মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিরাজগঞ্জে স্লিপের টাকার হিসাব দিতে না পারায় প্রধান শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার শিয়ালকোল ইউনিয়নের বড়হামকুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্লিপের টাকার হিসাব দিতে না পারায় প্রধান শিক্ষক মাহমুদুল হাসানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে উপজেলা শিক্ষা অফিস। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বিদ্যালয় পরিদর্শনকালে ব্যয়ের গড়মিল ধরা পড়লে তিন কর্মদিবসের মধ্যে স্লিপের অর্থব্যয়ের রেজিস্টার ও পরিকল্পনা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন সদর উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম।
সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর রক্ষণাবেক্ষণ ও জরুরি প্রয়োজন মেটাতে প্রতি বছর স্লিপের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট অর্থ বরাদ্দ দেয়, যা বিদ্যালয়ের স্কুল ম্যানেজিং কমিটির (এসএমসি) মাধ্যমে ব্যয়ের বিধান রয়েছে। ২০০ জনের কম শিক্ষার্থী থাকলে প্রতি বছর দুটি কিস্তিতে মোট ৭০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।
চলতি বছর বড়হামকুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্লিপের দুই কিস্তির অর্থ উত্তোলন করেছে। তবে ব্যয়ের কোনো পরিকল্পনা, রেজিস্টার বা হিসাবপত্র শিক্ষা অফিসে উপস্থাপন করা হয়নি। পরিদর্শনে দেখা যায়, অর্থব্যয়ের কোনো লিখিত রেকর্ড সংরক্ষণ করা হয়নি, যা সরকারি আর্থিক বিধির পরিপন্থী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এককভাবে আর্থিক কার্যক্রম পরিচালনা করেন এবং সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যয়ের পরিকল্পনা প্রণয়ন করেননি। এছাড়া ক্লাস ফাঁকি দিয়ে ব্যক্তিগত কাজে সময় ব্যয় করার অভিযোগও পাওয়া গেছে।
সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিষয়টি তদন্তাধীন। নির্ধারিত সময়ে সন্তোষজনক ব্যাখ্যা না পাওয়া গেলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী পরবর্তী প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, বড়হামকুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২০০ জনের নিচে, এবং প্রতিষ্ঠানটি শিয়ালকোল ইউনিয়নের অন্যতম পুরনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
জনপ্রিয়

যশোর বাঘারপাড়ায় খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় হাজারো মানুষের দোয়া

সিরাজগঞ্জে স্লিপের টাকার হিসাব দিতে না পারায় প্রধান শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ

প্রকাশের সময় : ০৭:৫৫:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার শিয়ালকোল ইউনিয়নের বড়হামকুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্লিপের টাকার হিসাব দিতে না পারায় প্রধান শিক্ষক মাহমুদুল হাসানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে উপজেলা শিক্ষা অফিস। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বিদ্যালয় পরিদর্শনকালে ব্যয়ের গড়মিল ধরা পড়লে তিন কর্মদিবসের মধ্যে স্লিপের অর্থব্যয়ের রেজিস্টার ও পরিকল্পনা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন সদর উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম।
সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর রক্ষণাবেক্ষণ ও জরুরি প্রয়োজন মেটাতে প্রতি বছর স্লিপের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট অর্থ বরাদ্দ দেয়, যা বিদ্যালয়ের স্কুল ম্যানেজিং কমিটির (এসএমসি) মাধ্যমে ব্যয়ের বিধান রয়েছে। ২০০ জনের কম শিক্ষার্থী থাকলে প্রতি বছর দুটি কিস্তিতে মোট ৭০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।
চলতি বছর বড়হামকুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্লিপের দুই কিস্তির অর্থ উত্তোলন করেছে। তবে ব্যয়ের কোনো পরিকল্পনা, রেজিস্টার বা হিসাবপত্র শিক্ষা অফিসে উপস্থাপন করা হয়নি। পরিদর্শনে দেখা যায়, অর্থব্যয়ের কোনো লিখিত রেকর্ড সংরক্ষণ করা হয়নি, যা সরকারি আর্থিক বিধির পরিপন্থী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এককভাবে আর্থিক কার্যক্রম পরিচালনা করেন এবং সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যয়ের পরিকল্পনা প্রণয়ন করেননি। এছাড়া ক্লাস ফাঁকি দিয়ে ব্যক্তিগত কাজে সময় ব্যয় করার অভিযোগও পাওয়া গেছে।
সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিষয়টি তদন্তাধীন। নির্ধারিত সময়ে সন্তোষজনক ব্যাখ্যা না পাওয়া গেলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী পরবর্তী প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, বড়হামকুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২০০ জনের নিচে, এবং প্রতিষ্ঠানটি শিয়ালকোল ইউনিয়নের অন্যতম পুরনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।