বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায় বরাদ্দের সিংহভাগই লুট: টিআইবি

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায় গত ১৪ বছরে বরাদ্দের সিংহভাগই হয়েছে জানিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) বলছে, মোট বরাদ্দের ৫৪ শতাংশ অর্থ দুর্নীতি হয়েছে। টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ প্রায় ২ হাজার ১১০ কোটি টাকারও বেশি।

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বাংলাদেশে জলবায়ু অর্থায়নে সুশাসনে চ্যালেঞ্জ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় টিআইবি।

সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটি নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বিশ্বে জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ প্রথম সারিতে থাকলেও বরাদ্দ নগণ্য। যতটুকু এসেছে ২০১০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত জাতীয় জলবায়ু তহবিলের ২ হাজার ১১০ কোটি টাকা দুর্নীতি হয়েছে, যা মোট অর্থের ৫৪ শতাংশেরও বেশি। তিনি জানান, প্রকল্প অনুমোদনে ঘুষ ও অবৈধ লেনদেন, বাস্তবায়নে অর্থ আত্মসাৎ করে এসব অর্থ বাগিয়ে নিয়েছে বিগত আওয়ামী সরকার সংশ্লিষ্টরা। রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক স্বার্থে অবকাঠামো ও প্রশমন খাতে সর্বোচ্চ অর্থ বরাদ্দ দেয়া হত।
ড. ইফতেখারুজ্জামান আরও জানান, আওয়ামী সরকারের আমলে প্রকল্প অনুমোদন ও বাস্তবায়নে রাজনৈতিক এবং ব্যবসায়ীক স্বার্থকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। অর্থ আত্মসাতের উদ্দেশ্যে প্রভাব খাটিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্তরা কম গুরুত্বপূর্ণ ও নিজ এলাকায় প্রকল্প অনুমোদন করেছেন।
 
গবেষণায় জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক পরিকল্পনা হালনাগাদ, অর্থ লোপাটে জড়িতদের আইনের আওতার আনার পাশাপাশি ৯টি সুপারিশ করেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক।
জনপ্রিয়

দেশে ফিরলেন চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত

জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায় বরাদ্দের সিংহভাগই লুট: টিআইবি

প্রকাশের সময় : ০২:৫৩:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশের জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায় গত ১৪ বছরে বরাদ্দের সিংহভাগই হয়েছে জানিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) বলছে, মোট বরাদ্দের ৫৪ শতাংশ অর্থ দুর্নীতি হয়েছে। টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ প্রায় ২ হাজার ১১০ কোটি টাকারও বেশি।

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বাংলাদেশে জলবায়ু অর্থায়নে সুশাসনে চ্যালেঞ্জ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় টিআইবি।

সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটি নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বিশ্বে জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ প্রথম সারিতে থাকলেও বরাদ্দ নগণ্য। যতটুকু এসেছে ২০১০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত জাতীয় জলবায়ু তহবিলের ২ হাজার ১১০ কোটি টাকা দুর্নীতি হয়েছে, যা মোট অর্থের ৫৪ শতাংশেরও বেশি। তিনি জানান, প্রকল্প অনুমোদনে ঘুষ ও অবৈধ লেনদেন, বাস্তবায়নে অর্থ আত্মসাৎ করে এসব অর্থ বাগিয়ে নিয়েছে বিগত আওয়ামী সরকার সংশ্লিষ্টরা। রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক স্বার্থে অবকাঠামো ও প্রশমন খাতে সর্বোচ্চ অর্থ বরাদ্দ দেয়া হত।
ড. ইফতেখারুজ্জামান আরও জানান, আওয়ামী সরকারের আমলে প্রকল্প অনুমোদন ও বাস্তবায়নে রাজনৈতিক এবং ব্যবসায়ীক স্বার্থকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। অর্থ আত্মসাতের উদ্দেশ্যে প্রভাব খাটিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্তরা কম গুরুত্বপূর্ণ ও নিজ এলাকায় প্রকল্প অনুমোদন করেছেন।
 
গবেষণায় জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক পরিকল্পনা হালনাগাদ, অর্থ লোপাটে জড়িতদের আইনের আওতার আনার পাশাপাশি ৯টি সুপারিশ করেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক।