সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জাতি হিসেবে অবশ্যই সেফ এক্সিটের প্রয়োজন রয়েছে: আসিফ নজরুল

ছবি-সংগৃহীত

আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল মন্তব্য করেছেন- উপদেষ্টা হিসেবে সেফ এক্সিটের প্রয়োজন নেই। তবে জাতি হিসেবে সেফ এক্সিটের প্রয়োজন রয়েছে। শনিবার (১১ অক্টোবর) সকালে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘খসড়া জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ-২০২৫’ বিষয়ক জাতীয় পরামর্শ সভায় এই মন্তব্য করেন তিনি।

আসিফ নজরুল বলেন, ‘জাতি হিসেবে সেফ এক্সিটের প্রয়োজন রয়েছে। বিগত ১৬ বছর দুঃশাসন, গুম-খুন ও লুটপাট দেখলাম। অসুস্থ, ভয়াবহ, আত্মধ্বংসী কাঠামো থেকে আমাদের অবশ্যই সেফ এক্সিটের দরকার রয়েছে।
 
উপদেষ্টা হিসেবে সেফ এক্সিটের দরকার নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে অনেকেই সেফ এক্সিটের কথা বলছেন। উপদেষ্টা হিসেবে আমাদের সেফ এক্সিটের প্রয়োজন নেই। তবে ভয়াবহ রাষ্ট্র কাঠামো থেকে এই জাতির সেফ এক্সিট হওয়া দরকার।’
 
আসিফ নজরুল বলেন, ‘ভালো আইন করা মানেই পুরো দেশটা পরিবর্তন হয়ে যাবে এটা আশা করার বয়স আমার নাই। আইন করার ক্ষেত্রে ব্যর্থতার সংখ্যা কম। তবে প্রতিষ্ঠান করার ক্ষেত্রে আমাদের ব্যর্থতা সীমাহীন। কারণ অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে।’
 
রাষ্ট্রপতি কখনোই স্বাধীনভাবে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করেন নাই। সবসময় প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছায় হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন আইন উপদেষ্টা।
 
তিনি বলেন, ‘ভালো আইন হচ্ছে একটি ভিত্তি। কিন্তু এটি নিয়ে বেশি আশার করার কিছু নেই। আশা করবো হিউম্যান রাইটসের যে আইনটা হয়েছে, সেটি যেন একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়।’
 
‘কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানকে অত্যন্ত শক্তিশালী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উচ্চ আদালত এবং সংসদীয় কমিটি। শক্তভাবে দাঁড় করাতে হবে হিউম্যান রাইটস কমিশন,’ যোগ করেন আসিফ নজরুল।
 
এ সময় গৃহায়ন ও গণপূর্ত এবং শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, ‘আগামী নির্বাচনের আগে মানবাধিকার নিয়ে সঠিক কাজগুলো আমাদের করে যেতে হবে। আজকের বাংলাদেশ, রক্তের বিনিময়ে নতুন বাংলাদেশ। আগামী দিনের জন্য দেশকে নতুন করে তৈরি করতে হবে।
জনপ্রিয়

ঢাকা-করাচি সরাসরি ফ্লাইট চালু জানুয়ারিতে

জাতি হিসেবে অবশ্যই সেফ এক্সিটের প্রয়োজন রয়েছে: আসিফ নজরুল

প্রকাশের সময় : ১২:২৪:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫

আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল মন্তব্য করেছেন- উপদেষ্টা হিসেবে সেফ এক্সিটের প্রয়োজন নেই। তবে জাতি হিসেবে সেফ এক্সিটের প্রয়োজন রয়েছে। শনিবার (১১ অক্টোবর) সকালে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘খসড়া জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ-২০২৫’ বিষয়ক জাতীয় পরামর্শ সভায় এই মন্তব্য করেন তিনি।

আসিফ নজরুল বলেন, ‘জাতি হিসেবে সেফ এক্সিটের প্রয়োজন রয়েছে। বিগত ১৬ বছর দুঃশাসন, গুম-খুন ও লুটপাট দেখলাম। অসুস্থ, ভয়াবহ, আত্মধ্বংসী কাঠামো থেকে আমাদের অবশ্যই সেফ এক্সিটের দরকার রয়েছে।
 
উপদেষ্টা হিসেবে সেফ এক্সিটের দরকার নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে অনেকেই সেফ এক্সিটের কথা বলছেন। উপদেষ্টা হিসেবে আমাদের সেফ এক্সিটের প্রয়োজন নেই। তবে ভয়াবহ রাষ্ট্র কাঠামো থেকে এই জাতির সেফ এক্সিট হওয়া দরকার।’
 
আসিফ নজরুল বলেন, ‘ভালো আইন করা মানেই পুরো দেশটা পরিবর্তন হয়ে যাবে এটা আশা করার বয়স আমার নাই। আইন করার ক্ষেত্রে ব্যর্থতার সংখ্যা কম। তবে প্রতিষ্ঠান করার ক্ষেত্রে আমাদের ব্যর্থতা সীমাহীন। কারণ অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে।’
 
রাষ্ট্রপতি কখনোই স্বাধীনভাবে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করেন নাই। সবসময় প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছায় হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন আইন উপদেষ্টা।
 
তিনি বলেন, ‘ভালো আইন হচ্ছে একটি ভিত্তি। কিন্তু এটি নিয়ে বেশি আশার করার কিছু নেই। আশা করবো হিউম্যান রাইটসের যে আইনটা হয়েছে, সেটি যেন একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়।’
 
‘কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানকে অত্যন্ত শক্তিশালী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উচ্চ আদালত এবং সংসদীয় কমিটি। শক্তভাবে দাঁড় করাতে হবে হিউম্যান রাইটস কমিশন,’ যোগ করেন আসিফ নজরুল।
 
এ সময় গৃহায়ন ও গণপূর্ত এবং শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, ‘আগামী নির্বাচনের আগে মানবাধিকার নিয়ে সঠিক কাজগুলো আমাদের করে যেতে হবে। আজকের বাংলাদেশ, রক্তের বিনিময়ে নতুন বাংলাদেশ। আগামী দিনের জন্য দেশকে নতুন করে তৈরি করতে হবে।