সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিরাজগঞ্জ উল্লাপাড়ায় বিএনপির মনোনয়নকে ঘিরে তৃণমূলে অস্থিরতা

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি 
সিরাজগঞ্জ–৪ (উল্লাপাড়া) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে সাবেক এমপি এম. আকবর আলীর নাম ঘোষিত হওয়ার পর থেকেই দলীয় অঙ্গনে চাপা ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল ও সহযোগী সংগঠনের বেশ কয়েকজন পদধারী নেতা দলীয় উচ্চপর্যায়ে লিখিতভাবে মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়েছেন। তাদের দাবি, স্থানীয় রাজনীতিতে দীর্ঘদিন সক্রিয় ত্যাগী নেতাদের পরিবর্তে দীর্ঘ সময় মাঠের বাইরে থাকা একজন নেতাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় বিভিন্ন নেতা জানান, গত ১৬ বছর এম. আকবর আলী এলাকায় সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ছিলেন না এবং কোনো আন্দোলন–সংগ্রামেও অংশ নেননি। এতে তৃণমূল নেতা–কর্মীরা হতাশ ও অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে সময় পার করছেন।
অন্যদিকে উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আজাদ হোসেনসহ দীর্ঘদিন মাঠে থাকা কয়েকজন সম্ভাব্য প্রার্থী নিয়মিত সংগঠনের দায়িত্ব পালন করেছেন। স্থানীয়ভাবে তাদের রাজনৈতিক উপস্থিতি ও জনপ্রিয়তা উল্লেখযোগ্য বলে সংগঠনভুক্ত নেতাদের মূল্যায়নে উঠে এসেছে। গত ১৬ বছরে আজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয় এবং তিনি নানা সময়ে কারাবরণ করেন। এসব কারণে তাকে তৃণমূলের সক্রিয় নেতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
মনোনয়ন ঘোষণার পর যুবদলের কর্মসূচি স্থবির হয়ে পড়ে। সংগঠনের কয়েকজন নেতা জানান, প্রার্থী ঘোষণার পর থেকে কর্মীরা অংশগ্রহণে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। একইভাবে ছাত্রদলের নেতাদের মধ্যে হতাশা দেখা যায়। তাদের বক্তব্য, স্থানীয়ভাবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন ও সাংগঠনিক অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও আজাদ হোসেন মনোনয়ন না পাওয়ায় ছাত্রদলের কর্মীরা এখনো নির্বাচনী মাঠে নামেনি।
উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আজাদ হোসেন ছাড়াও প্রার্থী ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক আব্দুল ওহাব, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট সিমকী ইমাম খান এবং জেলা বিএনপির সহসভাপতি কে.এম. শরফুদ্দীন মঞ্জু। স্থানীয় পর্যায়ে সংগঠনের ত্যাগ, নেতৃত্ব ও গ্রহণযোগ্যতার ভিত্তিতে মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার দাবি অব্যাহত রয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে আসনটিতে বিএনপির নির্বাচনী প্রস্তুতি স্থবির হয়ে আছে এবং তৃণমূলে অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে।
জনপ্রিয়

‘মোংলা বন্দরের  শ্রেষ্ঠ কার্গো হ্যান্ডলিংয়ের পুরস্কার পেল জুলফিকার আলীর প্রতিষ্ঠান’

সিরাজগঞ্জ উল্লাপাড়ায় বিএনপির মনোনয়নকে ঘিরে তৃণমূলে অস্থিরতা

প্রকাশের সময় : ১২:৩২:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি 
সিরাজগঞ্জ–৪ (উল্লাপাড়া) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে সাবেক এমপি এম. আকবর আলীর নাম ঘোষিত হওয়ার পর থেকেই দলীয় অঙ্গনে চাপা ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল ও সহযোগী সংগঠনের বেশ কয়েকজন পদধারী নেতা দলীয় উচ্চপর্যায়ে লিখিতভাবে মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়েছেন। তাদের দাবি, স্থানীয় রাজনীতিতে দীর্ঘদিন সক্রিয় ত্যাগী নেতাদের পরিবর্তে দীর্ঘ সময় মাঠের বাইরে থাকা একজন নেতাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় বিভিন্ন নেতা জানান, গত ১৬ বছর এম. আকবর আলী এলাকায় সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ছিলেন না এবং কোনো আন্দোলন–সংগ্রামেও অংশ নেননি। এতে তৃণমূল নেতা–কর্মীরা হতাশ ও অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে সময় পার করছেন।
অন্যদিকে উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আজাদ হোসেনসহ দীর্ঘদিন মাঠে থাকা কয়েকজন সম্ভাব্য প্রার্থী নিয়মিত সংগঠনের দায়িত্ব পালন করেছেন। স্থানীয়ভাবে তাদের রাজনৈতিক উপস্থিতি ও জনপ্রিয়তা উল্লেখযোগ্য বলে সংগঠনভুক্ত নেতাদের মূল্যায়নে উঠে এসেছে। গত ১৬ বছরে আজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয় এবং তিনি নানা সময়ে কারাবরণ করেন। এসব কারণে তাকে তৃণমূলের সক্রিয় নেতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
মনোনয়ন ঘোষণার পর যুবদলের কর্মসূচি স্থবির হয়ে পড়ে। সংগঠনের কয়েকজন নেতা জানান, প্রার্থী ঘোষণার পর থেকে কর্মীরা অংশগ্রহণে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। একইভাবে ছাত্রদলের নেতাদের মধ্যে হতাশা দেখা যায়। তাদের বক্তব্য, স্থানীয়ভাবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন ও সাংগঠনিক অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও আজাদ হোসেন মনোনয়ন না পাওয়ায় ছাত্রদলের কর্মীরা এখনো নির্বাচনী মাঠে নামেনি।
উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আজাদ হোসেন ছাড়াও প্রার্থী ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক আব্দুল ওহাব, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট সিমকী ইমাম খান এবং জেলা বিএনপির সহসভাপতি কে.এম. শরফুদ্দীন মঞ্জু। স্থানীয় পর্যায়ে সংগঠনের ত্যাগ, নেতৃত্ব ও গ্রহণযোগ্যতার ভিত্তিতে মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার দাবি অব্যাহত রয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে আসনটিতে বিএনপির নির্বাচনী প্রস্তুতি স্থবির হয়ে আছে এবং তৃণমূলে অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে।