সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ক্ষেতলালে জাল সনদে দলিল লেখক অপসারণ ও তদন্তের দাবি

সংবাদ সম্মেলন

ক্ষেতলাল (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি:

জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক সৈয়দ আলী মুর্তজা রবিন চৌধুরী এসএসসির জাল সনদ ব্যবহার করে দলিল লেখক লাইসেন্স প্রাপ্তির অভিযোগে অপসারণ ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুর ২টায় ক্ষেতলাল প্রেসক্লাব কার্যালয়ে আয়োজিত জোনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন অভিযোগকারী মিজান চৌধুরী।

তিনি অভিযোগ করেন, রবিন চৌধুরী ঘুষের মাধ্যমে এসএসসির জাল সনদ ব্যবহার করে ক্ষেতলাল সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের ৯২ নম্বর দলিল লেখক লাইসেন্স গ্রহণ করেন। এ ঘটনায় ২০০২ সালে এক ব্যক্তি কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলেও অর্থের বিনিময়ে তা ধামাচাপা দেওয়া হয় বলে দাবি করেন তিনি।

একই ঘটনায় ক্ষেতলাল পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান চৌধুরীও সম্প্রতি জেলা রেজিস্ট্রারের কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করে রবিন চৌধুরীর লাইসেন্স বাতিল ও বিষয়টি তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।

অভিযোগকারী মিজান চৌধুরী বলেন, তদন্তকারী কর্মকর্তারা নির্ধারিত তারিখে তদন্ত না করে অযথা বিলম্ব করছেন। বরং দলিল লেখক রবিন চৌধুরীর প্রভাভিত প্রভাবিত  তদন্তকে ভিন্নখাতে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। তিনি আরও জানান, রবিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে অতীতে সি.এস.পি. তহবিল থেকে অর্থ আত্মসাৎসহ একাধিক দুর্নীতির অভিযোগে প্রশাসনিক তদন্ত হয়েছে।

এ বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা জেলা সাব-রেজিস্টার জুয়েল রানা বলেন, পারিবারিক সমস্যার কারণে আজ উভয় পক্ষের শুনানি করা যায়নি। আগামী রবিবার শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

জনপ্রিয়

চৌগাছার ইজিবাইক–প্রাইভেটকার মুখোমুখি সংঘর্ষ, শিক্ষার্থীসহ আহত ৭

ক্ষেতলালে জাল সনদে দলিল লেখক অপসারণ ও তদন্তের দাবি

প্রকাশের সময় : ০৫:১৯:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

ক্ষেতলাল (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি:

জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক সৈয়দ আলী মুর্তজা রবিন চৌধুরী এসএসসির জাল সনদ ব্যবহার করে দলিল লেখক লাইসেন্স প্রাপ্তির অভিযোগে অপসারণ ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুর ২টায় ক্ষেতলাল প্রেসক্লাব কার্যালয়ে আয়োজিত জোনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন অভিযোগকারী মিজান চৌধুরী।

তিনি অভিযোগ করেন, রবিন চৌধুরী ঘুষের মাধ্যমে এসএসসির জাল সনদ ব্যবহার করে ক্ষেতলাল সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের ৯২ নম্বর দলিল লেখক লাইসেন্স গ্রহণ করেন। এ ঘটনায় ২০০২ সালে এক ব্যক্তি কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলেও অর্থের বিনিময়ে তা ধামাচাপা দেওয়া হয় বলে দাবি করেন তিনি।

একই ঘটনায় ক্ষেতলাল পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান চৌধুরীও সম্প্রতি জেলা রেজিস্ট্রারের কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করে রবিন চৌধুরীর লাইসেন্স বাতিল ও বিষয়টি তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।

অভিযোগকারী মিজান চৌধুরী বলেন, তদন্তকারী কর্মকর্তারা নির্ধারিত তারিখে তদন্ত না করে অযথা বিলম্ব করছেন। বরং দলিল লেখক রবিন চৌধুরীর প্রভাভিত প্রভাবিত  তদন্তকে ভিন্নখাতে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। তিনি আরও জানান, রবিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে অতীতে সি.এস.পি. তহবিল থেকে অর্থ আত্মসাৎসহ একাধিক দুর্নীতির অভিযোগে প্রশাসনিক তদন্ত হয়েছে।

এ বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা জেলা সাব-রেজিস্টার জুয়েল রানা বলেন, পারিবারিক সমস্যার কারণে আজ উভয় পক্ষের শুনানি করা যায়নি। আগামী রবিবার শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।