
ইরানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় কোহগিলুয়ে ও বুয়ের-আহমাদ প্রদেশে চিকিৎসককে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত এক ব্যক্তির জনসম্মুখে ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির ফাঁসি কার্যকর করেছে বলে মঙ্গলবার দেশটির বিচার বিভাগ জানিয়েছে।
দেশটির বিচার বিভাগ পরিচালিত রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম মিজান অনলাইনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে বলে খবর দিয়েছে এএফপি। এতে বলা হয়েছে, ‘‘মঙ্গলবার সকালের দিকে কোহগিলুয়ে ও বুয়ের-আহমাদ প্রদেশের রাজধানী ইয়াসুজে ড. দাভুদির হত্যাকারীর বিরুদ্ধে কিসাসের (প্রতিশোধমূলক বিচার) রায় জনসম্মুখে কার্যকর করা হয়েছে।’’
ইরানের বিচার বিভাগ বলেছে, ‘‘রায় কার্যকরের আগে অভিযুক্তের মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় এবং সর্বোচ্চ আদালতও মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রেখেছিলেন।
কোহগিলুয়ে ও বুয়ের-আহমাদ প্রদেশের সরকারি কৌঁসুলি বাহিদ মুসাভিয়ান মিজান অনলাইনকে বলেছেন, ‘‘সমাজ ও নাগরিকদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে চায়, এমন ব্যক্তিদের একটি বার্তা দেওয়ার জন্য জনসম্মুখে এই রায় কার্যকর করা হয়েছে।
ইরানে হত্যা, মাদকপাচার, ধর্ষণ এবং যৌন নির্যাতনসহ বড় ধরনের অন্যান্য অপরাধের ঘটনায় মৃত্যুদণ্ডের সাজার বিধান রয়েছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতে, বিশ্বে প্রত্যেক বছর চীনের পর সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে ইরান। যদিও দেশটিতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নির্ভরযোগ্য কোনও পরিসংখ্যান পাওয়া যায় না।
১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লব এবং ইরান-ইরাক যুদ্ধের পর ১৯৮০’র দশক ও ১৯৯০’র দশকের শুরুর দিকে ইরানে বিপুলসংখ্যক মানুষের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। তবে মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, দেশটিতে গত তিন দশকে এতো ব্যাপক সংখ্যক মানুষের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ঘটনা নজিরবিহীন। সূত্র: এএফপি।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক 







































