সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিক্ষা বোর্ডের গুদাম থেকে খাতা ও লুজশিট উধাও 

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি 
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের গুদাম থেকে ছয় লাখ পরীক্ষার খাতা এবং চার লাখ অতিরিক্ত খাতা বা লুজশিট উধাও হয়ে গেছে। গত এক সপ্তাহ আগে ঘটনাটি ধরা পড়লেও গোঁজামিল দিয়ে সংকট সমাধানের চেষ্টা চলছে, যা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে বোর্ডে।

এরপর থেকে সামনে এসেছে একের পর এক ফল জালিয়াতির ঘটনা। খাতা লুট আর ফল জালিয়াতি একই চক্রের কাজ বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।
অভিযোগ রয়েছে, শিক্ষা বোর্ডের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা, ঠিকাদার এবং বাইরের একটি সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে বোর্ডকেন্দ্রিক নানা দুর্নীতিতে লিপ্ত। আগে এই চক্রটি নিয়ন্ত্রণ করতেন পলাতক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। জুলাই বিপ্লবের পর শীর্ষ পদগুলোতে পরিবর্তন এলেও নিচের দিকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রয়েছেন অপরিবর্তিত। ফলে চক্রটি এখনো সক্রিয়।
শিক্ষা বোর্ডের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বোর্ডের গুদামে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য বিশেষায়িত খাতা থাকার কথা ছিল ১৬ লাখ ৪৫ হাজার ১৮৯টি। কিন্তু গণনার পর ১০ লাখ ৪৭ হাজার খাতা পাওয়া গেছে। অর্থাৎ, উধাও হয়ে গেছে প্রায় ছয় লাখ খাতা। একইসঙ্গে ১২ লাখ ৪৮ হাজার ৭৯০টি অতিরিক্ত খাতা বা লুজশিটের স্থলে সাড়ে আট লাখ খাতা পাওয়া গেছে। এক্ষেত্রেও প্রায় চার লাখ লুজশিট গায়েব হয়ে গেছে। গায়েব হয়ে যাওয়া খাতার কারণে ঝুঁকিতে পড়েছে পুরো শিক্ষা বোর্ড। আগামী যে কোনো মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট পরীক্ষায় এসব খাতা অপব্যবহার হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়।
জনপ্রিয়

চৌগাছার ইজিবাইক–প্রাইভেটকার মুখোমুখি সংঘর্ষ, শিক্ষার্থীসহ আহত ৭

শিক্ষা বোর্ডের গুদাম থেকে খাতা ও লুজশিট উধাও 

প্রকাশের সময় : ১২:৫১:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি 
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের গুদাম থেকে ছয় লাখ পরীক্ষার খাতা এবং চার লাখ অতিরিক্ত খাতা বা লুজশিট উধাও হয়ে গেছে। গত এক সপ্তাহ আগে ঘটনাটি ধরা পড়লেও গোঁজামিল দিয়ে সংকট সমাধানের চেষ্টা চলছে, যা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে বোর্ডে।

এরপর থেকে সামনে এসেছে একের পর এক ফল জালিয়াতির ঘটনা। খাতা লুট আর ফল জালিয়াতি একই চক্রের কাজ বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।
অভিযোগ রয়েছে, শিক্ষা বোর্ডের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা, ঠিকাদার এবং বাইরের একটি সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে বোর্ডকেন্দ্রিক নানা দুর্নীতিতে লিপ্ত। আগে এই চক্রটি নিয়ন্ত্রণ করতেন পলাতক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। জুলাই বিপ্লবের পর শীর্ষ পদগুলোতে পরিবর্তন এলেও নিচের দিকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রয়েছেন অপরিবর্তিত। ফলে চক্রটি এখনো সক্রিয়।
শিক্ষা বোর্ডের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বোর্ডের গুদামে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য বিশেষায়িত খাতা থাকার কথা ছিল ১৬ লাখ ৪৫ হাজার ১৮৯টি। কিন্তু গণনার পর ১০ লাখ ৪৭ হাজার খাতা পাওয়া গেছে। অর্থাৎ, উধাও হয়ে গেছে প্রায় ছয় লাখ খাতা। একইসঙ্গে ১২ লাখ ৪৮ হাজার ৭৯০টি অতিরিক্ত খাতা বা লুজশিটের স্থলে সাড়ে আট লাখ খাতা পাওয়া গেছে। এক্ষেত্রেও প্রায় চার লাখ লুজশিট গায়েব হয়ে গেছে। গায়েব হয়ে যাওয়া খাতার কারণে ঝুঁকিতে পড়েছে পুরো শিক্ষা বোর্ড। আগামী যে কোনো মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট পরীক্ষায় এসব খাতা অপব্যবহার হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়।