
বাংলাদেশে দক্ষিণপন্থি রাজনীতি উত্থানের চেষ্টা হচ্ছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জামায়াতে ইসলামী লাইম লাইটে এলেও জনমনে এর খুব বেশি প্রভাব পড়েনি। দলটি আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ও জাতীয় পার্টি নিষ্ক্রিয় থাকার সুবিধা পাচ্ছে। নিউইয়র্কে সময় সংবাদকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
জুলাই বিপ্লবের পর রাজনীতির মাঠে বিএনপির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াতে ইসলামী। রাজনীতিতে দীর্ঘ দিনের সহযাত্রী দল দুটির মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে দূরত্ব বেড়েছে। সংস্কার, জুলাই সনদসহ নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে বিএনপি-জামায়াতের বর্তমান অবস্থান এখন বিপরীতমুখী।
এসব বিষয় নিয়ে নিউইয়র্ক সফররত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে কথা হয় সময় সংবাদের। সাক্ষাৎকারে মির্জা ফখরুল বলেন, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ এবং জাতীয় পার্টিও রাজনৈতিকভাবে নিষ্ক্রিয় থাকায় সুবিধাজনক অবস্থানে আছে জামায়াত।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘জামায়াত যেভাবেই হোক লাইম লাইটে এসে গেছে। মিডিয়া ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডের বদৌলতে একটা জায়গাতে তারা পৌঁছানোর চেষ্টা করছে এবং এটা তারা করবেই। জনগণের মধ্যে জামায়াতের খুব বেশি প্রভাব বেড়েছে বলে আমার কাছে মনে হয় না। আমি নিজে মাঠের রাজনীতি করি, যাতায়াত করি, বুঝতে পারি, খুব বেশি একটা নেই।’
বৈশ্বিক রাজনীতির গতিপ্রবাহ তুলে ধরে বাংলাদেশও যে তা থেকে বিচ্ছিন্ন নয়, তা স্পষ্ট করেন মির্জা ফখরুল। তবে সেই প্রচেষ্টা ভোটের মাঠে সফল হবে না বলে বিশ্বাস তার।
তিনি বলেন, সমস্যাটা হচ্ছে, সারা পৃথিবীতেই দক্ষিণপন্থি রাজনীতির উত্থান হচ্ছে। বাংলাদেশেও এটার চেষ্টা করা হচ্ছে। জামাতের সুবিধা হচ্ছে তারা খুবই সংগঠিত, রেডিমেন্টেড পলিটিকাল পার্টি। তাদের ফান্ডও আছে যথেষ্ট। এটা তাদের জন্য প্লাস পয়েন্ট। তবে জনগণের কাছে গিয়ে ইলেকশন পুরোপুরি জিতে যাওয়া এমন কোন কিছু আমার মনে হয় না।
জাতিসংঘে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের পর নির্বাচন নিয়ে সংশয় কিছুটা হলেও কমেছে বলে মনে করেন মির্জা ফখরুল। তিনি আরও জানান, সারা দেশে বিএনপির সম্মেলন হচ্ছে, সাংগঠনিকভাবে দল গোছানো হচ্ছে। নির্বাচনের আগে সময় মতোই দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরবেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক 







































