সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মানুষের জীবনে আল্লাহর কাছে চাওয়ার গুরুত্ব

  • ধর্ম ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ১১:০৪:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
  • ২৮

ছবি: সংগৃহীত

মানব জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে আমরা সীমাবদ্ধতা ও অসহায়ত্বের মুখোমুখি হই। এই সীমাবদ্ধতার ঊর্ধ্বে উঠে অসীম শক্তির আধার মহান আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনার সবচেয়ে সুন্দর ও শক্তিশালী মাধ্যম হলো দোয়া।

দোয়া কেবল কিছু চাওয়ার আনুষ্ঠানিকতা নয়, এটি হলো স্রষ্টার প্রতি বান্দার পূর্ণ আত্মসমর্পণ, গভীর বিশ্বাস এবং একান্ত নির্ভরতার এক আবেগঘন প্রকাশ। এটি এমন এক সেতুবন্ধন যা দৃশ্যমান জগতের সকল বাধা অতিক্রম করে বান্দার আকুতিকে সরাসরি তার প্রতিপালকের কাছে পৌঁছে দেয়।

 ইতিহাসের পাতা থেকে শুরু করে বর্তমান সময়েও এমন অসংখ্য ঘটনা রয়েছে, যেখানে দোয়ার অলৌকিক শক্তি প্রমাণিত হয়েছে। এই আলোচনায় আমরা কয়েকটি ছোট কিন্তু অর্থবহ গল্পের মাধ্যমে দোয়ার গুরুত্ব ও তার প্রভাব তুলে ধরব, যা আমাদের বিশ্বাসকে আরও সুদৃঢ় করতে সহায়ক হবে।

দোয়া বা প্রার্থনা হলো স্রষ্টার সঙ্গে সৃষ্টির এক নিবিড় কথোপকথন। এটি কেবলই কিছু চাওয়ার মাধ্যম নয়, বরং আল্লাহর প্রতি বান্দার বিশ্বাস, ভরসা এবং আত্মসমর্পণের এক অনন্য প্রকাশ। ইতিহাসের পাতা থেকে শুরু করে আমাদের চারপাশের জীবনে এমন অসংখ্য ঘটনা রয়েছে, যা দোয়ার অবিশ্বাস্য শক্তি এবং গুরুত্বকে তুলে ধরে। নিচে কয়েকটি ছোট গল্পের মাধ্যমে দোয়ার গুরুত্ব আলোচনা করা হলো।

ইউনুস (আ. ) এর দোয়া
 
হযরত ইউনুস (আ.) কে যখন একটি বিশাল মাছ গিলে ফেলেছিল, তখন তিনি সাগরের অতল গভীরে, মাছের পেটের অন্ধকারে বন্দি ছিলেন। সেই চরম অসহায় মুহূর্তে, যখন বাঁচার কোনো আশাই ছিল না, তিনি হতাশ হননি। তিনি তাঁর ভুল স্বীকার করে সম্পূর্ণ sincerতার সাথে আল্লাহকে ডেকেছিলেন। পবিত্র কুরআনে তাঁর এই দোয়াটি উল্লেখ করা হয়েছে, ‘লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জোয়ালিমিন।’

অর্থ: তুমি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, তুমি পবিত্র, মহান! আমি তো সীমা লঙ্ঘনকারীদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেছি। (সুরা আল-আম্বিয়া: ৮৭)


আল্লাহ তার এই আকুতিপূর্ণ ও বিনয়ী দোয়া কবুল করেছিলেন। তিনি সেই অন্ধকার অসম্ভব পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন। এই ঘটনা আমাদের শেখায় যে, চরম বিপদ ও হতাশার মাঝেও খাঁটি দিলে করা দোয়া আল্লাহ শোনেন এবং বিপদ থেকে উদ্ধার করেন।

বৃষ্টির জন্য এক ব্যক্তির দোয়া
 
রাসুলুল্লাহ (সা.) এর সময়ে একবার মদিনায় অনেক বেশি খরা দেখা দেয়। মাঠের ফসল শুকিয়ে যাচ্ছিল, মানুষ ও পশুপাখির কষ্টের সীমা ছিল না। জুম্মার খুতবা দেওয়ার সময় এক সাহাবী দাঁড়িয়ে রসুল (সা.) কে বৃষ্টির জন্য দোয়া করতে অনুরোধ করেন।
 
