বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইকসু গঠনতন্ত্রে শুধু নিয়মিত শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্তির দাবি

  • ইবি প্রতিনিধি 
  • প্রকাশের সময় : ০৩:৩৭:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ২৩

ইবি প্রতিনিধি 

ডাকসু, জাকসু’র পর এবার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়েও (ইবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ইকসু) ও হল সংসদ গঠনের দাবি জোরদার হয়েছে। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন এক হয়ে “ইকসু গঠন আন্দোলন কমিটি” গঠন করে আন্দোলন শুরু করে। এর প্রেক্ষিতে গত ২৭ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইকসুর গঠনতন্ত্র প্রণয়নের জন্য ১১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করে দ্রুত খসড়া জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। তবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি—ইকসুর গঠনতন্ত্র প্রণয়ন ও নির্বাচন প্রক্রিয়ায় শুধু নিয়মিত শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এই দাবির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সাত দফা প্রস্তাবনা সম্বলিত একটি স্মারকলিপি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির কাছে জমা দিয়েছে তারা।

এসময় সাধারণ শিক্ষার্থীরা পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সাইফুল্লাহ আল মামুন, তৌফিক, ফজলে রাব্বি, শাহরিয়ার রশিদ প্রমূখ।

তাদের দাবিগুলো হলো—অছাত্র কোনোভাবেই প্রার্থী বা ভোটার হতে পারবে না, মাস্টার্সের ফল প্রকাশের পর শিক্ষার্থীরা অযোগ্য হবে, এমফিল ও পিএইচডি পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা প্রার্থী বা ভোটার হতে পারবে না, শুধুমাত্র স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের নিয়মিত শিক্ষার্থীরাই ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবে, প্রার্থীর বয়স, রেজিস্ট্রেশন, পরিচয়পত্র ও ভর্তি সনদ যথাযথভাবে যাচাই করতে হবে, সকল প্রার্থীকে অনুমোদিত মেডিকেল সেন্টার থেকে ডোপ টেস্ট করিয়ে সনদ জমা দিতে হবে, বহিরাগত সম্পৃক্ততা প্রমাণিত হলে প্রার্থিতা বাতিল ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে এবং আওয়ামী লীগ ও তাদের অঙ্গ সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিংবা ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত কাউকে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ দেওয়া যাবে না।

শিক্ষার্থীরা জানান, ইকসু নির্বাচনে শিক্ষার্থীদের প্রকৃত অংশগ্রহণ ও নেতৃত্ব নিশ্চিত করার জন্য কিছু মৌলিক ধারা গঠনতন্ত্রে সংযোজন করা একান্ত জরুরি। অতীতে দেখা গেছে, অছাত্র, দীর্ঘমেয়াদি এমফিল ও পিএইচডি শিক্ষার্থী এবং বহিরাগতদের সম্পৃক্ততায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাজনীতি বিকৃত হয়েছে এবং ক্যাম্পাসের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, ইকসু হবে কেবলমাত্র নিয়মিত শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বের মঞ্চ।

ইবি ভিসি বলেন, ইকসু গঠন কমিটি তারা ইকসু’র জন্য ড্রাফট রেডি করে ফেলেছে। সেখানে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের প্রাধান্য দিয়েই  গঠনতন্ত্র রেডি করা হয়েছে। আগামীকাল এসিতে যাবে পরবর্তীতে জরুরি সিনিন্ডেকেটের মাধ্যমে আমরা সেটি ইউজিসিতে পাঠাবো।

জনপ্রিয়

নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে এগিয়ে আসার আহ্বান

ইকসু গঠনতন্ত্রে শুধু নিয়মিত শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্তির দাবি

প্রকাশের সময় : ০৩:৩৭:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ইবি প্রতিনিধি 

ডাকসু, জাকসু’র পর এবার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়েও (ইবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ইকসু) ও হল সংসদ গঠনের দাবি জোরদার হয়েছে। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন এক হয়ে “ইকসু গঠন আন্দোলন কমিটি” গঠন করে আন্দোলন শুরু করে। এর প্রেক্ষিতে গত ২৭ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইকসুর গঠনতন্ত্র প্রণয়নের জন্য ১১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করে দ্রুত খসড়া জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। তবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি—ইকসুর গঠনতন্ত্র প্রণয়ন ও নির্বাচন প্রক্রিয়ায় শুধু নিয়মিত শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এই দাবির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সাত দফা প্রস্তাবনা সম্বলিত একটি স্মারকলিপি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির কাছে জমা দিয়েছে তারা।

এসময় সাধারণ শিক্ষার্থীরা পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সাইফুল্লাহ আল মামুন, তৌফিক, ফজলে রাব্বি, শাহরিয়ার রশিদ প্রমূখ।

তাদের দাবিগুলো হলো—অছাত্র কোনোভাবেই প্রার্থী বা ভোটার হতে পারবে না, মাস্টার্সের ফল প্রকাশের পর শিক্ষার্থীরা অযোগ্য হবে, এমফিল ও পিএইচডি পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা প্রার্থী বা ভোটার হতে পারবে না, শুধুমাত্র স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের নিয়মিত শিক্ষার্থীরাই ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবে, প্রার্থীর বয়স, রেজিস্ট্রেশন, পরিচয়পত্র ও ভর্তি সনদ যথাযথভাবে যাচাই করতে হবে, সকল প্রার্থীকে অনুমোদিত মেডিকেল সেন্টার থেকে ডোপ টেস্ট করিয়ে সনদ জমা দিতে হবে, বহিরাগত সম্পৃক্ততা প্রমাণিত হলে প্রার্থিতা বাতিল ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে এবং আওয়ামী লীগ ও তাদের অঙ্গ সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিংবা ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত কাউকে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ দেওয়া যাবে না।

শিক্ষার্থীরা জানান, ইকসু নির্বাচনে শিক্ষার্থীদের প্রকৃত অংশগ্রহণ ও নেতৃত্ব নিশ্চিত করার জন্য কিছু মৌলিক ধারা গঠনতন্ত্রে সংযোজন করা একান্ত জরুরি। অতীতে দেখা গেছে, অছাত্র, দীর্ঘমেয়াদি এমফিল ও পিএইচডি শিক্ষার্থী এবং বহিরাগতদের সম্পৃক্ততায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাজনীতি বিকৃত হয়েছে এবং ক্যাম্পাসের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, ইকসু হবে কেবলমাত্র নিয়মিত শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বের মঞ্চ।

ইবি ভিসি বলেন, ইকসু গঠন কমিটি তারা ইকসু’র জন্য ড্রাফট রেডি করে ফেলেছে। সেখানে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের প্রাধান্য দিয়েই  গঠনতন্ত্র রেডি করা হয়েছে। আগামীকাল এসিতে যাবে পরবর্তীতে জরুরি সিনিন্ডেকেটের মাধ্যমে আমরা সেটি ইউজিসিতে পাঠাবো।