সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ক্ষেতলালে সাংবাদিকের পিতার জমি থেকে ধান চুরির অভিযোগ

ক্ষেতলাল (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি:

জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলায় এক সাংবাদিকের পিতার জমি থেকে রাতের আধারে জমিতে কেটে রাখা ধান চুরির অভিযোগ উঠেছে। ওই কৃষক ক্ষেতলাল পৌর সাবেক কমিশনার খলিলুর রহমান কাজী। তার ছেলে শাহিনুর ইসলাম (২৯), তিনি দৈনিক খোলা কাগজ পত্রিকার ক্ষেতলাল উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সাংবাদিক শাহিনুর বাদী হয়ে ক্ষেতলাল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগে জানা যায়, সাংবাদিক শাহিনুর ইসলামের মাতৃসূত্রে প্রাপ্ত ক্ষেতলাল মৌজার এস.এ. খতিয়ান নং ৭৭৩, এম.আর. খতিয়ান নং ১৩৯৩, দাগ নং ৪৬৯, মোট ৩৬ শতক ধানী জমি তিনি দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখল করে আসছেন। উক্ত জমি নিয়ে প্রতিবেশী মোঃ নূর নবী ওরফে মিলটন, মোঃ এরশাদুল, মোঃ নূর আলম, মোঃ নুহু মিয়া, মোঃ তানভীর, মোঃ অছীমদ্দিন ও মোঃ রশিদুলদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে।

এ নিয়ে বিগত ২২ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে বাদী পক্ষ জয়পুরহাট জেলা লিগ্যাল এইড অফিসে একটি অভিযোগ দায়ের করলে ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে লিগ্যাল এইড কর্তৃপক্ষ উভয় পক্ষকে জমিতে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশ দেন।

এ বিষয়ে সাংবাদিক শাহিনুর ইসলাম জানান, জমির মূল মালিক মালিপাড়া গ্রামের মৃত ইব্রাহিম মন্ডল। তার এক ছেলে মৃত হারেজ মন্ডল এক মেয়ে মৃত আইমা বেওয়া। পৈত্রিকসূত্রে প্রাপ্ত অংশ মেয়ে আইমা জীবতথাকাবস্থায় আমার মাতা সাজেদা বেগমের নামে ছোলে করে দেয়। সেই থেকে দীর্ঘদিন ভোগদখলে আছি। আমার মায়ের মৃত্যুর পর জমির মালিক আমিসহ আমার ভাই-বোন ও আমার বাবা।

তিনি আরো জানান, এ জমিগুলো নিয়ে বিবাদীরা ঝামেলা করায় জেলা লিগ্যাল এইড অফিসে অভিযোগ করি পরে সেখানকার সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে এ পর্যন্ত ভোগদখল করে আসতেছি। জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের রায়ের পর থেকে এ পর্যন্ত সবকিছু স্বাভাবিক ছিল। গত বোরো মৌসুমে  উক্ত জমিতে ধান রোপণ ও কর্তন করেছি এবং চলতি আমন মৌসুমেও একইভাবে চাষাবাদ চালিয়ে আসতেছি। জমিতে শুকানোর উদ্দেশ্যে ধান কাটিয়া রেখে দিলে সুযোগ বুঝে রাতে বিবাদীরা তা চুরি করে নিয়ে যায়।

আমি তদন্ত সাপেক্ষে সুষ্ঠ বিচার দাবি করছি।

এছাড়া উক্ত জমি নিয়ে বর্তমানে বাদী পক্ষের দায়ের করা একটি ল্যান্ড সার্ভে মামলা আদালতে চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে ক্ষেতলাল থানার অফিসার ইনচার্জ তদন্ত (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, “লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

জনপ্রিয়

চৌগাছার ইজিবাইক–প্রাইভেটকার মুখোমুখি সংঘর্ষ, শিক্ষার্থীসহ আহত ৭

ক্ষেতলালে সাংবাদিকের পিতার জমি থেকে ধান চুরির অভিযোগ

প্রকাশের সময় : ০৯:০৪:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫

ক্ষেতলাল (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি:

জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলায় এক সাংবাদিকের পিতার জমি থেকে রাতের আধারে জমিতে কেটে রাখা ধান চুরির অভিযোগ উঠেছে। ওই কৃষক ক্ষেতলাল পৌর সাবেক কমিশনার খলিলুর রহমান কাজী। তার ছেলে শাহিনুর ইসলাম (২৯), তিনি দৈনিক খোলা কাগজ পত্রিকার ক্ষেতলাল উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সাংবাদিক শাহিনুর বাদী হয়ে ক্ষেতলাল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগে জানা যায়, সাংবাদিক শাহিনুর ইসলামের মাতৃসূত্রে প্রাপ্ত ক্ষেতলাল মৌজার এস.এ. খতিয়ান নং ৭৭৩, এম.আর. খতিয়ান নং ১৩৯৩, দাগ নং ৪৬৯, মোট ৩৬ শতক ধানী জমি তিনি দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখল করে আসছেন। উক্ত জমি নিয়ে প্রতিবেশী মোঃ নূর নবী ওরফে মিলটন, মোঃ এরশাদুল, মোঃ নূর আলম, মোঃ নুহু মিয়া, মোঃ তানভীর, মোঃ অছীমদ্দিন ও মোঃ রশিদুলদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে।

এ নিয়ে বিগত ২২ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে বাদী পক্ষ জয়পুরহাট জেলা লিগ্যাল এইড অফিসে একটি অভিযোগ দায়ের করলে ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে লিগ্যাল এইড কর্তৃপক্ষ উভয় পক্ষকে জমিতে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশ দেন।

এ বিষয়ে সাংবাদিক শাহিনুর ইসলাম জানান, জমির মূল মালিক মালিপাড়া গ্রামের মৃত ইব্রাহিম মন্ডল। তার এক ছেলে মৃত হারেজ মন্ডল এক মেয়ে মৃত আইমা বেওয়া। পৈত্রিকসূত্রে প্রাপ্ত অংশ মেয়ে আইমা জীবতথাকাবস্থায় আমার মাতা সাজেদা বেগমের নামে ছোলে করে দেয়। সেই থেকে দীর্ঘদিন ভোগদখলে আছি। আমার মায়ের মৃত্যুর পর জমির মালিক আমিসহ আমার ভাই-বোন ও আমার বাবা।

তিনি আরো জানান, এ জমিগুলো নিয়ে বিবাদীরা ঝামেলা করায় জেলা লিগ্যাল এইড অফিসে অভিযোগ করি পরে সেখানকার সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে এ পর্যন্ত ভোগদখল করে আসতেছি। জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের রায়ের পর থেকে এ পর্যন্ত সবকিছু স্বাভাবিক ছিল। গত বোরো মৌসুমে  উক্ত জমিতে ধান রোপণ ও কর্তন করেছি এবং চলতি আমন মৌসুমেও একইভাবে চাষাবাদ চালিয়ে আসতেছি। জমিতে শুকানোর উদ্দেশ্যে ধান কাটিয়া রেখে দিলে সুযোগ বুঝে রাতে বিবাদীরা তা চুরি করে নিয়ে যায়।

আমি তদন্ত সাপেক্ষে সুষ্ঠ বিচার দাবি করছি।

এছাড়া উক্ত জমি নিয়ে বর্তমানে বাদী পক্ষের দায়ের করা একটি ল্যান্ড সার্ভে মামলা আদালতে চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে ক্ষেতলাল থানার অফিসার ইনচার্জ তদন্ত (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, “লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”