রসুল (সা.) দুই হাত তুলে আল্লাহর কাছে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করলেন। সাহাবীরা বলেন, সেই মুহূর্তে আকাশে এক টুকরো মেঘও ছিল না। কিন্তু তাঁর দোয়ার সাথে সাথে মেঘ জমা হতে শুরু করে এবং এমনভাবে বৃষ্টি নামে যে, একটানা পরবর্তী জুম্মা পর্যন্ত তা চলতে থাকে। পরের জুম্মায় সেই ব্যক্তি বা অন্য একজন আবার অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে কষ্টের কথা জানালে রসুল (সা.) দোয়া করেন এবং বৃষ্টি বন্ধ হয়ে যায়।
এই ঘটনাটি দেখায় যে, সম্মিলিতভাবে এবং একজন নেককার ব্যক্তির মাধ্যমে করা দোয়া আল্লাহ দ্রুত কবুল করেন এবং মানুষের কষ্ট লাঘব করেন।


বর্তমান সময়ের একটি শিক্ষণীয় ঘটনা

একজন ছাত্রের চূড়ান্ত পরীক্ষার ফি জমা দেওয়ার মতো কোনো টাকা ছিল না। শেষ তারিখ ঘনিয়ে আসছিল এবং সে সবদিক থেকে চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে ভীষণ চিন্তিত ছিল। হতাশ হয়ে সে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ে সিজদায় আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করে তার সমস্যার কথা বলে। সে বলেছিল, হে আল্লাহ, তুমিই একমাত্র সাহায্যকারী। আমার জন্য একটি পথ বের করে দাও।

নামাজ শেষ করে সে যখন বিষণ্ণ মনে রাস্তা দিয়ে হাঁটছিল, তখন তার সাথে অনেকদিন পর পুরনো এক বন্ধুর দেখা হয়। কথার প্রসঙ্গে বন্ধুটি তার সমস্যার কথা জানতে পারে এবং কোনো প্রশ্ন না করেই তাকে ফির টাকা দিয়ে সাহায্য করে।

এই ঘটনাটি হয়তো খুব সাধারণ, কিন্তু এটি আমাদের শেখায় যে, যখন পৃথিবীর সব দরজা বন্ধ হয়ে যায়, তখনো আল্লাহর দরজা খোলা থাকে। তাঁর কাছে আন্তরিকভাবে চাইলে তিনি এমন জায়গা থেকে সাহায্য পাঠান, যা মানুষ কল্পনাও করতে পারে না।
 
উপরের গল্পগুলো থেকে দোয়ার কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক ফুটে ওঠে। আল্লাহর নৈকট্য লাভের মাধ্যম দোয়া। দোয়া বান্দাকে আল্লাহর কাছাকাছি নিয়ে যায়। এর মাধ্যমে বান্দা তার দুর্বলতা স্বীকার করে এবং আল্লাহর শক্তিমত্তার ওপর আস্থা স্থাপন করে।

নিয়মিত দোয়া করলে আল্লাহর প্রতি তাওয়াক্কুল বা ভরসা বৃদ্ধি পায়। এটি কঠিন সময়ে মানুষকে মানসিক শক্তি ও শান্তি দেয়। দোয়া তাকদির বা ভাগ্যকে পরিবর্তন করার ক্ষমতা রাখে। যা মানুষের কাছে অসম্ভব মনে হয়, আল্লাহর কাছে তা সহজ।

রসুল (সা.) বলেছেন, দোয়া-ই ইবাদত। (তিরমিজি)। অর্থাৎ, দোয়ার মাধ্যমে আমরা আল্লাহর দাসত্বকে স্বীকার করে নিই, যা ইবাদতের মূল ভিত্তি।

দোয়া শুধু চাওয়ার জন্য নয়, বরং আল্লাহর সাথে সম্পর্ক স্থাপন এবং তাঁর প্রতি আমাদের বিশ্বাসকে মজবুত করার একটি শক্তিশালী মাধ্যম। তাই আমাদের উচিত সুখ-দুঃখ সর্বাবস্থায় আল্লাহর কাছে দোয়া করা এবং তাঁর সাহায্যের ওপর পূর্ণ আস্থা রাখা। কারণ তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব। (সুরা আল-মুমিন: ৬০)
 
আমাদের বোঝা উচিত, দোয়া শুধু বিপদ বা প্রয়োজনের মুহূর্তের জন্য নয়। এটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হওয়া উচিত, সুখে-দুঃখে, সম্পদে-বিপদে সর্বাবস্থায় আল্লাহর সাথে সম্পর্ক বজায় রাখার এক অনন্য মাধ্যম। আসুন, আমরা দোয়ার শক্তিকে উপলব্ধি করি এবং জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আল্লাহর পানে হাত বাড়িয়ে দিই, কারণ তিনিই তো সর্বোত্তম শ্রোতা এবং প্রার্থনাকারীর ডাকে সাড়া দানকারী। –সময় সংবাদ
জনপ্রিয়

