
খালিদ হোসেন (৩৫) নামে এক যুবক তরুণীকে দিয়ে ফাঁদ পেতে অন্যকে ফাঁসাতে চেয়েছিলেন। পরে তিনি স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়েন। খালিদ হোসেন ওই প্রতারক চক্রের মূলহোতা বলে জানা গেছে। পরে স্থানীয়রা তাকে ও তার নারী সহযোগীকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাতে চুয়াডাঙ্গা শহরের শ্যামলীপাড়া (শ্যাকড়াতলা) মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
খালিদ হোসেন আলমডাঙ্গা উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বাগানপাড়ার শফিউল ইসলামের মেয়ে জামাই। তার নারী সহযোগীর নাম রোজা ইসলাম। তিনি শহরের মুক্তিপাড়ার বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে খালিদ নিজেকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষকে প্রতারণা করে আসছিলেন। একই পরিচয়ে তিনি বিভিন্ন সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কাছ থেকেও প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করতেন। নিজ এলাকায় সুবিধা করতে না পেরে তিনি শ্বশুরবাড়ি এলাকায় বসবাস শুরু করেন। সেখানে নতুন করে প্রতারণার ফাঁদ গড়ে তোলেন।
গত শনিবার সন্ধ্যায় বাগানপাড়ার একটি নির্জন বাড়িতে এক তরুণীর সহায়তায় নতুন ফাঁদ পেতেছিলেন খালিদ। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ওই তরুণী এক ব্যক্তিকে মাদক দিয়ে ফাঁসানোর কৌশল নেন। কিন্তু সন্দেহজনক আচরণে স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে খালিদ ও ওই নারীকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। পরে তাদের কাছ থেকে এক বোতল নেশাজাতীয় দ্রব্য উদ্ধার করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে দুজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়G
স্থানীয়রা অভিযোগ, আটককৃত খালিদ দীর্ঘদিন ধরে মানবাধিকার সংগঠনের পরিচয়ে সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে অর্থ আদায় করে আসছিলেন। তারা তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।
এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদুর রহমান জানান, বাগানপাড়া এলাকা থেকে খালিদ নামের এক যুবক ও এক তরুণীকে আটক করা হয়েছে। খালিদ পূর্বেও নিজেকে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান পরিচয় দিয়ে থানায় এসে বিভিন্ন সুবিধা নিতে চেয়েছিল। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি 







































