 

ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে ঢাকা ৩ আসনের বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর এমপি প্রার্থী অধ্যক্ষ শাহিনুর ইসলাম এর ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে । এ ব্যাপারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী শুভাঢ্যা ইউনিয়ন ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কোষাধক্ষ্য মোঃ মনজুর আলী দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় বাদী হয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলার বিষয়ে মনজুর আলী
তার লিখিত অভিযোগে বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে দলের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা ইউনিয়নের ইকুরিয়া উত্তরপাড়া, টিলাবাড়ি গ্রামসহ তেঘরিয়া ও আগানগর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী অধ্যক্ষ শাহিনুর ইসলামের প্রচার প্রচার জন্য ফেস্টুন লাগানো হয় ।
ফেস্টুন লাগানোর পর  অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা বাংলাদেশ জামাত ইসলামের অন্তত পক্ষে অর্ধশত ফেস্টুন ছিড়ে ফেলে । এবং প্রতিদিনই এই ধরনের কর্মকান্ড করছে তারা।
এ ব্যাপারে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় যে, এলাকাবাসী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এলাকার একটি রাজনৈতিক দলের স্থানীয় নেতারা এই ধরনের ঘটনা প্রকাশ্যে ঘটাচ্ছেন।   তারা অন্য দলের পোস্টার ফেস্টুন সহ্য করতে পারছে না। শুধু তারা একাই এই এলাকায় নিজেদের ফেস্টুন ব্যবহার করতে চায়। এ ব্যাপারে সাধারণ মানুষও  এদের কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।
সাধারণ ডায়রিতে লিখিত অভিযোগে  ছিঁড়ে ফেলা ফেস্টুন গুলোর আনুমানিক মূল্য প্রায় এক লক্ষ টাকা বলে অভিযোগ করা হয়েছে । উক্ত সাধারণ ডায়েরিতে আরো অভিযোগ করা হয় যে , জামাতের বিভিন্ন লোকজন এই ফেস্টুন লাগাতে গেলে তাদেরকেও অন্য রাজনৈতিক রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা হুমকি-ধমকি দেয়। তাই আইনের সহযোগিতা পাওয়ার আশায় আজ মঙ্গলবার ১৬ই সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ  তারা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলার বিষয়ে বাংলাদেশ জামাতে ইসলামী মনোনীত ঢাকা ৩ আসনের এমপি প্রার্থী অধ্যক্ষ শাহিনুর ইসলাম এই প্রতিনিধিকে বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আমার দলীয় নেতাকর্মীরা মাঠে আমার ব্যাপক প্রচার-প্রচারণার চালিয়ে যাচ্ছে। প্রচারণার জন্য তারা ব্যানার ফেস্টুন লাগিয়ে বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় জনগণকে অবগত করছেন ।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর এই ব্যাপক প্রচার প্রচারণা সৃষ্টি হওয়ায় এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে জামাতের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে ।
তাই অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো ঈর্ষান্বিত হয়ে আমাদের ব্যানার ফেস্টুন ছিড়ে ফেলছে। এই ঘটনার আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি ।
তিনি আরো বলেন, ব্যানার ফেস্টুন ছিড়ে ফেলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জনপ্রিয়তাকে বন্ধ করা যাবে না। আল্লাহর আইন এবং কোরআনের শাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী প্রতিটি ঘরে ঘরে দাওয়াত পৌঁছে দিচ্ছে। মানুষের অন্তরে অন্তরে জামায়াতে ইসলামীর প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। তাই আমরা সংঘাতের পথ পরিহার করে শান্তির শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য আইনের আশ্রয়ে নিয়েছি।
এই জন্যই জামায়াতে ইসলামী আইনকে শ্রদ্ধা জানিয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছে। আশা করি প্রশাসন সঠিক এবং সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
উক্ত  ফেস্টুন ছেঁড়ার ঘটনায় বিশিষ্ট সমাজসেবী তেঘরিয়া ইউনিয়ন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির মোঃ হানিফ মিয়া এই প্রতিনিধিকে বলেন, বাংলাদেশ জামাতে ইসলামী এর জনপ্রিয়তা দেখে এলাকায় অন্যান্য রাজনৈতিক কর্মীরা সহ্য করতে পারছে না। তারা জামাতের ফেস্টুন ছিড়ে ফেলে দিচ্ছে। জামাতের ব্যাপক প্রচারণা হওয়ার কারণে তাদের মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ জামাতে ইসলামী সংঘাতে বিশ্বাস করে না। তাই আইনের আশ্রয় নেওয়া হয়েছে।
তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অনুরোধ করে বলেছেন যে ,দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইন গত ব্যবস্থা নিন ।
এ ব্যাপারে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) সৈয়দ মোহাম্মদ আখতার হোসেন জানান, তিনি ফেস্টুন ছেড়ার বিষয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর  পক্ষ থেকে সাধারণ ডায়রির কপি হাতে পেয়েছেন। এ ব্যাপারে কোটের অনুমতির সাপেক্ষে  তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি টহল দল প্রেরণ করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন , এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় এবং সাধারণ নাগরিকের জান মাল রক্ষায় যারাই অন্যায় অপকর্ম সহ  আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্ন করার চেষ্টা করবে  তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ফেস্টুন ছেঁড়ার ঘটনায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে । সাধারণ ভোটাররা বলছেন,  সকল রাজনৈতিক দলের উচিত তাদের অন্যান্য দলের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা জানানো। ফেস্টুন ছিঁড়ে কখনো জনপ্রিয়তা অর্জন করা যায় না। এতে করে রাজনৈতিক সংঘাত এবং উত্তেজনা বাড়ে। এলাকাবাসী অবিলম্বে এই ধরনের কর্মকান্ড বন্ধের জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা কামনা করেছেন।
জনপ্রিয়

