বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঘরোয়া উপায়ে যেভাবে সারাবেন নখকুনি, কেন হয় ?

পায়ের নখের সমস্যার মধ্যে অন্যতম বিরক্তিকর সমস্যা হলো নখকুনি। সাধারণভাবে এটি বোঝায় পায়ের নখ চামড়ার মধ্যে প্রবেশ করলে যে ব্যথা ও সমস্যা হয়। নখকুনি শুধু ব্যথার কারণ নয়, তা থেকে ইনফেকশনও হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সঠিক যত্ন না নিলে এটি জটিল আকার নিতে পারে।

নখকুনির প্রধান কারণ

.ভুলভাবে নখ কাটা

.টাইট বা ফিটিং জুতা পরা

.নখে আঘাত লাগা

.অপর্যাপ্ত হাইজিন

পায়ের ঘাম ও জীবাণু সংক্রমণ

ঘরোয়া উপায়ে নখকুনি সারানোর পদ্ধতি

গরম পানিতে পা ভিজানো:
প্রতিদিন ১৫-২০ মিনিট পা গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখলে নখের আশপাশ নরম হয়, ব্যথা কমে এবং ইনফেকশনের ঝুঁকি হ্রাস পায়। চাইলে পানিতে সামান্য লবণ মিশিয়ে নিতে পারেন।

অ্যান্টিসেপটিক ব্যবহার:
পা ভিজানোর পর ভালো করে শুকিয়ে অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম বা আইডিন ব্যবহার করলে জীবাণু সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

কটন বল ব্যবহার:
নখ ও চামড়ার মধ্যে হালকা করে ছোট কটন বল রাখা নখকে কিছুটা সোজা রাখতে সাহায্য করে।

অ্যাপল সিডার ভিনেগার:
এক কাপ পানিতে ২ চা চামচ অ্যাপল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে পা ভিজিয়ে রাখলে ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাস ধ্বংস হয়।

প্রতিরোধের উপায়

.পা ও হাতের নখ নিয়মিত পরিষ্কার রাখা

.খোলা ও আরামদায়ক জুতা পরা

.নখ সোজাভাবে কাটা, গোল করে না কাটা

.ঘাম ধরে রাখে এমন মোজা পরা এড়িয়ে চলা

.ডায়াবেটিস থাকলে পায়ের বিশেষ যত্ন নেওয়া

.কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত

.ইনফেকশন বেড়ে গেলে বা পুঁজ জমলে

পা ফোলা

.৫-৬ দিনের মধ্যে ব্যথা বা কুনি সংক্রান্ত সমস্যা কম না হলে

বিশেষজ্ঞরা মনে করান, নখকুনির সমস্যাকে অবহেলা করলে তা ভবিষ্যতে জটিল আকার নিতে পারে। তাই শুরু থেকেই ঘরোয়া যত্ন ও সঠিক পদ্ধতি মেনে চলা জরুরি।

জনপ্রিয়

পঞ্চগড়ে কৃষকের অধিকার ও অন্তর্ভুক্তিকরন এবং নারী ও শিশুর সহিংসতারোধে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত

ঘরোয়া উপায়ে যেভাবে সারাবেন নখকুনি, কেন হয় ?

প্রকাশের সময় : ০৮:১২:১০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর ২০২৫

পায়ের নখের সমস্যার মধ্যে অন্যতম বিরক্তিকর সমস্যা হলো নখকুনি। সাধারণভাবে এটি বোঝায় পায়ের নখ চামড়ার মধ্যে প্রবেশ করলে যে ব্যথা ও সমস্যা হয়। নখকুনি শুধু ব্যথার কারণ নয়, তা থেকে ইনফেকশনও হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সঠিক যত্ন না নিলে এটি জটিল আকার নিতে পারে।

নখকুনির প্রধান কারণ

.ভুলভাবে নখ কাটা

.টাইট বা ফিটিং জুতা পরা

.নখে আঘাত লাগা

.অপর্যাপ্ত হাইজিন

পায়ের ঘাম ও জীবাণু সংক্রমণ

ঘরোয়া উপায়ে নখকুনি সারানোর পদ্ধতি

গরম পানিতে পা ভিজানো:
প্রতিদিন ১৫-২০ মিনিট পা গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখলে নখের আশপাশ নরম হয়, ব্যথা কমে এবং ইনফেকশনের ঝুঁকি হ্রাস পায়। চাইলে পানিতে সামান্য লবণ মিশিয়ে নিতে পারেন।

অ্যান্টিসেপটিক ব্যবহার:
পা ভিজানোর পর ভালো করে শুকিয়ে অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম বা আইডিন ব্যবহার করলে জীবাণু সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

কটন বল ব্যবহার:
নখ ও চামড়ার মধ্যে হালকা করে ছোট কটন বল রাখা নখকে কিছুটা সোজা রাখতে সাহায্য করে।

অ্যাপল সিডার ভিনেগার:
এক কাপ পানিতে ২ চা চামচ অ্যাপল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে পা ভিজিয়ে রাখলে ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাস ধ্বংস হয়।

প্রতিরোধের উপায়

.পা ও হাতের নখ নিয়মিত পরিষ্কার রাখা

.খোলা ও আরামদায়ক জুতা পরা

.নখ সোজাভাবে কাটা, গোল করে না কাটা

.ঘাম ধরে রাখে এমন মোজা পরা এড়িয়ে চলা

.ডায়াবেটিস থাকলে পায়ের বিশেষ যত্ন নেওয়া

.কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত

.ইনফেকশন বেড়ে গেলে বা পুঁজ জমলে

পা ফোলা

.৫-৬ দিনের মধ্যে ব্যথা বা কুনি সংক্রান্ত সমস্যা কম না হলে

বিশেষজ্ঞরা মনে করান, নখকুনির সমস্যাকে অবহেলা করলে তা ভবিষ্যতে জটিল আকার নিতে পারে। তাই শুরু থেকেই ঘরোয়া যত্ন ও সঠিক পদ্ধতি মেনে চলা জরুরি।