সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সম্পত্তি নিয়ে মায়ের মরদেহের সামনেই ২ ভাইয়ের হাতাহাতি, ২০ ঘণ্টা পর দাফন

ছবি-সংগৃহীত

সম্পত্তি নিয়ে দুই ভাইয়ের দ্বন্দ্বের জেরে মায়ের মরদেহ দাফন ২০ ঘণ্টা আটকে রাখার অভিযোগে উঠেছে।

বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ  উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের শাহজাদপুর গ্রামের এনু মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, গত বুধবার সন্ধ্যায় বেগমগঞ্জ উপজেলার মেয়ের বাড়িতে মারা যান আমেনা বেগম (৬৫)। তিনি মৃত মাওলানা সেলামত উল্ল্যাহ’র স্ত্রী। মৃত্যুর পর তার মরদেহ দাফনের জন্য স্বামীর বাড়ি শাহজাদপুরে আনা হয়। কিন্তু দাফনের আগেই শুরু হয় দুই ছেলের মধ্যে উত্তেজনা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আমেনা বেগম মৃত্যুর আগে তার ১২ শতক জমির বড় একটি অংশ ছোট ছেলে সাইফুল্লাহর নামে রেজিস্ট্রি করে দেন। এ নিয়ে বড় ছেলে নজিব উল্ল্যাহ ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং বাড়িতেই শুরু হয় উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়। একপর্যায়ে দুই ভাই মায়ের লাশ সামনে রেখে হাতাহাতিতে জড়ান।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুবাইয়া বিনতে কাশেম। তার হস্তক্ষেপে দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয় এবং অবশেষে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে আমেনা বেগমকে স্বামীর কবরের পাশে দাফন করা হয়।

এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার রুবাইয়া বিনতে কাশেম সাংবাদিকদের বলেন, পরিবারের মধ্যে জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল। আলোচনার মাধ্যমে তাদের মধ্যে সমঝোতা হয়। দাফনের পর স্থানীয়ভাবে বসে সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়টি মীমাংসার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

জনপ্রিয়

ঢাকা-করাচি সরাসরি ফ্লাইট চালু জানুয়ারিতে

সম্পত্তি নিয়ে মায়ের মরদেহের সামনেই ২ ভাইয়ের হাতাহাতি, ২০ ঘণ্টা পর দাফন

প্রকাশের সময় : ০৪:৫২:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫

সম্পত্তি নিয়ে দুই ভাইয়ের দ্বন্দ্বের জেরে মায়ের মরদেহ দাফন ২০ ঘণ্টা আটকে রাখার অভিযোগে উঠেছে।

বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ  উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের শাহজাদপুর গ্রামের এনু মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, গত বুধবার সন্ধ্যায় বেগমগঞ্জ উপজেলার মেয়ের বাড়িতে মারা যান আমেনা বেগম (৬৫)। তিনি মৃত মাওলানা সেলামত উল্ল্যাহ’র স্ত্রী। মৃত্যুর পর তার মরদেহ দাফনের জন্য স্বামীর বাড়ি শাহজাদপুরে আনা হয়। কিন্তু দাফনের আগেই শুরু হয় দুই ছেলের মধ্যে উত্তেজনা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আমেনা বেগম মৃত্যুর আগে তার ১২ শতক জমির বড় একটি অংশ ছোট ছেলে সাইফুল্লাহর নামে রেজিস্ট্রি করে দেন। এ নিয়ে বড় ছেলে নজিব উল্ল্যাহ ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং বাড়িতেই শুরু হয় উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়। একপর্যায়ে দুই ভাই মায়ের লাশ সামনে রেখে হাতাহাতিতে জড়ান।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুবাইয়া বিনতে কাশেম। তার হস্তক্ষেপে দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয় এবং অবশেষে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে আমেনা বেগমকে স্বামীর কবরের পাশে দাফন করা হয়।

এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার রুবাইয়া বিনতে কাশেম সাংবাদিকদের বলেন, পরিবারের মধ্যে জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল। আলোচনার মাধ্যমে তাদের মধ্যে সমঝোতা হয়। দাফনের পর স্থানীয়ভাবে বসে সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়টি মীমাংসার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।