বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ছেলের ছুরিকাঘাতে বাবার মৃত্যু

প্রতীকী ছবি

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে মাদকাসক্ত পুত্রের ছুরিকাঘাতে পিতা আব্দুল মালেক (৮০) খুন হয়েছেন। শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে পৌরসভার বেপারীপাড়া মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, সকালে পারিবারিক কলহের জেরে পিতা আব্দুল মালেক ও পুত্র আব্দুল আউয়াল ওরফে ভাঙ্গারী বাদলের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে বাদল ছুরি দিয়ে পিতাকে আঘাত করে গুরুতর আহত করে। স্থানীয়রা দ্রুত তাকে কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হলে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তিনি মারা যান।

নিহত আব্দুল মালেক এর চতুর্থ পুত্র মো. খোকন মিয়া জানান, বাদল দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত ছিল। এর আগেও তার নামে বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছিলেন। কিছুদিন হাজতবাসের পর বাড়ি ফিরে এসে আবারও ঝগড়াঝাঁটির মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। স্ত্রী বাপের বাড়ি চলে যাওয়ায় কয়েকদিন ধরে বাবাকে চাপ দিচ্ছিল তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য। মূলত মাদকের নেশাতেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।

করিমগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মোহাম্মদ মাহাবুব মোরশেদ বলেন, ছেলের হাতে বৃদ্ধ পিতা ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন জানতে পেরে তাৎক্ষণিক পুলিশ পাঠানো হয়। পরে তার মৃত্যুর সংবাদ পাই। ঘটনাটি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

জনপ্রিয়

খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ারে প্রধান উপদেষ্টা

ছেলের ছুরিকাঘাতে বাবার মৃত্যু

প্রকাশের সময় : ১১:৩৪:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে মাদকাসক্ত পুত্রের ছুরিকাঘাতে পিতা আব্দুল মালেক (৮০) খুন হয়েছেন। শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে পৌরসভার বেপারীপাড়া মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, সকালে পারিবারিক কলহের জেরে পিতা আব্দুল মালেক ও পুত্র আব্দুল আউয়াল ওরফে ভাঙ্গারী বাদলের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে বাদল ছুরি দিয়ে পিতাকে আঘাত করে গুরুতর আহত করে। স্থানীয়রা দ্রুত তাকে কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হলে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তিনি মারা যান।

নিহত আব্দুল মালেক এর চতুর্থ পুত্র মো. খোকন মিয়া জানান, বাদল দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত ছিল। এর আগেও তার নামে বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছিলেন। কিছুদিন হাজতবাসের পর বাড়ি ফিরে এসে আবারও ঝগড়াঝাঁটির মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। স্ত্রী বাপের বাড়ি চলে যাওয়ায় কয়েকদিন ধরে বাবাকে চাপ দিচ্ছিল তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য। মূলত মাদকের নেশাতেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।

করিমগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মোহাম্মদ মাহাবুব মোরশেদ বলেন, ছেলের হাতে বৃদ্ধ পিতা ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন জানতে পেরে তাৎক্ষণিক পুলিশ পাঠানো হয়। পরে তার মৃত্যুর সংবাদ পাই। ঘটনাটি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।