বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কেন্দুয়া সরকারি কলেজের ১১ শিক্ষকের বিরুদ্ধে জাল সনদের অভিযোগে তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু

রুকন উদ্দিন, কেন্দুয়া (নেত্রকোণা) প্রতিনিধি:

নেত্রকোণার কেন্দুয়ার সবচেয়ে বড় বিদ্যাপীঠ কেন্দুয়া সরকারি কলেজের ১১ শিক্ষকের বিরুদ্ধে জাল সনদের অভিযোগে আজ মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) কলেজে সরেজমিনে এসে প্রাথমিকভাবে তদন্ত করেছেন তদন্ত কতৃপক্ষ।

কলেজের ১১ প্রভাষকের বিরুদ্ধে গত ০২/০৩/২০২৪ ইং তারিখে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবরে অভিযোগটি করলে ০৯/০৪/২০২৪ ইং তারিখে গৃহীত হয়। অভিযোগটি করেন, এডভোকেট হাবিবুর রহমান (জেলা জজকোর্ট নেত্রকোণা) যদিও তিনি অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমার মিথ্যা নাম ও আমার জাল সাক্ষর ব্যবহার করে কে এই অভিযোগটি করেছে তা আমার জানা নেই।

অভিযুক্ত জাল সনদ ধারী ১১ শিক্ষক হলেন, কলেজের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. শফিকুল আলম, বোরহান উদ্দিন (বাংলা), ফারুক আহমেদ তালুকদার (রাষ্ট্রবিজ্ঞান), মো. বদিউজ্জামাল (ইংরেজি), আব্দুল কাদের (বাংলা), এম, এম, রুবেল (হিসাববিজ্ঞান), সুমন কুমার বনিক (ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি), মোছা: সাবিকুন্নাহার (দর্শন), ববিতা রাণী পোদ্দার (দর্শন), আহম্মদ আবদুল্লাহ হারুন (উদ্যোক্তা উন্নয়ন) ও প্রভাষক তিতাস কর (কম্পিউটার)।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানা যায়, এই ১১ জন প্রভাষক জাল সনদের মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে কলেজে নিয়োগ পেয়েছেন। অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, তাঁরা মোটা অঙ্কের আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে মেধাবীদের বঞ্চিত করেছিলেন। কেন্দুয়া সরকারি কলেজের শিক্ষার মান নিয়েও জনমনে নেতিবাচক মনোভাব।

অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুই সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি কেন্দুয়া সরকারি কলেজে আসেন, ময়মনসিংহ অঞ্চলের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ডের পরিচালক প্রফেসর এ.কে.এম আলিফ উল্লাহ আহসান এবং উপ-পরিচালক ফেরদৌস আহমেদ। এসময় তাঁরা অভিযুক্তদের সনদপত্র প্রাথমিকভাবে যাচাই করেছেন জানিয়ে বলেন, যেহেতু একটি লিখিত অভিযোগ হয়েছে তাই আজ প্রাথমিকভাবে আমরা যাচাই করেছি, আরো অধিকতর যাচাইয়ের জন্য কিছুদিন সময় লাগবে। আর যিনি অভিযোগ করেছেন তাকে বলেছি ওনার নিজস্ব প্যাডে লিখিত দেয়ার জন্য যে তিনি উক্ত ১১ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগটি করেননি।

অভিযোগের বিষয়ে জাল সনদে অভিযুক্ত কেন্দুয়া সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত সাবেক অধ্যক্ষ ও বর্তমান সহকারী অধ্যাপক মো. শফিকুল আলম বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে জাল সনদের অভিযোগটি সম্পুর্ণ ভিত্তিহীন, যেখানে অভিযোগকারী তিনি নিজেই স্বীকার করছেন যে তিনি উক্ত অভিযোগটি করেননি।

কেন্দুয়া সরকারি কলেজের ১১ শিক্ষকের বিরুদ্ধে জাল সনদের অভিযোগে বিষয়টি সর্বত্র ছড়িয়ে যাওয়ায় সচেতন মহলে নানা গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছে।

