বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মালয়েশিয়ায় ২ বাংলাদেশির মরদেহ উদ্ধার

ছবি: সময় সংবাদ

মালয়েশিয়ার মেলাকা রাজ্যের একটি ভাড়া বাড়ি থেকে দুই বাংলাদেশি যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহ ও মানসিক চাপ থেকে তাদের মধ্যে ঝগড়ার জের ধরে এই ঘটনা ঘটতে পারে।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার কিছুক্ষণ আগে ওই বাড়ি থেকে দুই যুবকের মধ্যে ঝগড়া ও উচ্চস্বরে চিৎকারের শব্দ শোনা যায়। পরে তাদের এক রুমমেট ঘরে ফিরে এসে দুইজনকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। 
 
জুহাইলি নামে একজন স্থানীয় নাগরিকের ভাষ্যমতে, তিনি বাড়িতে প্রবেশ করে দেখেন, রান্নাঘরের জিনিসপত্র এলোমেলো অবস্থায় পড়ে আছে। মেঝেতে একজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় মুখ থুবড়ে পড়ে আছে। 
 
অন্যজন সম্ভবত ঘরের ভেতরে ফাঁস দিয়েছেন, তবে তখন ঘরের দরজা বন্ধ ছিল। পরে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে মৃতদেহ উদ্ধার করে।
 
জুহাইলি জানান, মৃত দুই যুবক প্রায় ছয় মাস ধরে ওই বাড়িতে ভাড়া ছিলেন এবং কাছেই একটি নির্মাণ সাইটে কাজ করতেন। প্রতিবেশীর সঙ্গে তাদের খুব একটা ঘনিষ্ঠতা না থাকলেও দেখা হলে তারা নিয়মিত শুভেচ্ছা জানাতেন।
 
নিহত দুইজনের মধ্যে ছোট জন একজন ইন্দোনেশিয়ান নারীকে বিয়ে করেছিলেন এবং তাদের একটি শিশুও ছিল। তবে প্রায় দুই সপ্তাহ আগে তার স্ত্রী শিশুটিকে নিয়ে পালিয়ে যান।
 
জুহাইলি দাবি করেন, এর আগেও প্রতিবেশী হিসেবে তারা ছোট জন ও তার স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া শুনেছিলেন। প্রায়ই শোনা যেত যে তার স্ত্রী তাকে কাজ করা নিয়ে বকাঝকা করছেন। জুহাইলি মনে করেন, সম্ভবত সেই মানসিক চাপ থেকেই এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে।
 
রাত আনুমানিক ১০.৪৫ মিনিটে ফরেনসিক দল ও পুলিশ এসে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পুলিশ ঘটনার কারণ এবং প্রকৃত সত্য উদঘাটনে তদন্ত শুরু করেছে। –সময় সংবাদ
জনপ্রিয়

তারেক রহমান মঞ্চে একাই বক্তব্য রাখবেন

মালয়েশিয়ায় ২ বাংলাদেশির মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশের সময় : ১২:২৭:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

মালয়েশিয়ার মেলাকা রাজ্যের একটি ভাড়া বাড়ি থেকে দুই বাংলাদেশি যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহ ও মানসিক চাপ থেকে তাদের মধ্যে ঝগড়ার জের ধরে এই ঘটনা ঘটতে পারে।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার কিছুক্ষণ আগে ওই বাড়ি থেকে দুই যুবকের মধ্যে ঝগড়া ও উচ্চস্বরে চিৎকারের শব্দ শোনা যায়। পরে তাদের এক রুমমেট ঘরে ফিরে এসে দুইজনকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। 
 
জুহাইলি নামে একজন স্থানীয় নাগরিকের ভাষ্যমতে, তিনি বাড়িতে প্রবেশ করে দেখেন, রান্নাঘরের জিনিসপত্র এলোমেলো অবস্থায় পড়ে আছে। মেঝেতে একজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় মুখ থুবড়ে পড়ে আছে। 
 
অন্যজন সম্ভবত ঘরের ভেতরে ফাঁস দিয়েছেন, তবে তখন ঘরের দরজা বন্ধ ছিল। পরে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে মৃতদেহ উদ্ধার করে।
 
জুহাইলি জানান, মৃত দুই যুবক প্রায় ছয় মাস ধরে ওই বাড়িতে ভাড়া ছিলেন এবং কাছেই একটি নির্মাণ সাইটে কাজ করতেন। প্রতিবেশীর সঙ্গে তাদের খুব একটা ঘনিষ্ঠতা না থাকলেও দেখা হলে তারা নিয়মিত শুভেচ্ছা জানাতেন।
 
নিহত দুইজনের মধ্যে ছোট জন একজন ইন্দোনেশিয়ান নারীকে বিয়ে করেছিলেন এবং তাদের একটি শিশুও ছিল। তবে প্রায় দুই সপ্তাহ আগে তার স্ত্রী শিশুটিকে নিয়ে পালিয়ে যান।
 
জুহাইলি দাবি করেন, এর আগেও প্রতিবেশী হিসেবে তারা ছোট জন ও তার স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া শুনেছিলেন। প্রায়ই শোনা যেত যে তার স্ত্রী তাকে কাজ করা নিয়ে বকাঝকা করছেন। জুহাইলি মনে করেন, সম্ভবত সেই মানসিক চাপ থেকেই এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে।
 
রাত আনুমানিক ১০.৪৫ মিনিটে ফরেনসিক দল ও পুলিশ এসে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পুলিশ ঘটনার কারণ এবং প্রকৃত সত্য উদঘাটনে তদন্ত শুরু করেছে। –সময় সংবাদ