
ইবি প্রতিনিধি
ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের নিয়োগ বাণিজ্য, মেগা প্রকল্পে অনিয়ম ও নিয়ম বহির্ভূত অর্থ উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ তদন্তের মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) সকাল ১০ টার দিকে দুদকের সহকারী পরিচালক বুলবুল আহমেদ রিয়াদ এই অভিযোগের তদন্তের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন। ৪ জন ইঞ্জিনিয়ার সাথে নিয়ে তার নেতৃত্বে একটা টিম প্রকল্প পরিদর্শন করেন।
দুদকের সহকারী পরিচালক বুলবুল আহমেদ রিয়াদ বলেন, “শিক্ষক নিয়োগ, ভুয়া বিল ও মেগাপ্রকল্পে দুর্নীতি বিষয়ে তদন্তে এসেছি। আগে বিষয়গুলো পর্যালোচনা করা হয়নি। সরেজমিনে পূর্বে এসব অ্যানালাইসিস করা হয়নি। প্রকল্পে দূর্নীতির বিষয়ে কাজ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত পরিমাপ করা সম্ভব নয়। আশা করছি আগামী এক-দেড় মাস সময়ের মধ্যে শেষ হবে।”
তদন্তের বিষয়ে রুটিন উপাচার্যের দায়িত্ব থাকা উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব বলেন,”দুদকের কর্মকর্তারা সৌজন্য সাক্ষাতে এসেছিলো। কেমন আছো-কেমন আছেন এর বাহিরে কোনো কথা হয়নি। তারা তদন্তে আসছে তাদের কাজ তারা করছেন আমি জানি কি? আমিতো এখানে বইসা রইছি।”
প্রসঙ্গত, নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা বিষয়ে ইবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের কণ্ঠস্বরের মতো অন্তত ১৪টি অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফাঁস হয়। পরে এর তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি দেওয়া হয়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের বিরুদ্ধে উত্থাপিত নিয়োগ বাণিজ্যসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে ইউজিসি।
ইবি প্রতিনিধি 




































