বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিক্ষক-কর্মচারীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

ক্ষেতলাল (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি:

বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের জাতীয়করণ, বাড়িভাড়া, মেডিকেল ভাতা ও উৎসব ভাতাসহ বিভিন্ন দাবিতে ঢাকায় চলমান আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ১১টায় “বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষক, কর্মচারী জাতীয়করণ প্রত্যাশী ঐক্যজোট ক্ষেতলাল, জয়পুরহাট” এর উদ্যোগে এ বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

ক্ষেতলাল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে ক্ষেতলালের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের সামনে  এসে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষক, কর্মচারী জাতীয়করণ প্রত্যাশী ঐক্যজোট ক্ষেতলাল উপজেলার সভাপতি ও বড়তারা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু তাহের আকন্দ, উপজেলা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও আখলাস শিবপুর শ্যামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক একরামুল ইসলাম উজ্জ্বল, ক্ষেতলাল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ সায়ফুল ইসলাম, ক্ষেতলাল টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজের অধ্যক্ষ মোস্তফা হাসান মো. এহতেসান, জামুহালী সিইউ বিএল আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ রেজাউল ইসলাম প্রমুখ।

এছাড়াও বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সহকারী শিক্ষক ও ১০ম গ্রেড বাস্তবায়ন পরিষদের সমন্বয়ক মু. মাহবুবর রহমান।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক-কর্মচারীরা ২০% বাড়িভাড়া, ১,৫০০ টাকা মেডিকেল ভাতা এবং কর্মচারীদের জন্য ৭৫% উৎসব ভাতা প্রদানের দাবি জানিয়ে আসছেন।

তারা আরও বলেন, এসব ন্যায্য দাবি আদায়ের আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষক-কর্মচারীদের ওপর রাজধানীতে হামলা করা হয়েছে। যা অত্যন্ত দুঃখজনক ও নিন্দনীয়।

বক্তারা বলেন, যে শিক্ষক সমাজকে গড়ে তোলেন, সেই শিক্ষকদের ওপর লাঠিচার্জ ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করা রাষ্ট্রের জন্য লজ্জাজনক। আমরা দাবি করছি হামলার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হোক।

তারা আরও জানান, সরকার যদি দ্রুত দাবিগুলো মেনে না নেয়, তবে আন্দোলন আরও বিস্তৃত হবে এবং সারাদেশের শিক্ষক-কর্মচারীরা রাজপথে নামবেন। মানববন্ধনে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শত শত শিক্ষক ও কর্মচারী অংশগ্রহণ করেন।

মানববন্ধন শেষে শিক্ষক-কর্মচারীরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে গিয়ে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন।

স্মারকলিপিতে শিক্ষকদের মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, হামলার বিচার, এবং জাতীয়করণের অগ্রগতি দ্রুত সম্পন্ন করার আহ্বান জানানো হয়।

গরম রোদেও হাতে ব্যানার-প্ল্যাকার্ড নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষক-কর্মচারীরা বলেন, আমরা শ্রেণিকক্ষে ফিরতে চাই, তবে মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করে নয়। সরকারের কাছে আমাদের দাবি আমাদের ন্যায্য প্রাপ্য দ্রুত বাস্তবায়ন করা হোক।

জনপ্রিয়

পঞ্চগড়ে কৃষকের অধিকার ও অন্তর্ভুক্তিকরন এবং নারী ও শিশুর সহিংসতারোধে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত

শিক্ষক-কর্মচারীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

প্রকাশের সময় : ০৫:১৬:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

ক্ষেতলাল (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি:

বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের জাতীয়করণ, বাড়িভাড়া, মেডিকেল ভাতা ও উৎসব ভাতাসহ বিভিন্ন দাবিতে ঢাকায় চলমান আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ১১টায় “বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষক, কর্মচারী জাতীয়করণ প্রত্যাশী ঐক্যজোট ক্ষেতলাল, জয়পুরহাট” এর উদ্যোগে এ বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

ক্ষেতলাল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে ক্ষেতলালের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের সামনে  এসে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষক, কর্মচারী জাতীয়করণ প্রত্যাশী ঐক্যজোট ক্ষেতলাল উপজেলার সভাপতি ও বড়তারা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু তাহের আকন্দ, উপজেলা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও আখলাস শিবপুর শ্যামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক একরামুল ইসলাম উজ্জ্বল, ক্ষেতলাল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ সায়ফুল ইসলাম, ক্ষেতলাল টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজের অধ্যক্ষ মোস্তফা হাসান মো. এহতেসান, জামুহালী সিইউ বিএল আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ রেজাউল ইসলাম প্রমুখ।

এছাড়াও বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সহকারী শিক্ষক ও ১০ম গ্রেড বাস্তবায়ন পরিষদের সমন্বয়ক মু. মাহবুবর রহমান।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক-কর্মচারীরা ২০% বাড়িভাড়া, ১,৫০০ টাকা মেডিকেল ভাতা এবং কর্মচারীদের জন্য ৭৫% উৎসব ভাতা প্রদানের দাবি জানিয়ে আসছেন।

তারা আরও বলেন, এসব ন্যায্য দাবি আদায়ের আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষক-কর্মচারীদের ওপর রাজধানীতে হামলা করা হয়েছে। যা অত্যন্ত দুঃখজনক ও নিন্দনীয়।

বক্তারা বলেন, যে শিক্ষক সমাজকে গড়ে তোলেন, সেই শিক্ষকদের ওপর লাঠিচার্জ ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করা রাষ্ট্রের জন্য লজ্জাজনক। আমরা দাবি করছি হামলার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হোক।

তারা আরও জানান, সরকার যদি দ্রুত দাবিগুলো মেনে না নেয়, তবে আন্দোলন আরও বিস্তৃত হবে এবং সারাদেশের শিক্ষক-কর্মচারীরা রাজপথে নামবেন। মানববন্ধনে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শত শত শিক্ষক ও কর্মচারী অংশগ্রহণ করেন।

মানববন্ধন শেষে শিক্ষক-কর্মচারীরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে গিয়ে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন।

স্মারকলিপিতে শিক্ষকদের মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, হামলার বিচার, এবং জাতীয়করণের অগ্রগতি দ্রুত সম্পন্ন করার আহ্বান জানানো হয়।

গরম রোদেও হাতে ব্যানার-প্ল্যাকার্ড নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষক-কর্মচারীরা বলেন, আমরা শ্রেণিকক্ষে ফিরতে চাই, তবে মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করে নয়। সরকারের কাছে আমাদের দাবি আমাদের ন্যায্য প্রাপ্য দ্রুত বাস্তবায়ন করা হোক।