চৌগাছার ইজিবাইক–প্রাইভেটকার মুখোমুখি সংঘর্ষ, শিক্ষার্থীসহ আহত ৭

মানুষের জীবনে আল্লাহর কাছে চাওয়ার গুরুত্ব

প্রকাশের সময় : ১১:০৪:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫

মানব জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে আমরা সীমাবদ্ধতা ও অসহায়ত্বের মুখোমুখি হই। এই সীমাবদ্ধতার ঊর্ধ্বে উঠে অসীম শক্তির আধার মহান আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনার সবচেয়ে সুন্দর ও শক্তিশালী মাধ্যম হলো দোয়া।

দোয়া কেবল কিছু চাওয়ার আনুষ্ঠানিকতা নয়, এটি হলো স্রষ্টার প্রতি বান্দার পূর্ণ আত্মসমর্পণ, গভীর বিশ্বাস এবং একান্ত নির্ভরতার এক আবেগঘন প্রকাশ। এটি এমন এক সেতুবন্ধন যা দৃশ্যমান জগতের সকল বাধা অতিক্রম করে বান্দার আকুতিকে সরাসরি তার প্রতিপালকের কাছে পৌঁছে দেয়।

 ইতিহাসের পাতা থেকে শুরু করে বর্তমান সময়েও এমন অসংখ্য ঘটনা রয়েছে, যেখানে দোয়ার অলৌকিক শক্তি প্রমাণিত হয়েছে। এই আলোচনায় আমরা কয়েকটি ছোট কিন্তু অর্থবহ গল্পের মাধ্যমে দোয়ার গুরুত্ব ও তার প্রভাব তুলে ধরব, যা আমাদের বিশ্বাসকে আরও সুদৃঢ় করতে সহায়ক হবে।

দোয়া বা প্রার্থনা হলো স্রষ্টার সঙ্গে সৃষ্টির এক নিবিড় কথোপকথন। এটি কেবলই কিছু চাওয়ার মাধ্যম নয়, বরং আল্লাহর প্রতি বান্দার বিশ্বাস, ভরসা এবং আত্মসমর্পণের এক অনন্য প্রকাশ। ইতিহাসের পাতা থেকে শুরু করে আমাদের চারপাশের জীবনে এমন অসংখ্য ঘটনা রয়েছে, যা দোয়ার অবিশ্বাস্য শক্তি এবং গুরুত্বকে তুলে ধরে। নিচে কয়েকটি ছোট গল্পের মাধ্যমে দোয়ার গুরুত্ব আলোচনা করা হলো।

ইউনুস (আ. ) এর দোয়া
 
হযরত ইউনুস (আ.) কে যখন একটি বিশাল মাছ গিলে ফেলেছিল, তখন তিনি সাগরের অতল গভীরে, মাছের পেটের অন্ধকারে বন্দি ছিলেন। সেই চরম অসহায় মুহূর্তে, যখন বাঁচার কোনো আশাই ছিল না, তিনি হতাশ হননি। তিনি তাঁর ভুল স্বীকার করে সম্পূর্ণ sincerতার সাথে আল্লাহকে ডেকেছিলেন। পবিত্র কুরআনে তাঁর এই দোয়াটি উল্লেখ করা হয়েছে, ‘লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জোয়ালিমিন।’

অর্থ: তুমি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, তুমি পবিত্র, মহান! আমি তো সীমা লঙ্ঘনকারীদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেছি। (সুরা আল-আম্বিয়া: ৮৭)


আল্লাহ তার এই আকুতিপূর্ণ ও বিনয়ী দোয়া কবুল করেছিলেন। তিনি সেই অন্ধকার অসম্ভব পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন। এই ঘটনা আমাদের শেখায় যে, চরম বিপদ ও হতাশার মাঝেও খাঁটি দিলে করা দোয়া আল্লাহ শোনেন এবং বিপদ থেকে উদ্ধার করেন।

বৃষ্টির জন্য এক ব্যক্তির দোয়া
 
রাসুলুল্লাহ (সা.) এর সময়ে একবার মদিনায় অনেক বেশি খরা দেখা দেয়। মাঠের ফসল শুকিয়ে যাচ্ছিল, মানুষ ও পশুপাখির কষ্টের সীমা ছিল না। জুম্মার খুতবা দেওয়ার সময় এক সাহাবী দাঁড়িয়ে রসুল (সা.) কে বৃষ্টির জন্য দোয়া করতে অনুরোধ করেন।
 
