শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আফগান সীমান্তের ১৯ পোস্ট দখলের দাবি পাকিস্তানের

ছবি: সংগৃহীত

সন্ত্রাসী সংগঠন টিটিপির প্রধান নেতাকে লক্ষ্য গত ১০ অক্টোবর রাতে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে বিমান হামলা চালায় পাকিস্তানের বিমানবাহিনী। এ ঘটনার একদিন না যেতেই শনিবার রাতে সীমান্তের বিভিন্ন এলাকায় গুলিবর্ষণ করে আফগান বাহিনী। পাক সেনাদের পাল্টা আক্রমণে দুই পক্ষের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ শুরু হয়, যা চলে রাতভর।

পাক নিরাপত্তা সূত্রের বরাতে জিও নিউজ জানিয়েছে, আঙ্গুর আড্ডা, বাজাউর এবং কুর্রামসহ বেশ কয়েকটি সীমান্ত পয়েন্টে বিনা উসকানিতে গুলিবর্ষণ শুরু করে আফগানিস্তান। পাকিস্তান সেনাবাহিনী তার প্রতিক্রিয়ায় কামান, ট্যাঙ্ক এবং হালকা ও ভারী উভয় অস্ত্র ব্যবহার করেছে। এতে বেশ কয়েকটি আফগান পোস্ট ধ্বংস এবং ‘সেনা ও সন্ত্রাসীদের’ ব্যাপক ক্ষতি করা হয়।

শুধু তাই নয়, ডুরান মেলা, তুর্কমানজাই, শহিদান, কুনার, চাগাইসহ সীমান্তের ১৯টি আফগান পোস্ট দখলের দাবি করেছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী।

জিও নিউজ আরও জানায়, সংঘাতের সময় এসব পোস্টে কয়েক ডজন আফগান সেনা নিহত এবং আহত হয়েছেন। তাদেরকে ফেলে রেখেই কর্মকর্তা ও সদস্যরা পালিয়েছেন।

এর আগে, পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহসিন নাকভি বলেছিলেন, বেসামরিক লোকজনের ওপর আফগান বাহিনীর গোলাবর্ষণ আন্তর্জাতিক আইনের চরম লঙ্ঘন। পাকিস্তানের সাহসী বাহিনীর তাৎক্ষণিক ও কার্যকর জবাব এই বার্তাই দেয় যে, কোনো উসকানি সহ্য করা হবে না।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানি বাহিনী তৎপর রয়েছে এবং আফগানিস্তানকে ইটের বদলে পাথর দিয়ে জবাব দেওয়া হচ্ছে। পাকিস্তানের জনগণ দেশের সেনাবাহিনীর পাশেই আছে। আফগানিস্তানকেও ভারতের মতোই উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে।

জনপ্রিয়

টাঙ্গাইলের শাড়ি পরে বড়দিন উদযাপন করলেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার

আফগান সীমান্তের ১৯ পোস্ট দখলের দাবি পাকিস্তানের

প্রকাশের সময় : ১১:২৪:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫

সন্ত্রাসী সংগঠন টিটিপির প্রধান নেতাকে লক্ষ্য গত ১০ অক্টোবর রাতে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে বিমান হামলা চালায় পাকিস্তানের বিমানবাহিনী। এ ঘটনার একদিন না যেতেই শনিবার রাতে সীমান্তের বিভিন্ন এলাকায় গুলিবর্ষণ করে আফগান বাহিনী। পাক সেনাদের পাল্টা আক্রমণে দুই পক্ষের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ শুরু হয়, যা চলে রাতভর।

পাক নিরাপত্তা সূত্রের বরাতে জিও নিউজ জানিয়েছে, আঙ্গুর আড্ডা, বাজাউর এবং কুর্রামসহ বেশ কয়েকটি সীমান্ত পয়েন্টে বিনা উসকানিতে গুলিবর্ষণ শুরু করে আফগানিস্তান। পাকিস্তান সেনাবাহিনী তার প্রতিক্রিয়ায় কামান, ট্যাঙ্ক এবং হালকা ও ভারী উভয় অস্ত্র ব্যবহার করেছে। এতে বেশ কয়েকটি আফগান পোস্ট ধ্বংস এবং ‘সেনা ও সন্ত্রাসীদের’ ব্যাপক ক্ষতি করা হয়।

শুধু তাই নয়, ডুরান মেলা, তুর্কমানজাই, শহিদান, কুনার, চাগাইসহ সীমান্তের ১৯টি আফগান পোস্ট দখলের দাবি করেছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী।

জিও নিউজ আরও জানায়, সংঘাতের সময় এসব পোস্টে কয়েক ডজন আফগান সেনা নিহত এবং আহত হয়েছেন। তাদেরকে ফেলে রেখেই কর্মকর্তা ও সদস্যরা পালিয়েছেন।

এর আগে, পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহসিন নাকভি বলেছিলেন, বেসামরিক লোকজনের ওপর আফগান বাহিনীর গোলাবর্ষণ আন্তর্জাতিক আইনের চরম লঙ্ঘন। পাকিস্তানের সাহসী বাহিনীর তাৎক্ষণিক ও কার্যকর জবাব এই বার্তাই দেয় যে, কোনো উসকানি সহ্য করা হবে না।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানি বাহিনী তৎপর রয়েছে এবং আফগানিস্তানকে ইটের বদলে পাথর দিয়ে জবাব দেওয়া হচ্ছে। পাকিস্তানের জনগণ দেশের সেনাবাহিনীর পাশেই আছে। আফগানিস্তানকেও ভারতের মতোই উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে।