সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য ফেরাতে ইবিতে অভয়ারণ্যের মেহেদি উৎসব

ইবি প্রতিনিধি:

হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য ফেরাতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) মেহেদি ও নবান্ন উৎসবের আয়োজন করেছে পরিবেশবাদী সংগঠন অভয়ারণ্য। সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় তারা এ আয়োজন করে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, মেহেদি ও নবান্ন উৎসবকে ঘিরে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক উপস্থিতিতে পুরো এলাকাজুড়ে তৈরি হয়েছিল রঙিন উৎসবের আমেজ। পরিবেশবান্ধব ঝুলন্ত সাজসজ্জা, প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়ার স্টল এবং সাহিত্য সংস্কৃতির উপস্থাপন দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করে। প্রকৌশল অফিসসংলগ্ন অভয়ারণ্যের বাগানে উৎপাদিত মেহেদি পাতা দিয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে মেহেদি আর্ট, কলকা ও আলতা দেয় অভয়ারণ্যের সদস্যরা। পাশেই নবান্ন উৎসবে অতিথিদের আপ্যায়ন করা হয় শীতের ঐতিহ্যবাহী নানা পিঠা ঘুরের পায়েস, পাটিসাপটা, নকশি, বাঁধাকপির পিঠা, তেজপাতার পিঠাসহ মুখরোচক আরও বিভিন্ন পদ।

দর্শনার্থী শিক্ষার্থী ফাতিমা খাতুন বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনগুলোর মধ্যে অভয়ারণ্য সবসময় ই ব্যতিক্রম। আজকের মেহেদি উৎসবে এসে আমার অনেক ভালো লাগছে। আজকাল প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়ার সংস্কৃতি অনেকটাই কমে গেছে। তারা সেই সংস্কৃতিকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। তাছাড়া নবান্ন উৎসব যেখানে একদম বিলীনপ্রায় সেখানে তারা এটারও আয়োজন করেছে। আশা করছি এরকম সুন্দর আয়োজন চলমান থাকবে।

সংগঠনটির সভাপতি নাইমুল ফারাবী বলেন, “আমরা দ্বিতীয়বারের মতো মেহেদি উৎসব আয়োজন করেছি। একসময় মেয়েদের হাতে নিয়মিত মেহেদির রঙ দেখা যেত, কিন্তু প্রযুক্তির অগ্রগতির ফলে সে চর্চা কমে গেছে। সেই ঐতিহ্যকে স্মরণ করিয়ে দিতেই আমাদের এই উদ্যোগ। তাছাড়া আজ যে মেহেদি দেওয়া হচ্ছে, তা সংগঠনটির নিজস্বভাবে রোপণ করা গাছ থেকে সংগ্রহ করা—এর মধ্য দিয়ে আমরা প্রাকৃতিকতা ও শুদ্ধতার বার্তা ছড়িয়ে দিতে চাই।”

তিনি আরও বলেন, মেহেদি উৎসবের পাশাপাশি এবার প্রথমবারের মতো নবান্ন উৎসবও আয়োজন করেছি। বাংলার সমৃদ্ধ কৃষি–সংস্কৃতিকে শিক্ষার্থীদের সামনে নতুনভাবে উপস্থাপন ও পুনরুজ্জীবিত করতেই আমাদের এই আয়োজন।

জনপ্রিয়

‘মোংলা বন্দরের  শ্রেষ্ঠ কার্গো হ্যান্ডলিংয়ের পুরস্কার পেল জুলফিকার আলীর প্রতিষ্ঠান’

হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য ফেরাতে ইবিতে অভয়ারণ্যের মেহেদি উৎসব

প্রকাশের সময় : ০৭:৩১:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫

ইবি প্রতিনিধি:

হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য ফেরাতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) মেহেদি ও নবান্ন উৎসবের আয়োজন করেছে পরিবেশবাদী সংগঠন অভয়ারণ্য। সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় তারা এ আয়োজন করে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, মেহেদি ও নবান্ন উৎসবকে ঘিরে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক উপস্থিতিতে পুরো এলাকাজুড়ে তৈরি হয়েছিল রঙিন উৎসবের আমেজ। পরিবেশবান্ধব ঝুলন্ত সাজসজ্জা, প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়ার স্টল এবং সাহিত্য সংস্কৃতির উপস্থাপন দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করে। প্রকৌশল অফিসসংলগ্ন অভয়ারণ্যের বাগানে উৎপাদিত মেহেদি পাতা দিয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে মেহেদি আর্ট, কলকা ও আলতা দেয় অভয়ারণ্যের সদস্যরা। পাশেই নবান্ন উৎসবে অতিথিদের আপ্যায়ন করা হয় শীতের ঐতিহ্যবাহী নানা পিঠা ঘুরের পায়েস, পাটিসাপটা, নকশি, বাঁধাকপির পিঠা, তেজপাতার পিঠাসহ মুখরোচক আরও বিভিন্ন পদ।

দর্শনার্থী শিক্ষার্থী ফাতিমা খাতুন বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনগুলোর মধ্যে অভয়ারণ্য সবসময় ই ব্যতিক্রম। আজকের মেহেদি উৎসবে এসে আমার অনেক ভালো লাগছে। আজকাল প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়ার সংস্কৃতি অনেকটাই কমে গেছে। তারা সেই সংস্কৃতিকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। তাছাড়া নবান্ন উৎসব যেখানে একদম বিলীনপ্রায় সেখানে তারা এটারও আয়োজন করেছে। আশা করছি এরকম সুন্দর আয়োজন চলমান থাকবে।

সংগঠনটির সভাপতি নাইমুল ফারাবী বলেন, “আমরা দ্বিতীয়বারের মতো মেহেদি উৎসব আয়োজন করেছি। একসময় মেয়েদের হাতে নিয়মিত মেহেদির রঙ দেখা যেত, কিন্তু প্রযুক্তির অগ্রগতির ফলে সে চর্চা কমে গেছে। সেই ঐতিহ্যকে স্মরণ করিয়ে দিতেই আমাদের এই উদ্যোগ। তাছাড়া আজ যে মেহেদি দেওয়া হচ্ছে, তা সংগঠনটির নিজস্বভাবে রোপণ করা গাছ থেকে সংগ্রহ করা—এর মধ্য দিয়ে আমরা প্রাকৃতিকতা ও শুদ্ধতার বার্তা ছড়িয়ে দিতে চাই।”

তিনি আরও বলেন, মেহেদি উৎসবের পাশাপাশি এবার প্রথমবারের মতো নবান্ন উৎসবও আয়োজন করেছি। বাংলার সমৃদ্ধ কৃষি–সংস্কৃতিকে শিক্ষার্থীদের সামনে নতুনভাবে উপস্থাপন ও পুনরুজ্জীবিত করতেই আমাদের এই আয়োজন।