
ময়মনসিংহ সদরের অদূর লালকুঠি পাক দরবার শরীফে অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলার আকাশের এক ক্ষণজন্মা মহাপুরুষ, রূহানি জাগরণের পুরোধা, সুফি সাহিত্যিক ও গবেষক আল্লামা খাজা মুহাম্মদ ছাইফুদ্দীন শম্ভুগঞ্জী এনায়েতপুরী (রহ.)-এর ৩০তম বেছালে হক উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী ওরস শরীফ।
১৩ অক্টোবর সোমবার জোহরের নামাজের পর নকশবন্দি-মুজাদ্দেদী তরিক্বার বিজয় নিশান ‘ঝাণ্ডা’ উত্তোলনের মাধ্যমে কর্মসূচির উদ্বোধন হয়। প্রথম দিনে অনুষ্ঠিত হয় পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত ও জিকির মাহফিল।
১৪ অক্টোবর মঙ্গলবার ছিল রূহানি বয়ান, হামদ, নাত, মানক্বাবাত, মিলাদ, কিয়াম, জিকির ও দোয়া-মুনাজাতসহ নানা ধর্মীয় আয়োজনে সমৃদ্ধ কর্মসূচি।
১৫ অক্টোবর বুধবার প্রধান মঞ্চে আসন অলঙ্কৃত করেন বর্তমান জামানার নকশবন্দি-মুজাদ্দেদী সিলসিলার উজ্জ্বল নক্ষত্র ও শক্তিধর প্রতিনিধি, অলিয়ে কামেল আল্লামা খাজা সুজাউদ্দৌলা নকশবন্দি-মুজাদ্দেদী হুজুরে পাক (মা.জি.আ.)।
তিনি ভাষণে বলেন, “আমরা আজ মহান বরকতময় সময়ে উপস্থিত হতে পেরে আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি। নবীয়ে রহমতের উপর দরুদ শরীফ পেশ করছি, সিলসিলার সকল মাশায়েখকে স্মরণ করছি এবং তাদের কদমে কদমবুচি পেশ করছি। এই ক্রান্তিকালে ঈমান, আমল ও মাজহাব রক্ষায় আমাদের যে প্রয়াস চলছে, তা সৌভাগ্যের বিষয়। নববী জীবন গঠনে ও তরিক্বতের আমল-অজিফা পালনে সকলে আন্তরিক হই।”
এছাড়াও ফয়েজপূর্ণ ভাষণ প্রদান করেন যুগের গরীবে নেওয়াজ, জামানার খিজির, আল্লামা খাজা আলাউল হক অলি হুজুরে পাক (মা.জি.আ.)। তিনি অশ্রুসিক্ত নয়নে সকল জাকেরানদের খেদমতের জন্য শুকরিয়া জ্ঞাপন করেন ও হৃদয়গ্রাহী বয়ান প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সুফি ও গবেষক, শম্ভুগঞ্জী হুজুরে পাকের মেয়ের ঘরের সন্তান সুফি জুনাইদসহ আলেমেদ্বীন, বুযুর্গানে দ্বীন ও সুফি-সাহিত্যকগণ।
১৫ অক্টোবর সকাল ১১টায় পবিত্র মাজার শরীফ জিয়ারত ও আখেরি মুনাজাতের মাধ্যমে তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয় লক্ষাধিক ভক্ত-মুরিদানের উপস্থিতিতে। দেশ ও জাতির কল্যাণে দোয়ার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে—লক্ষাধিক আশেকে রাসূলের অশ্রুসিক্ত প্রার্থনায়।
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি 



















