বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঘোষণা দিয়ে লেবাননের ৪ শহরে ইসরায়েলের হামলা

ছবি: সংগৃহীত

লেবাননের চারটি শহরে হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েল। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) ঘোষণা দিয়ে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি বিমানবাহিনী। সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর অবকাঠামোত লক্ষ্য করে বোমাবর্ষণ করা হবে বলে এর আগে কয়েকটি জায়গা থেকে সাধারণ মানুষকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয় দখলদাররা। এরপর সিরিজ হামলা শুরু হয়।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দক্ষিণ লেবাননের আয়তা আল-জাবাল, তায়বেহ এবং তায়ের দেব্বাতে তারা হামলা শুরু করেছে। এর কিছুক্ষণ পর দক্ষিণ লেবাননেরই জাওতার-আল-শারকিয়া শহরের এক জায়গার বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয় তারা। এর কিছুক্ষণ পর সেখানে হামলা শুরু হয়।

২০২৪ সালে হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়। তা সত্ত্বেও লেবাননের বিভিন্ন জায়গায় হামলা অব্যাহত রাখে তারা। যুদ্ধবিরতির পর ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত হিজবুল্লাহর ৩৫০ জনের বেশি যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। গতকালও হিজবুল্লাহর এলিট রেদওয়ান ফোর্সের এক কমান্ডারকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায় তারা।

হিজবুল্লাহ যেন সীমান্তে নিজেদের আর সংগঠিত করতে না পারে সেই চেষ্টা চালাচ্ছে দখলদাররা। এছাড়া হিজবুল্লাহকে অস্ত্র সমর্পণ করাতে লেবানন সরকারকে চাপ দিচ্ছে ইসরায়েল।

যুদ্ধবিরতির পর নিজেদের যোদ্ধাদের ওপর ইসরায়েল নিয়মিত হামলা চালিয়ে গেলেও হিজবুল্লাহ কোনো জবাব দেয়নি। তবে ইসরায়েল যেন চুক্তি মেনে চলে সেজন্য নিজ দেশের সরকারকে চাপ দিচ্ছে তারা।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও দখলদার ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হলে এতে সংহতি জানিয়ে বিক্ষিপ্ত হামলা শুরু করে হিজবুল্লাহ। কিন্তু ২০২৪ সালের মাঝামাঝিতে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ করে ইসরায়েল। এরপর গত বছরের শেষ দিকে দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হয়।

সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল

জনপ্রিয়

ডেইলি স্টার ভবনে হামলার ঘটনায় আকাশ গ্রেপ্তার

ঘোষণা দিয়ে লেবাননের ৪ শহরে ইসরায়েলের হামলা

প্রকাশের সময় : ০৯:৪৩:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর ২০২৫

লেবাননের চারটি শহরে হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েল। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) ঘোষণা দিয়ে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি বিমানবাহিনী। সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর অবকাঠামোত লক্ষ্য করে বোমাবর্ষণ করা হবে বলে এর আগে কয়েকটি জায়গা থেকে সাধারণ মানুষকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয় দখলদাররা। এরপর সিরিজ হামলা শুরু হয়।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দক্ষিণ লেবাননের আয়তা আল-জাবাল, তায়বেহ এবং তায়ের দেব্বাতে তারা হামলা শুরু করেছে। এর কিছুক্ষণ পর দক্ষিণ লেবাননেরই জাওতার-আল-শারকিয়া শহরের এক জায়গার বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয় তারা। এর কিছুক্ষণ পর সেখানে হামলা শুরু হয়।

২০২৪ সালে হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়। তা সত্ত্বেও লেবাননের বিভিন্ন জায়গায় হামলা অব্যাহত রাখে তারা। যুদ্ধবিরতির পর ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত হিজবুল্লাহর ৩৫০ জনের বেশি যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। গতকালও হিজবুল্লাহর এলিট রেদওয়ান ফোর্সের এক কমান্ডারকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায় তারা।

হিজবুল্লাহ যেন সীমান্তে নিজেদের আর সংগঠিত করতে না পারে সেই চেষ্টা চালাচ্ছে দখলদাররা। এছাড়া হিজবুল্লাহকে অস্ত্র সমর্পণ করাতে লেবানন সরকারকে চাপ দিচ্ছে ইসরায়েল।

যুদ্ধবিরতির পর নিজেদের যোদ্ধাদের ওপর ইসরায়েল নিয়মিত হামলা চালিয়ে গেলেও হিজবুল্লাহ কোনো জবাব দেয়নি। তবে ইসরায়েল যেন চুক্তি মেনে চলে সেজন্য নিজ দেশের সরকারকে চাপ দিচ্ছে তারা।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও দখলদার ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হলে এতে সংহতি জানিয়ে বিক্ষিপ্ত হামলা শুরু করে হিজবুল্লাহ। কিন্তু ২০২৪ সালের মাঝামাঝিতে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ করে ইসরায়েল। এরপর গত বছরের শেষ দিকে দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হয়।

সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল