
যশোর অফিস
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে যশোর শহরের ঐতিহ্যবাহী লালদীঘিতে একে একে শুরু হয় দুর্গাপ্রতিমা বিসর্জন। বর্ণিল আয়োজনে চলে নিরঞ্জনের শেষ আনুষ্ঠানিকতা। একদিকে প্রতিমা বিসর্জন, অন্যদিকে মঞ্চে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান—সব মিলিয়ে রাতভর উৎসবমুখর ছিল পুরো প্রাঙ্গণ।
এবার যশোর শহর ও শহরতলীর ৫৩টি প্রতিমা লালদীঘিতে এবং ভৈরব নদীতে আরও দুটি প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়। বিভিন্ন পূজামণ্ডপ থেকে ঢাকঢোল বাজিয়ে প্রতিমা নিয়ে এসে ভিড় জমে লালদীঘির পাড়ে। বিদায়ের আবেগ আর উৎসবের আমেজে জমে ওঠে চারপাশ। মধ্যরাতে শেষ হয় আয়োজন।
অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক আজহারুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার রওনক জাহান উপস্থিত থেকে শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গোৎসব উদযাপন করায় যশোরবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান এবং সম্প্রীতির ধারা বজায় রাখার আহ্বান জানান।
সন্ধ্যার পর নিরঞ্জন অনুষ্ঠানের আলোচনায় যোগ দেন বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। তিনি জানান, তাঁর প্রয়াত পিতা সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলাম প্রথমবার লালদীঘিতে নিরঞ্জন অনুষ্ঠান শুরু করেছিলেন। তিনি বলেন,“ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই মিলে আমরা একসাথে বড় হয়েছি। এবার বিএনপির নেতাকর্মীরা যশোরের ১৬৫টি পূজামণ্ডপে কাজ করেছেন,যাতে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা নির্বিঘ্নে দুর্গোৎসব পালন করতে পারেন।”
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন,জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দীপঙ্কর দাস রতন,সাধারণ সম্পাদক তপন কুমার ঘোষ, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুনসহ রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা।
এ বছর যশোর জেলার মোট ৭০৮টি পূজামণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১৬৫টি, অভয়নগরে ১২৭টি, কেশবপুরে ৯৮টি, মণিরামপুরে ৯৬টি, বাঘারপাড়ায় ৯১টি, ঝিকরগাছায় ৫৪টি, চৌগাছায় ৪৮টি এবং শার্শায় ২৯টি পূজামণ্ডপ ছিল। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মাঠপর্যায়ে পুলিশ, র্যাব ও আনসার ছাড়াও সেনাবাহিনী মোতায়েন ছিল।শাস্ত্র মতে, এ বছর দেবী দুর্গার আগমন হয়েছিল হাতির পিঠে,আর বিদায় নিয়েছেন পালকিতে চড়ে।
যশোর অফিস 





































