মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিরাজগঞ্জ তাড়াশে সার সংকট, ডিলারদের দ্বারে দ্বারে কৃষকের ভোগান্তি

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি 
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় চলতি রবি মৌসুমের শুরুতেই দেখা দিয়েছে সার সংকট। প্রয়োজনীয় সার না পেয়ে কৃষকরা প্রতিদিন ডিলারদের দোকানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। উপজেলা কৃষি অফিস কখনো স্লিপ পদ্ধতিতে, আবার কখনো উন্মুক্তভাবে সার বিতরণ করায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে।
কৃষকদের অভিযোগ, কিছু পরিবেশক কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করেছেন। তবে উপজেলা কৃষি অফিসের দাবি, এ উপজেলার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ সার বরাদ্দ রয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, তাড়াশে বিসিআইসি ও বিএডিসি মিলে মোট ২৯ জন পরিবেশক (ডিলার) এবং পৌরসভা ও আট ইউনিয়নে ৭২ জন সাব-ডিলার রয়েছে। চলতি মৌসুমে সরিষা, আলু, ভুট্টা, পেঁয়াজ, রসুনসহ বিভিন্ন রবি ফসলের জন্য প্রায় ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে আবাদ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে সরিষার আবাদই প্রায় ১০ হাজার হেক্টর।
মাঠ পর্যায়ে দেখা গেছে, সারের চাহিদা থাকলেও ডিলারদের অনেকেই দোকান বন্ধ রাখছেন বা বলছেন ‘সার শেষ’। আজ বৃহস্পতিবার উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে তিনজন ডিলার সার বিতরণ করছেন। সরেজমিনে দেখা যায়, তাড়াশ সদরের পার্থ এন্টারপ্রাইজে শত শত কৃষক সার পাওয়ার অপেক্ষায় সারাদিন অবস্থান করছেন।
সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী কৃষকদের ডিএপি সার ব্যবহারে উৎসাহিত করা হয়েছে, কারণ এতে ফসফরাসের পাশাপাশি নাইট্রোজেন ও ক্যালসিয়াম থাকায় ফসলের বৃদ্ধি ভালো হয়। কিন্তু বাজারে এই সারই সবচেয়ে বেশি সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে অনেক কৃষক প্রয়োজনীয় ডিএপি সার না পেয়ে ভুট্টা, সরিষা ও অন্যান্য রবি ফসলের আবাদে সমস্যায় পড়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কৃষি অফিস থেকে কখনো স্লিপ পদ্ধতিতে, কখনো উন্মুক্ত পদ্ধতিতে সার বিতরণ করা হচ্ছে। এর ফলে অনেক কৃষক নিজ ইউনিয়নের বদলে অন্য ইউনিয়নের ডিলারের কাছ থেকে সার আনতে বাধ্য হচ্ছেন, এতে সময় ও পরিবহন খরচ দুটোই বাড়ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, উপজেলার কোথাও সারের ঘাটতি নেই এবং পর্যায়ক্রমে আরও বরাদ্দ দেওয়া হবে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও পরিস্থিতি তদারকি করা হচ্ছে।
জনপ্রিয়

সিরাজগঞ্জ-৪ আসনে প্রার্থী পরিবর্তনের দাবি, জোটসমীকরণে বাড়ছে উত্তাপ

সিরাজগঞ্জ তাড়াশে সার সংকট, ডিলারদের দ্বারে দ্বারে কৃষকের ভোগান্তি

প্রকাশের সময় : ১০:০১:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি 
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় চলতি রবি মৌসুমের শুরুতেই দেখা দিয়েছে সার সংকট। প্রয়োজনীয় সার না পেয়ে কৃষকরা প্রতিদিন ডিলারদের দোকানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। উপজেলা কৃষি অফিস কখনো স্লিপ পদ্ধতিতে, আবার কখনো উন্মুক্তভাবে সার বিতরণ করায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে।
কৃষকদের অভিযোগ, কিছু পরিবেশক কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করেছেন। তবে উপজেলা কৃষি অফিসের দাবি, এ উপজেলার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ সার বরাদ্দ রয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, তাড়াশে বিসিআইসি ও বিএডিসি মিলে মোট ২৯ জন পরিবেশক (ডিলার) এবং পৌরসভা ও আট ইউনিয়নে ৭২ জন সাব-ডিলার রয়েছে। চলতি মৌসুমে সরিষা, আলু, ভুট্টা, পেঁয়াজ, রসুনসহ বিভিন্ন রবি ফসলের জন্য প্রায় ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে আবাদ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে সরিষার আবাদই প্রায় ১০ হাজার হেক্টর।
মাঠ পর্যায়ে দেখা গেছে, সারের চাহিদা থাকলেও ডিলারদের অনেকেই দোকান বন্ধ রাখছেন বা বলছেন ‘সার শেষ’। আজ বৃহস্পতিবার উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে তিনজন ডিলার সার বিতরণ করছেন। সরেজমিনে দেখা যায়, তাড়াশ সদরের পার্থ এন্টারপ্রাইজে শত শত কৃষক সার পাওয়ার অপেক্ষায় সারাদিন অবস্থান করছেন।
সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী কৃষকদের ডিএপি সার ব্যবহারে উৎসাহিত করা হয়েছে, কারণ এতে ফসফরাসের পাশাপাশি নাইট্রোজেন ও ক্যালসিয়াম থাকায় ফসলের বৃদ্ধি ভালো হয়। কিন্তু বাজারে এই সারই সবচেয়ে বেশি সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে অনেক কৃষক প্রয়োজনীয় ডিএপি সার না পেয়ে ভুট্টা, সরিষা ও অন্যান্য রবি ফসলের আবাদে সমস্যায় পড়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কৃষি অফিস থেকে কখনো স্লিপ পদ্ধতিতে, কখনো উন্মুক্ত পদ্ধতিতে সার বিতরণ করা হচ্ছে। এর ফলে অনেক কৃষক নিজ ইউনিয়নের বদলে অন্য ইউনিয়নের ডিলারের কাছ থেকে সার আনতে বাধ্য হচ্ছেন, এতে সময় ও পরিবহন খরচ দুটোই বাড়ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, উপজেলার কোথাও সারের ঘাটতি নেই এবং পর্যায়ক্রমে আরও বরাদ্দ দেওয়া হবে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও পরিস্থিতি তদারকি করা হচ্ছে।