জনপ্রিয়

খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ারে প্রধান উপদেষ্টা

কেন্দুয়া সরকারি কলেজের ১১ শিক্ষকের বিরুদ্ধে জাল সনদের অভিযোগে তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু

প্রকাশের সময় : ০৮:৩৬:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

রুকন উদ্দিন, কেন্দুয়া (নেত্রকোণা) প্রতিনিধি:

নেত্রকোণার কেন্দুয়ার সবচেয়ে বড় বিদ্যাপীঠ কেন্দুয়া সরকারি কলেজের ১১ শিক্ষকের বিরুদ্ধে জাল সনদের অভিযোগে আজ মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) কলেজে সরেজমিনে এসে প্রাথমিকভাবে তদন্ত করেছেন তদন্ত কতৃপক্ষ।

কলেজের ১১ প্রভাষকের বিরুদ্ধে গত ০২/০৩/২০২৪ ইং তারিখে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবরে অভিযোগটি করলে ০৯/০৪/২০২৪ ইং তারিখে গৃহীত হয়। অভিযোগটি করেন, এডভোকেট হাবিবুর রহমান (জেলা জজকোর্ট নেত্রকোণা) যদিও তিনি অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমার মিথ্যা নাম ও আমার জাল সাক্ষর ব্যবহার করে কে এই অভিযোগটি করেছে তা আমার জানা নেই।

অভিযুক্ত জাল সনদ ধারী ১১ শিক্ষক হলেন, কলেজের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. শফিকুল আলম, বোরহান উদ্দিন (বাংলা), ফারুক আহমেদ তালুকদার (রাষ্ট্রবিজ্ঞান), মো. বদিউজ্জামাল (ইংরেজি), আব্দুল কাদের (বাংলা), এম, এম, রুবেল (হিসাববিজ্ঞান), সুমন কুমার বনিক (ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি), মোছা: সাবিকুন্নাহার (দর্শন), ববিতা রাণী পোদ্দার (দর্শন), আহম্মদ আবদুল্লাহ হারুন (উদ্যোক্তা উন্নয়ন) ও প্রভাষক তিতাস কর (কম্পিউটার)।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানা যায়, এই ১১ জন প্রভাষক জাল সনদের মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে কলেজে নিয়োগ পেয়েছেন। অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, তাঁরা মোটা অঙ্কের আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে মেধাবীদের বঞ্চিত করেছিলেন। কেন্দুয়া সরকারি কলেজের শিক্ষার মান নিয়েও জনমনে নেতিবাচক মনোভাব।

অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুই সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি কেন্দুয়া সরকারি কলেজে আসেন, ময়মনসিংহ অঞ্চলের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ডের পরিচালক প্রফেসর এ.কে.এম আলিফ উল্লাহ আহসান এবং উপ-পরিচালক ফেরদৌস আহমেদ। এসময় তাঁরা অভিযুক্তদের সনদপত্র প্রাথমিকভাবে যাচাই করেছেন জানিয়ে বলেন, যেহেতু একটি লিখিত অভিযোগ হয়েছে তাই আজ প্রাথমিকভাবে আমরা যাচাই করেছি, আরো অধিকতর যাচাইয়ের জন্য কিছুদিন সময় লাগবে। আর যিনি অভিযোগ করেছেন তাকে বলেছি ওনার নিজস্ব প্যাডে লিখিত দেয়ার জন্য যে তিনি উক্ত ১১ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগটি করেননি।

অভিযোগের বিষয়ে জাল সনদে অভিযুক্ত কেন্দুয়া সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত সাবেক অধ্যক্ষ ও বর্তমান সহকারী অধ্যাপক মো. শফিকুল আলম বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে জাল সনদের অভিযোগটি সম্পুর্ণ ভিত্তিহীন, যেখানে অভিযোগকারী তিনি নিজেই স্বীকার করছেন যে তিনি উক্ত অভিযোগটি করেননি।

কেন্দুয়া সরকারি কলেজের ১১ শিক্ষকের বিরুদ্ধে জাল সনদের অভিযোগে বিষয়টি সর্বত্র ছড়িয়ে যাওয়ায় সচেতন মহলে নানা গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছে।