মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সেই সাক্ষাৎকার এআই দিয়ে বানানো: মির্জা ফখরুল

ছবি-বিবিসি বাংলা

‘নির্বাচনের ৩০টি আসনের প্রতিশ্রুতি না পেয়ে’ পিআর নিয়ে জামায়াতে ইসলামী চাপ সৃষ্টি করছে বলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের যে ভাষ্য প্রচার করেছে কলকাতার সংবাদমাধ্যম ‘এই সময়’, সেটিকে ‘ভুয়া’ বলে দাবি করেছন তিনি।

ওই বক্তব্য নিয়ে নিউ ইয়র্কে সফররত মির্জা ফখরুল বলেন, ওই নিউজটা ফেইক নিউজ। ওরা (পত্রিকাটি) আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) দিয়ে এই মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর সংবাদ দিয়েছে। কোনো রাজনৈতিক নেতা এ রকম অবান্তর কথা বলতে পারে? আপনি বলুন। এটা উদ্দেশ্যমূলক। কলকাতার ‘এই সময়ে’ আমি এই ধরনের কোনো কথা বলিনি।

এর আগে, কলকাতার দৈনিক ‘এই সময়’ বিএনপি মহাসচিবের সাক্ষাৎকার ছেপেছে। সেখানে মির্জা ফখরুল বলেন, তাদের কাছে ‘৩০টি আসন’ চেয়েছিল জামায়াত। এর জবাবে ‘অনেক কম’ সংখ্যার কথা বলেছে বিএনপি, যা তাদের ‘মনঃপূত হয়নি’। জামায়াতকে আর আমরা মাথায় উঠতে দেব না। তারা যত বড় না শক্তি, আমরা অকারণে তার চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি।

ওই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেন, এ ধরনের সম্পূর্ণ অসত্য, অমর্যাদাকর ও প্রতিহিংসাপরায়ণ বক্তব্য মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মত প্রবীণ রাজনীতিবিদ দিয়েছেন তা বিশ্বাস করতে আমাদের কষ্ট হয়। এই বক্তব্যের সাথে সত্য ও শিষ্টাচারের কোনো মিল নেই। যদি এ বক্তব্য তার হয়ে থাকে, তবে বাধ্য হয়ে আমরা তার প্রতিবাদ ও নিন্দা জ্ঞাপন করছি। পাশাপাশি এই বক্তব্য যদি তার হয়ে থাকে–তাহলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কার কাছে এই আসনগুলো দাবি করেছে– তার প্রমাণ জাতির কাছে উপস্থাপন করার জন্য দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে আহবান জানাচ্ছি।

সাক্ষাৎকারে ফখরুল বলেন, পিআর-টিআর সবই বিএনপির উপরে চাপ সৃষ্টির কৌশল। জামায়াত কিন্তু নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করছে।

ফখরুলের কাছে ‘এই সময়’ এর প্রশ্ন ছিল, প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলছেন, ফেব্রুয়ারিতে ভারতের প্রভাব ছাড়া নির্বাচন ও সরকার গঠন হবে। সত্যিই কি বাংলাদেশে ভারতের কোনো প্রভাব আর অবশিষ্ট নেই?

জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ভারত মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী। সেই সময়ে এক কোটি মানুষকে আশ্রয় দিয়েছে ভারত। ভৌগোলিকভাবেও বাংলাদেশের তিন দিকে ভারত, একদিকে সাগর। সুতরাং ভারতের প্রভাব বাংলাদেশে থাকবেই। সমস্যা হল, বাংলাদেশ বলতে শুধু আওয়ামী লীগকে বুঝেছে ভারতের শাসকেরা। আওয়ামী লীগের ভাষ্য মেনে বিএনপি আর জামায়াতকে একই বন্ধনীতে ফেলেছে। জামায়াত আর বিএনপির রাজনীতি তো এক নয়। আমরা অসাম্প্রদায়িক, মধ্যপন্থী একটি গণতান্ত্রিক দল। মুক্তিযুদ্ধে অর্জিত সংবিধান রক্ষায় আজও আমরা স্বাধীনতাবিরোধীদের সঙ্গে লড়াই করছি। বামেরা আমাদের সঙ্গে রয়েছে।

সাক্ষাৎকারের ওই অংশের প্রতিবাদে জামায়াতের বিবৃতিতে গোলাম পরওয়ার বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি এবং সংগঠনের মর্যাদা সম্পর্কে তিনি যে তাচ্ছিল্যের ভাষায় কথা বলেছেন, তার বিচারের ভার জনগণের আদালতের উপর ছেড়ে দিলাম। প্রিয় জনগণের উপর আমাদের যথেষ্ট আস্থা রয়েছে। আমাদের কার্যক্রম দেশ ও জনগণের জন্য। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনই আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য। আমাদের ভরসার মূল জায়গা মহান রবের করুণা ও সাহায্য। ভবিষ্যতে এ ধরনের অসত্য ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্য প্রদান থেকে বিরত থাকার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।

জনপ্রিয়

সিরাজগঞ্জ সিজেডএমের উদ্যোগে ৬০০ হতদরিদ্রের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুরি ইউনিয়নের কৈজুরি পাথালিয়াপাড়া এলাকায় সেন্টার ফর যাকাত ম্যানেজমেন্ট (সিজেডএম) এর জীবিকা উন্নয়ন কেন্দ্রের উদ্যোগে ৬০০ হতদরিদ্র নারী ও পুরুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৈজুরি বাজার জামে মসজিদের ইমাম ও কৈজুরি মাদ্রাসার সাবেক শিক্ষক মাওলানা মো. জয়নাল আবেদীন। বিশেষ অতিথি ছিলেন একই মাদ্রাসার শিক্ষক আব্দুল খালেক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিজেডএমের জীবিকা উন্নয়ন কেন্দ্র, শাহজাদপুর উপজেলা শাখার প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর মো. ইসমাইল হক। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন একাউন্টস অ্যান্ড অ্যাডমিন অফিসার হাফিজুর রহমান, ফিল্ড অফিসার মো. শহিদুল ইসলামসহ জীবিকা উন্নয়ন কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। শীতবস্ত্র পেয়ে উপকারভোগী নারী ও পুরুষরা সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং শীত মৌসুমে এ সহায়তাকে সময়োপযোগী ও মানবিক উদ্যোগ হিসেবে উল্লেখ করেন।

সেই সাক্ষাৎকার এআই দিয়ে বানানো: মির্জা ফখরুল

প্রকাশের সময় : ১০:৪৩:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

‘নির্বাচনের ৩০টি আসনের প্রতিশ্রুতি না পেয়ে’ পিআর নিয়ে জামায়াতে ইসলামী চাপ সৃষ্টি করছে বলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের যে ভাষ্য প্রচার করেছে কলকাতার সংবাদমাধ্যম ‘এই সময়’, সেটিকে ‘ভুয়া’ বলে দাবি করেছন তিনি।

ওই বক্তব্য নিয়ে নিউ ইয়র্কে সফররত মির্জা ফখরুল বলেন, ওই নিউজটা ফেইক নিউজ। ওরা (পত্রিকাটি) আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) দিয়ে এই মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর সংবাদ দিয়েছে। কোনো রাজনৈতিক নেতা এ রকম অবান্তর কথা বলতে পারে? আপনি বলুন। এটা উদ্দেশ্যমূলক। কলকাতার ‘এই সময়ে’ আমি এই ধরনের কোনো কথা বলিনি।

এর আগে, কলকাতার দৈনিক ‘এই সময়’ বিএনপি মহাসচিবের সাক্ষাৎকার ছেপেছে। সেখানে মির্জা ফখরুল বলেন, তাদের কাছে ‘৩০টি আসন’ চেয়েছিল জামায়াত। এর জবাবে ‘অনেক কম’ সংখ্যার কথা বলেছে বিএনপি, যা তাদের ‘মনঃপূত হয়নি’। জামায়াতকে আর আমরা মাথায় উঠতে দেব না। তারা যত বড় না শক্তি, আমরা অকারণে তার চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি।

ওই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেন, এ ধরনের সম্পূর্ণ অসত্য, অমর্যাদাকর ও প্রতিহিংসাপরায়ণ বক্তব্য মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মত প্রবীণ রাজনীতিবিদ দিয়েছেন তা বিশ্বাস করতে আমাদের কষ্ট হয়। এই বক্তব্যের সাথে সত্য ও শিষ্টাচারের কোনো মিল নেই। যদি এ বক্তব্য তার হয়ে থাকে, তবে বাধ্য হয়ে আমরা তার প্রতিবাদ ও নিন্দা জ্ঞাপন করছি। পাশাপাশি এই বক্তব্য যদি তার হয়ে থাকে–তাহলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কার কাছে এই আসনগুলো দাবি করেছে– তার প্রমাণ জাতির কাছে উপস্থাপন করার জন্য দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে আহবান জানাচ্ছি।

সাক্ষাৎকারে ফখরুল বলেন, পিআর-টিআর সবই বিএনপির উপরে চাপ সৃষ্টির কৌশল। জামায়াত কিন্তু নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করছে।

ফখরুলের কাছে ‘এই সময়’ এর প্রশ্ন ছিল, প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলছেন, ফেব্রুয়ারিতে ভারতের প্রভাব ছাড়া নির্বাচন ও সরকার গঠন হবে। সত্যিই কি বাংলাদেশে ভারতের কোনো প্রভাব আর অবশিষ্ট নেই?

জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ভারত মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী। সেই সময়ে এক কোটি মানুষকে আশ্রয় দিয়েছে ভারত। ভৌগোলিকভাবেও বাংলাদেশের তিন দিকে ভারত, একদিকে সাগর। সুতরাং ভারতের প্রভাব বাংলাদেশে থাকবেই। সমস্যা হল, বাংলাদেশ বলতে শুধু আওয়ামী লীগকে বুঝেছে ভারতের শাসকেরা। আওয়ামী লীগের ভাষ্য মেনে বিএনপি আর জামায়াতকে একই বন্ধনীতে ফেলেছে। জামায়াত আর বিএনপির রাজনীতি তো এক নয়। আমরা অসাম্প্রদায়িক, মধ্যপন্থী একটি গণতান্ত্রিক দল। মুক্তিযুদ্ধে অর্জিত সংবিধান রক্ষায় আজও আমরা স্বাধীনতাবিরোধীদের সঙ্গে লড়াই করছি। বামেরা আমাদের সঙ্গে রয়েছে।

সাক্ষাৎকারের ওই অংশের প্রতিবাদে জামায়াতের বিবৃতিতে গোলাম পরওয়ার বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি এবং সংগঠনের মর্যাদা সম্পর্কে তিনি যে তাচ্ছিল্যের ভাষায় কথা বলেছেন, তার বিচারের ভার জনগণের আদালতের উপর ছেড়ে দিলাম। প্রিয় জনগণের উপর আমাদের যথেষ্ট আস্থা রয়েছে। আমাদের কার্যক্রম দেশ ও জনগণের জন্য। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনই আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য। আমাদের ভরসার মূল জায়গা মহান রবের করুণা ও সাহায্য। ভবিষ্যতে এ ধরনের অসত্য ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্য প্রদান থেকে বিরত থাকার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।