সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিক্ষকের হাতে রামদা, ভিডিও ভাইরাল

ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহের গৌরীপুরের চান্দের সাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তার ফেসবুকে রামদা হাতে একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন এক শিক্ষক। মুহূর্তেই সেই ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। রবিবার (২ নভেম্বর) ময়মনসিংহের গৌরীপুরে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, ওই শিক্ষকের নাম রাহাত হোসাইন।

তিনি গৌরীপুর পৌরসভার আরকে স্কুলসংলগ্ন নিমতলী মহল্লার মৃত তফাজ্জল হোসেন চন্নু মিয়ার ছেলে।

রবিবার বিকেলে তিনি নিজের ফেসবুক আইডিতে একটি রামদা হাতে নিয়ে ভিডিও ধারণ করেন এবং পোস্ট দেন। ধারণ করা সেই ভিডিওতে তিনি বলেন, আমিও প্রস্তুত আছি এবং ঠাণ্ডা মাথায় কথাগুলো বলছি। যেখানে আজ আব্বাই নেই, সেখানে মাথা রাখার ঠাঁই না থাকাটাই স্বাভাবিক। আল্লাহ ভরসা।

তার এ ভিডিওটি প্রকাশের পরপরই ভাইরাল হয় এবং সর্বত্র তীব্র সমালোচনার সৃষ্টি করে। ভিডিওর বিষয়ে জানতে শিক্ষক রাহাতের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

তবে তার স্ত্রী সুমি আক্তার জানান, কয়েক দিন আগে উনি ফেসবুক থেকে মনিটাইজেশন পেয়েছেন। খুশিতে ভিউ বাড়ানোর জন্যই এই ভিডিওটা করেছিলেন। পরিবারের সবাই বিষয়টি জানত। তবে সমালোচনার পরই উনি পোস্টটি ডিলিট করে দিয়েছেন।

এ বিষয়ে চান্দের সাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শিরিন আক্তার বলেন, রাহাত হোসাইন আমাদের বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। গত বৃহস্পতিবার তিনি ছুটি নিয়েছেন। কেন এমন ভিডিও করলেন, তা জানা নেই।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আনজুমান আরা বলেন, একজন শিক্ষক হয়ে তিনি কেন এ ধরনের ভিডিও করে নিজের ফেসবুকে পোষ্ট করেছেন, তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফিয়া আমীন পাপ্পা বলেন, একজন শিক্ষকের এ ধরনের কর্মকাণ্ড মানা যায় না। এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হবে।

জনপ্রিয়

যশোরে স্বর্ণের বারসহ আটক ১

শিক্ষকের হাতে রামদা, ভিডিও ভাইরাল

প্রকাশের সময় : ০৯:৫৬:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ নভেম্বর ২০২৫

ময়মনসিংহের গৌরীপুরের চান্দের সাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তার ফেসবুকে রামদা হাতে একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন এক শিক্ষক। মুহূর্তেই সেই ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। রবিবার (২ নভেম্বর) ময়মনসিংহের গৌরীপুরে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, ওই শিক্ষকের নাম রাহাত হোসাইন।

তিনি গৌরীপুর পৌরসভার আরকে স্কুলসংলগ্ন নিমতলী মহল্লার মৃত তফাজ্জল হোসেন চন্নু মিয়ার ছেলে।

রবিবার বিকেলে তিনি নিজের ফেসবুক আইডিতে একটি রামদা হাতে নিয়ে ভিডিও ধারণ করেন এবং পোস্ট দেন। ধারণ করা সেই ভিডিওতে তিনি বলেন, আমিও প্রস্তুত আছি এবং ঠাণ্ডা মাথায় কথাগুলো বলছি। যেখানে আজ আব্বাই নেই, সেখানে মাথা রাখার ঠাঁই না থাকাটাই স্বাভাবিক। আল্লাহ ভরসা।

তার এ ভিডিওটি প্রকাশের পরপরই ভাইরাল হয় এবং সর্বত্র তীব্র সমালোচনার সৃষ্টি করে। ভিডিওর বিষয়ে জানতে শিক্ষক রাহাতের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

তবে তার স্ত্রী সুমি আক্তার জানান, কয়েক দিন আগে উনি ফেসবুক থেকে মনিটাইজেশন পেয়েছেন। খুশিতে ভিউ বাড়ানোর জন্যই এই ভিডিওটা করেছিলেন। পরিবারের সবাই বিষয়টি জানত। তবে সমালোচনার পরই উনি পোস্টটি ডিলিট করে দিয়েছেন।

এ বিষয়ে চান্দের সাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শিরিন আক্তার বলেন, রাহাত হোসাইন আমাদের বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। গত বৃহস্পতিবার তিনি ছুটি নিয়েছেন। কেন এমন ভিডিও করলেন, তা জানা নেই।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আনজুমান আরা বলেন, একজন শিক্ষক হয়ে তিনি কেন এ ধরনের ভিডিও করে নিজের ফেসবুকে পোষ্ট করেছেন, তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফিয়া আমীন পাপ্পা বলেন, একজন শিক্ষকের এ ধরনের কর্মকাণ্ড মানা যায় না। এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হবে।