শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাদিয়া একদিনের জন্য নরওয়ের রাষ্ট্রদূত

ছবি: সংগৃহীত

এইচএসসি পরীক্ষার্থী সাদিয়া বাংলাদেশে নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হিসেবে এক দিনের জন্য দায়িত্ব পালন করেছেন। শনিবার (১১ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবসের অংশ হিসেবে ‘গার্লস টেকওভার’ কর্মসূচির আওতায় তিনি এই প্রতীকী দায়িত্ব পান।

 পঞ্চগড়ে জন্ম ও বেড়ে ওঠা সাদিয়া সব সময় ন্যায়বিচার ও সমতার পক্ষে কাজ করে আসছেন ও ইতোমধ্যে শিশু অধিকার ও জেন্ডার সমতার একজন তরুণ কণ্ঠস্বর হিসেবে নিজের জায়গা করে নিয়েছেন। প্রতীকীভাবে দূতাবাস, সরকারি দপ্তর, উন্নয়ন সংস্থা ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বের আসনে বসে সাদিয়া। মূল লক্ষ্য হলো তরুণীদের নেতৃত্ব বিকাশে অনুপ্রাণিত করা ও সামাজিক ধ্যানধারণাকে চ্যালেঞ্জ করা।

রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন শেষে সাদিয়া বলেন, ‘এই টেকওভার অভিজ্ঞতা আমাকে গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করেছে। আমি চাই, আমার এই যাত্রা অন্য মেয়েদেরও সাহস দিক নিজেদের সক্ষমতায় বিশ্বাস রাখার এবং এমন এক সমাজ গড়ার, যেখানে সমতা বাস্তবে পরিণত হবে।

বাংলাদেশে নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এইচ ই হ্যাকন অ্যারাল্ড গুলব্র্যান্ডসেন বলেন, ‘সাদিয়াকে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব নিতে দেখে আমরা আনন্দিত। তার কাজ প্রমাণ করে, মেয়েরা সুযোগ পেলে সমাজ এগিয়ে যায়। বাল্যবিবাহ রোধ ও নারী শিক্ষার পক্ষে তার উদ্যোগ অনুপ্রেরণার।’

টেকওভার কার্যক্রমে ইউএন উইমেন বাংলাদেশের প্রতিনিধি গীতাঞ্জলি সিংহের সঙ্গেও সাক্ষাৎ এবং তরুণদের ভবিষ্যৎ গঠন ও অংশগ্রহণ বিষয়ে মতবিনিময় করেন সাদিয়া।

প্রসঙ্গত, চলতি বছর আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবসের বৈশ্বিক প্রতিপাদ্য ছিল— “The girl I am, the change I lead: Girls on the frontlines of crisis”, এবং জাতীয় প্রতিপাদ্য— “আমি কন্যাশিশু—স্বপ্ন গড়ি, সাহসে লড়ি, দেশের কল্যাণে কাজ করি।” এই প্রতিপাদ্যই মনে করিয়ে দেয়— সংকটের সময় মেয়েরাই পরিবর্তনের অগ্রভাগে দাঁড়ায়।

জনপ্রিয়

শিবিরের নতুন সভাপতি সাদ্দাম

সাদিয়া একদিনের জন্য নরওয়ের রাষ্ট্রদূত

প্রকাশের সময় : ০৩:১১:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

এইচএসসি পরীক্ষার্থী সাদিয়া বাংলাদেশে নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হিসেবে এক দিনের জন্য দায়িত্ব পালন করেছেন। শনিবার (১১ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবসের অংশ হিসেবে ‘গার্লস টেকওভার’ কর্মসূচির আওতায় তিনি এই প্রতীকী দায়িত্ব পান।

 পঞ্চগড়ে জন্ম ও বেড়ে ওঠা সাদিয়া সব সময় ন্যায়বিচার ও সমতার পক্ষে কাজ করে আসছেন ও ইতোমধ্যে শিশু অধিকার ও জেন্ডার সমতার একজন তরুণ কণ্ঠস্বর হিসেবে নিজের জায়গা করে নিয়েছেন। প্রতীকীভাবে দূতাবাস, সরকারি দপ্তর, উন্নয়ন সংস্থা ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বের আসনে বসে সাদিয়া। মূল লক্ষ্য হলো তরুণীদের নেতৃত্ব বিকাশে অনুপ্রাণিত করা ও সামাজিক ধ্যানধারণাকে চ্যালেঞ্জ করা।

রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন শেষে সাদিয়া বলেন, ‘এই টেকওভার অভিজ্ঞতা আমাকে গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করেছে। আমি চাই, আমার এই যাত্রা অন্য মেয়েদেরও সাহস দিক নিজেদের সক্ষমতায় বিশ্বাস রাখার এবং এমন এক সমাজ গড়ার, যেখানে সমতা বাস্তবে পরিণত হবে।

বাংলাদেশে নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এইচ ই হ্যাকন অ্যারাল্ড গুলব্র্যান্ডসেন বলেন, ‘সাদিয়াকে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব নিতে দেখে আমরা আনন্দিত। তার কাজ প্রমাণ করে, মেয়েরা সুযোগ পেলে সমাজ এগিয়ে যায়। বাল্যবিবাহ রোধ ও নারী শিক্ষার পক্ষে তার উদ্যোগ অনুপ্রেরণার।’

টেকওভার কার্যক্রমে ইউএন উইমেন বাংলাদেশের প্রতিনিধি গীতাঞ্জলি সিংহের সঙ্গেও সাক্ষাৎ এবং তরুণদের ভবিষ্যৎ গঠন ও অংশগ্রহণ বিষয়ে মতবিনিময় করেন সাদিয়া।

প্রসঙ্গত, চলতি বছর আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবসের বৈশ্বিক প্রতিপাদ্য ছিল— “The girl I am, the change I lead: Girls on the frontlines of crisis”, এবং জাতীয় প্রতিপাদ্য— “আমি কন্যাশিশু—স্বপ্ন গড়ি, সাহসে লড়ি, দেশের কল্যাণে কাজ করি।” এই প্রতিপাদ্যই মনে করিয়ে দেয়— সংকটের সময় মেয়েরাই পরিবর্তনের অগ্রভাগে দাঁড়ায়।