বাথরুম থেকে প্রভাষক ফাবিয়ার মরদেহ উদ্ধার

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে জামাতের প্রার্থীর ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ

প্রকাশের সময় : ০৪:০৬:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

দেলোয়ার হোসেন, ঢাকা ব্যুরো 

ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে ঢাকা ৩ আসনের বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর এমপি প্রার্থী অধ্যক্ষ শাহিনুর ইসলাম এর ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে । এ ব্যাপারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী শুভাঢ্যা ইউনিয়ন ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কোষাধক্ষ্য মোঃ মনজুর আলী দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় বাদী হয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলার বিষয়ে মনজুর আলী
তার লিখিত অভিযোগে বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে দলের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা ইউনিয়নের ইকুরিয়া উত্তরপাড়া, টিলাবাড়ি গ্রামসহ তেঘরিয়া ও আগানগর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী অধ্যক্ষ শাহিনুর ইসলামের প্রচার প্রচার জন্য ফেস্টুন লাগানো হয় ।
ফেস্টুন লাগানোর পর  অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা বাংলাদেশ জামাত ইসলামের অন্তত পক্ষে অর্ধশত ফেস্টুন ছিড়ে ফেলে । এবং প্রতিদিনই এই ধরনের কর্মকান্ড করছে তারা।
এ ব্যাপারে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় যে, এলাকাবাসী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এলাকার একটি রাজনৈতিক দলের স্থানীয় নেতারা এই ধরনের ঘটনা প্রকাশ্যে ঘটাচ্ছেন।   তারা অন্য দলের পোস্টার ফেস্টুন সহ্য করতে পারছে না। শুধু তারা একাই এই এলাকায় নিজেদের ফেস্টুন ব্যবহার করতে চায়। এ ব্যাপারে সাধারণ মানুষও  এদের কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।
সাধারণ ডায়রিতে লিখিত অভিযোগে  ছিঁড়ে ফেলা ফেস্টুন গুলোর আনুমানিক মূল্য প্রায় এক লক্ষ টাকা বলে অভিযোগ করা হয়েছে । উক্ত সাধারণ ডায়েরিতে আরো অভিযোগ করা হয় যে , জামাতের বিভিন্ন লোকজন এই ফেস্টুন লাগাতে গেলে তাদেরকেও অন্য রাজনৈতিক রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা হুমকি-ধমকি দেয়। তাই আইনের সহযোগিতা পাওয়ার আশায় আজ মঙ্গলবার ১৬ই সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ  তারা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলার বিষয়ে বাংলাদেশ জামাতে ইসলামী মনোনীত ঢাকা ৩ আসনের এমপি প্রার্থী অধ্যক্ষ শাহিনুর ইসলাম এই প্রতিনিধিকে বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আমার দলীয় নেতাকর্মীরা মাঠে আমার ব্যাপক প্রচার-প্রচারণার চালিয়ে যাচ্ছে। প্রচারণার জন্য তারা ব্যানার ফেস্টুন লাগিয়ে বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় জনগণকে অবগত করছেন ।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর এই ব্যাপক প্রচার প্রচারণা সৃষ্টি হওয়ায় এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে জামাতের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে ।