রসুল (সা.) দুই হাত তুলে আল্লাহর কাছে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করলেন। সাহাবীরা বলেন, সেই মুহূর্তে আকাশে এক টুকরো মেঘও ছিল না। কিন্তু তাঁর দোয়ার সাথে সাথে মেঘ জমা হতে শুরু করে এবং এমনভাবে বৃষ্টি নামে যে, একটানা পরবর্তী জুম্মা পর্যন্ত তা চলতে থাকে। পরের জুম্মায় সেই ব্যক্তি বা অন্য একজন আবার অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে কষ্টের কথা জানালে রসুল (সা.) দোয়া করেন এবং বৃষ্টি বন্ধ হয়ে যায়।
এই ঘটনাটি দেখায় যে, সম্মিলিতভাবে এবং একজন নেককার ব্যক্তির মাধ্যমে করা দোয়া আল্লাহ দ্রুত কবুল করেন এবং মানুষের কষ্ট লাঘব করেন।


বর্তমান সময়ের একটি শিক্ষণীয় ঘটনা

একজন ছাত্রের চূড়ান্ত পরীক্ষার ফি জমা দেওয়ার মতো কোনো টাকা ছিল না। শেষ তারিখ ঘনিয়ে আসছিল এবং সে সবদিক থেকে চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে ভীষণ চিন্তিত ছিল। হতাশ হয়ে সে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ে সিজদায় আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করে তার সমস্যার কথা বলে। সে বলেছিল, হে আল্লাহ, তুমিই একমাত্র সাহায্যকারী। আমার জন্য একটি পথ বের করে দাও।

নামাজ শেষ করে সে যখন বিষণ্ণ মনে রাস্তা দিয়ে হাঁটছিল, তখন তার সাথে অনেকদিন পর পুরনো এক বন্ধুর দেখা হয়। কথার প্রসঙ্গে বন্ধুটি তার সমস্যার কথা জানতে পারে এবং কোনো প্রশ্ন না করেই তাকে ফির টাকা দিয়ে সাহায্য করে।

এই ঘটনাটি হয়তো খুব সাধারণ, কিন্তু এটি আমাদের শেখায় যে, যখন পৃথিবীর সব দরজা বন্ধ হয়ে যায়, তখনো আল্লাহর দরজা খোলা থাকে। তাঁর কাছে আন্তরিকভাবে চাইলে তিনি এমন জায়গা থেকে সাহায্য পাঠান, যা মানুষ কল্পনাও করতে পারে না।
 
উপরের গল্পগুলো থেকে দোয়ার কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক ফুটে ওঠে। আল্লাহর নৈকট্য লাভের মাধ্যম দোয়া। দোয়া বান্দাকে আল্লাহর কাছাকাছি নিয়ে যায়। এর মাধ্যমে বান্দা তার দুর্বলতা স্বীকার করে এবং আল্লাহর শক্তিমত্তার ওপর আস্থা স্থাপন করে।

নিয়মিত দোয়া করলে আল্লাহর প্রতি তাওয়াক্কুল বা ভরসা বৃদ্ধি পায়। এটি কঠিন সময়ে মানুষকে মানসিক শক্তি ও শান্তি দেয়। দোয়া তাকদির বা ভাগ্যকে পরিবর্তন করার ক্ষমতা রাখে। যা মানুষের কাছে অসম্ভব মনে হয়, আল্লাহর কাছে তা সহজ।

রসুল (সা.) বলেছেন, দোয়া-ই ইবাদত। (তিরমিজি)। অর্থাৎ, দোয়ার মাধ্যমে আমরা আল্লাহর দাসত্বকে স্বীকার করে নিই, যা ইবাদতের মূল ভিত্তি।

দোয়া শুধু চাওয়ার জন্য নয়, বরং আল্লাহর সাথে সম্পর্ক স্থাপন এবং তাঁর প্রতি আমাদের বিশ্বাসকে মজবুত করার একটি শক্তিশালী মাধ্যম। তাই আমাদের উচিত সুখ-দুঃখ সর্বাবস্থায় আল্লাহর কাছে দোয়া করা এবং তাঁর সাহায্যের ওপর পূর্ণ আস্থা রাখা। কারণ তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব। (সুরা আল-মুমিন: ৬০)
 
আমাদের বোঝা উচিত, দোয়া শুধু বিপদ বা প্রয়োজনের মুহূর্তের জন্য নয়। এটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হওয়া উচিত, সুখে-দুঃখে, সম্পদে-বিপদে সর্বাবস্থায় আল্লাহর সাথে সম্পর্ক বজায় রাখার এক অনন্য মাধ্যম। আসুন, আমরা দোয়ার শক্তিকে উপলব্ধি করি এবং জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আল্লাহর পানে হাত বাড়িয়ে দিই, কারণ তিনিই তো সর্বোত্তম শ্রোতা এবং প্রার্থনাকারীর ডাকে সাড়া দানকারী। –সময় সংবাদ