
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এ মাসের মধ্যেই আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনের জন্য ২০০ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করবে বলে জানিয়েছেন দলীয় সূত্র।
দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রায় ১৫০ আসনে প্রার্থী নির্ধারণে তেমন কোনো সমস্যা নেই। কারণ, সেখানে প্রার্থী মোটামুটি ঠিক করা হয়ে গেছে। তবে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশীর কারণে প্রায় ১০০ আসন নিয়ে এখনো জটিলতা রয়ে গেছে।
বাকি ৫০ আসন নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে বিএনপি।
সোমবার রাতে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানে দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি এ বৈঠকে যোগ দেন।
বৈঠকে কয়েকজন সদস্য দ্রুত প্রার্থী তালিকা ঘোষণার আহ্বান জানান, যাতে তৃণমূল পর্যায়ের বিভ্রান্তি দূর হয়। তারা সতর্ক করেন, দেরি হলে প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রস্তুতি দুর্বল হতে পারে।
মনোনয়ন প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করতে গত মাসে সাংগঠনিক সম্পাদকরা দলের শীর্ষ নেতাদের কাছে আবেদন করেছিলেন।
সোমবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গুলশান কার্যালয়ে মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ ও কুমিল্লার মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, তারেক রহমান ইতোমধ্যেই প্রার্থীদের জনপ্রিয়তা ও নির্বাচনে জয়ের সম্ভাবনা যাচাইয়ে পাঁচটি জরিপ সম্পন্ন করেছেন এবং বিভাগীয় নেতাদের মতামত নিয়েছেন।
এসব মূল্যায়নের ভিত্তিতে প্রায় ১০০ আসনকে জটিল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, যেখানে প্রার্থী চূড়ান্ত করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
দ্বন্দ্ব মেটাতে সংশ্লিষ্ট আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের ঢাকায় ডাকা হয় এবং তারেক রহমানের নির্দেশে বলা হয়, যিনি দলীয়ভাবে মনোনয়ন পাবেন, তার পক্ষে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
এসব উদ্যোগের পর বিএনপি এখন প্রতিটি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের অনানুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করার ইঙ্গিত দিচ্ছে। এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ গোপন রাখা হচ্ছে এবং নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার আগ পর্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বী মনোনয়নপ্রত্যাশীদের কাছে কোনো তথ্য প্রকাশ না করার নির্দেশ দিয়েছে দলের হাইকমান্ড।
দলটির মনোনয়ন বোর্ড পরবর্তীতে প্রার্থীদের চূড়ান্ত অনুমোদন দেবে।
তবে এই অতি সতর্কতার কারণে কিছু আসনে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে এবং একাধিক প্রার্থী এখনো সক্রিয় বলে সূত্র জানিয়েছে।
বর্তমানে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ‘নিষিদ্ধ’ থাকায় জামায়াতে ইসলামীকে নিজেদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখছে বিএনপি। জামায়াত ইতোমধ্যেই তাদের প্রার্থী ঘোষণা করে প্রচারণা শুরু করেছে। সুত্র:- ডেইলী স্টার
ঢাকা ব্যূরো।। 






