তাই অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো ঈর্ষান্বিত হয়ে আমাদের ব্যানার ফেস্টুন ছিড়ে ফেলছে। এই ঘটনার আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি ।
তিনি আরো বলেন, ব্যানার ফেস্টুন ছিড়ে ফেলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জনপ্রিয়তাকে বন্ধ করা যাবে না। আল্লাহর আইন এবং কোরআনের শাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী প্রতিটি ঘরে ঘরে দাওয়াত পৌঁছে দিচ্ছে। মানুষের অন্তরে অন্তরে জামায়াতে ইসলামীর প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। তাই আমরা সংঘাতের পথ পরিহার করে শান্তির শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য আইনের আশ্রয়ে নিয়েছি।
এই জন্যই জামায়াতে ইসলামী আইনকে শ্রদ্ধা জানিয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছে। আশা করি প্রশাসন সঠিক এবং সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
উক্ত  ফেস্টুন ছেঁড়ার ঘটনায় বিশিষ্ট সমাজসেবী তেঘরিয়া ইউনিয়ন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির মোঃ হানিফ মিয়া এই প্রতিনিধিকে বলেন, বাংলাদেশ জামাতে ইসলামী এর জনপ্রিয়তা দেখে এলাকায় অন্যান্য রাজনৈতিক কর্মীরা সহ্য করতে পারছে না। তারা জামাতের ফেস্টুন ছিড়ে ফেলে দিচ্ছে। জামাতের ব্যাপক প্রচারণা হওয়ার কারণে তাদের মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ জামাতে ইসলামী সংঘাতে বিশ্বাস করে না। তাই আইনের আশ্রয় নেওয়া হয়েছে।
তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অনুরোধ করে বলেছেন যে ,দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইন গত ব্যবস্থা নিন ।
এ ব্যাপারে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) সৈয়দ মোহাম্মদ আখতার হোসেন জানান, তিনি ফেস্টুন ছেড়ার বিষয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর  পক্ষ থেকে সাধারণ ডায়রির কপি হাতে পেয়েছেন। এ ব্যাপারে কোটের অনুমতির সাপেক্ষে  তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি টহল দল প্রেরণ করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন , এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় এবং সাধারণ নাগরিকের জান মাল রক্ষায় যারাই অন্যায় অপকর্ম সহ  আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্ন করার চেষ্টা করবে  তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ফেস্টুন ছেঁড়ার ঘটনায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে । সাধারণ ভোটাররা বলছেন,  সকল রাজনৈতিক দলের উচিত তাদের অন্যান্য দলের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা জানানো। ফেস্টুন ছিঁড়ে কখনো জনপ্রিয়তা অর্জন করা যায় না। এতে করে রাজনৈতিক সংঘাত এবং উত্তেজনা বাড়ে। এলাকাবাসী অবিলম্বে এই ধরনের কর্মকান্ড বন্ধের জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা কামনা করেছেন।