বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দিনমজুরের বিদ্যুৎ বিল ৩৩ হাজার টাকা

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশের সময় : ১০:৪৩:২০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫
  • ১৪

ছবি: সংগৃহীত

ঝিনাইদহে ভোগান্তির আরেক নাম ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিল। ব্যবহারের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি বিল পেয়ে হতবাক গ্রাহকরা। কারো কারো বিল ছাড়িয়েছে ৩০ হাজার টাকারও বেশি। অভিযোগ করেও মিলছে না সুরাহা। তবে অভিযোগ আমলে নিয়ে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি।

মহেশপুর উপজেলার আজমপুর। এই গ্রামের দিনমজুর খোকন বিশ্বাসের ছোট্ট টিনের ঘরে দুটি ফ্যান, দুটি বাল্ব ও একটি ফ্রিজ ব্যবহার হয়। তবু চলতি মাসে তার হাতে এসেছে ৩৩ হাজার ৪৫০ টাকার বিল। এমন বিল দেখে হতভম্ব খোকন বিশ্বাস বলেন, ‘আমাদের ব্যবহার তো আগের মতোই, তবু বিল এলো লাখপতির মতো। এখন কীভাবে দেব এত টাকা?’

 একই অবস্থার শিকার রামচন্দ্রপুর, বলিভদ্রপুর, কাশিপুর, যাদবপুর ও দত্তনগর এলাকার অসংখ্য গ্রাহক। ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় হঠাৎ করেই অস্বাভাবিক বিদ্যুৎ বিল আসায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ গ্রাহকরা। কারও এক হাজার টাকার জায়গায় এসেছে ৮ হাজার, কারও ৩ হাজার টাকার জায়গায় ১৫ হাজার। ফলে গ্রামেগঞ্জে এখন চায়ের দোকান থেকে ঘর পর্যন্ত আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ‘বিদ্যুৎ বিল’।
 
মহেশপুর ভৈরবা বাজারের ব্যবসায়ী জাকির হোসেন বলেন, ‘আমার দোকানে শুধু একটি ফ্যান আর দুইটি লাইট চলে। সাধারণত বিল আসে এক হাজার টাকার মতো, এবার এসেছে সাড়ে ৮ হাজার টাকা। অফিসে গেলে বলে তদন্ত চলছে। কিন্তু ততদিনে লাইন কেটে দেয়, তখন আমরা কোথায় যাব?’
 
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, মিটার রিডিং না নিয়ে গড় হিসাবের ভিত্তিতে বিল তৈরি করায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। একাধিকবার পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে গেলেও কোনো কার্যকর সমাধান মিলছে না। কেউ লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন, কেউ কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেছেন তবু বিলের অস্বাভাবিকতা থেকে মুক্তি নেই।
 
রামচন্দ্রপুর গ্রামের গৃহবধূ রহিমা খাতুন বলেন, ‘বিদ্যুৎ অফিসে গেলে বলে মিটারে সমস্যা, আবার কেউ বলে ব্যবহার বেশি। কিন্তু ঘরে তো নতুন কিছু লাগাইনি।’
 
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহেশপুর জোনাল অফিসের উপসহকারী প্রকৌশলী অভিজিৎ সাহা বলেন, ‘আমরা বিষয়টি জেনেছি। কিছু গ্রাহকের বিল অস্বাভাবিক বেশি এসেছে-তদন্ত চলছে। যদি মিটারে ত্রুটি পাওয়া যায় বা রিডিংয়ে ভুল হয়ে থাকে, সংশোধন করা হবে। আর কেউ অনিয়মে জড়িত থাকলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। —সময় সংবাদ
জনপ্রিয়

খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ারে প্রধান উপদেষ্টা

দিনমজুরের বিদ্যুৎ বিল ৩৩ হাজার টাকা

প্রকাশের সময় : ১০:৪৩:২০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

ঝিনাইদহে ভোগান্তির আরেক নাম ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিল। ব্যবহারের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি বিল পেয়ে হতবাক গ্রাহকরা। কারো কারো বিল ছাড়িয়েছে ৩০ হাজার টাকারও বেশি। অভিযোগ করেও মিলছে না সুরাহা। তবে অভিযোগ আমলে নিয়ে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি।

মহেশপুর উপজেলার আজমপুর। এই গ্রামের দিনমজুর খোকন বিশ্বাসের ছোট্ট টিনের ঘরে দুটি ফ্যান, দুটি বাল্ব ও একটি ফ্রিজ ব্যবহার হয়। তবু চলতি মাসে তার হাতে এসেছে ৩৩ হাজার ৪৫০ টাকার বিল। এমন বিল দেখে হতভম্ব খোকন বিশ্বাস বলেন, ‘আমাদের ব্যবহার তো আগের মতোই, তবু বিল এলো লাখপতির মতো। এখন কীভাবে দেব এত টাকা?’

 একই অবস্থার শিকার রামচন্দ্রপুর, বলিভদ্রপুর, কাশিপুর, যাদবপুর ও দত্তনগর এলাকার অসংখ্য গ্রাহক। ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় হঠাৎ করেই অস্বাভাবিক বিদ্যুৎ বিল আসায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ গ্রাহকরা। কারও এক হাজার টাকার জায়গায় এসেছে ৮ হাজার, কারও ৩ হাজার টাকার জায়গায় ১৫ হাজার। ফলে গ্রামেগঞ্জে এখন চায়ের দোকান থেকে ঘর পর্যন্ত আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ‘বিদ্যুৎ বিল’।
 
মহেশপুর ভৈরবা বাজারের ব্যবসায়ী জাকির হোসেন বলেন, ‘আমার দোকানে শুধু একটি ফ্যান আর দুইটি লাইট চলে। সাধারণত বিল আসে এক হাজার টাকার মতো, এবার এসেছে সাড়ে ৮ হাজার টাকা। অফিসে গেলে বলে তদন্ত চলছে। কিন্তু ততদিনে লাইন কেটে দেয়, তখন আমরা কোথায় যাব?’
 
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, মিটার রিডিং না নিয়ে গড় হিসাবের ভিত্তিতে বিল তৈরি করায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। একাধিকবার পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে গেলেও কোনো কার্যকর সমাধান মিলছে না। কেউ লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন, কেউ কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেছেন তবু বিলের অস্বাভাবিকতা থেকে মুক্তি নেই।
 
রামচন্দ্রপুর গ্রামের গৃহবধূ রহিমা খাতুন বলেন, ‘বিদ্যুৎ অফিসে গেলে বলে মিটারে সমস্যা, আবার কেউ বলে ব্যবহার বেশি। কিন্তু ঘরে তো নতুন কিছু লাগাইনি।’
 
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহেশপুর জোনাল অফিসের উপসহকারী প্রকৌশলী অভিজিৎ সাহা বলেন, ‘আমরা বিষয়টি জেনেছি। কিছু গ্রাহকের বিল অস্বাভাবিক বেশি এসেছে-তদন্ত চলছে। যদি মিটারে ত্রুটি পাওয়া যায় বা রিডিংয়ে ভুল হয়ে থাকে, সংশোধন করা হবে। আর কেউ অনিয়মে জড়িত থাকলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। —সময় সংবাদ