
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জ-কাজিপুর-ধুনট-ভায়া শেরপুর মহাসড়কের সম্প্রসারণ প্রকল্পে পূর্বে প্রস্তুতকৃত নকশা বাতিল করে নতুনভাবে ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি জরিপের উদ্যোগ নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জমির মালিকরা। তারা খাসজমি ব্যবহার করে পূর্বনির্ধারিত নকশা অনুযায়ী সড়ক নির্মাণের দাবি জানিয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে গণস্বাক্ষরযুক্ত একটি আবেদন জমা দিয়েছেন।
সরেজমিনে জানা যায়, কাজিপুর উপজেলার সোনামুখী ইউনিয়নের কৃষ্ণগোবিন্দপুর মৌজার সোনামুখী বাজার চৌরাস্তা থেকে পশ্চিমে ইছামতী সেতু পর্যন্ত প্রায় ১২ বিঘা খাসজমি রয়েছে। ২০২৪ সালে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ কাজিপুর-ধুনট-শেরপুর সড়ক সম্প্রসারণ প্রকল্পের অংশ হিসেবে ওই খাসজমি ব্যবহার করে একটি নকশা প্রস্তুত করে এবং ভূমি অধিগ্রহণের জন্য তা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠায়।
তবে সম্প্রতি পূর্বের চূড়ান্ত নকশা বাদ দিয়ে দক্ষিণ পাশে অবস্থিত পিপুলবাড়িয়া-সোনামুখী ভায়া শহীদ এম. মনসুর আলী সড়ক সম্প্রসারণের প্রস্তাব দিয়ে নতুনভাবে জরিপ কার্যক্রম শুরু করেছে সওজ বিভাগ। অথচ শহীদ এম. মনসুর আলী সড়কটি ২০১৬ সালে সরকারের হুকুমদখলকৃত জমিতে নির্মিত হয়েছিল। এখন নতুন প্রকল্পের অধীনে একই এলাকায় সড়ক সম্প্রসারণের উদ্যোগে পূর্বের প্রকল্পের সঙ্গে অসঙ্গতি দেখা দিয়েছে।
ভুক্তভোগী জমির মালিকরা জানান, পূর্বে সরকারকে জমি দেওয়ার পর আবারও ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি অধিগ্রহণের উদ্যোগে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এতে অনেকের বসতভিটা হারানোর আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
মোরশেদ নামের এক ভুক্তভোগী বলেন, “একবার রাস্তা নির্মাণের সময় আমরা জমি দিয়েছি। এখন খাসজমি থাকলেও আবারও আমাদের জমি নেওয়া হচ্ছে।”
আরেক জমির মালিক আব্দুল জলিল বলেন, “আগের নকশা অনুযায়ী রাস্তা নির্মাণ হলে তা হবে সোজা, যানজট কমবে এবং সরকারের অর্থও সাশ্রয় হবে।”
এ বিষয়ে জানতে সিরাজগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ইমরান ফারহান সুমেলের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: 







































