
ফাঁকি দেওয়া রাজস্ব পুনরুদ্ধার ও কর ফাঁকি প্রতিরোধের মাধ্যমে দেশের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি করতে মাঠ পর্যায়ে গোয়েন্দা কার্যক্রম আরও জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ লক্ষ্যে দেশের প্রতিটি কর অঞ্চলে ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন সেল (আইআইসি) সক্রিয়ভাবে কাজ করবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
রবিবার সকালে এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা আল আমিন শেখের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, এনবিআরের সদস্য (কর অডিট, ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন) দফতর থেকে জারি করা নির্দেশনায় বলা হয়েছে— প্রতিটি কর অঞ্চল একটি করে ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন টিম গঠন করবে। নির্দেশনায় টিমের কার্যপ্রণালি, তদন্ত প্রক্রিয়া, সুপারিশ প্রণয়নের ধরন এবং রাজস্ব পুনরুদ্ধার কার্যক্রমের অনুমোদন প্রক্রিয়া সম্পর্কেও বিস্তারিত দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশনা অনুযায়ী, বিভিন্ন উৎস থেকে প্রাপ্ত গোয়েন্দা তথ্য, কর ফাঁকির অভিযোগ, আয়কর রিটার্নে অসঙ্গতি, আয়কর নথিতে ঘষামাজা বা কাটা-ছেঁড়া, অস্বাভাবিক করমুক্ত আয় প্রদর্শন এবং সম্পদ বিবরণীতে অস্বাভাবিক নীট সম্পদ প্রদর্শনের মতো সন্দেহজনক ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট টিম তদন্ত শুরু করবে।
তদন্ত চলাকালে কর ফাঁকির সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেলে টিমটি রাজস্ব পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন কমিটির অনুমোদনের জন্য বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে। প্রমাণ স্পষ্ট হলে কমিটি আইনানুগভাবে রাজস্ব পুনরুদ্ধারের কার্যক্রম শুরু করবে।
এ ছাড়া প্রতিটি কর কমিশনারেটকে মাসিক ভিত্তিতে নির্ধারিত ছকে গোয়েন্দা কার্যক্রমের অগ্রগতি, অতিরিক্ত কর দাবি ও আদায়ের বিস্তারিত প্রতিবেদন পরবর্তী মাসের ১০ তারিখের মধ্যে এনবিআরে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এনবিআর আশা করছে— মাঠ পর্যায়ে গোয়েন্দা কার্যক্রম জোরদারের মাধ্যমে রাজস্ব ফাঁকি পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হবে, কর ফাঁকির প্রবণতা হ্রাস পাবে এবং দেশের রাজস্ব ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে।
এনবিআর বিশ্বাস করে, ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন সেলের কার্যক্রম আরও গতিশীল হলে দেশে একটি সুষ্ঠু ও টেকসই কর সংস্কৃতি গড়ে উঠবে, যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের গতি বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক 




































