সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
যশোর

গায়ের রঙ ভিন্ন: সেই আফিয়ার পাশে মাতৃসেবা হাসপাতাল

যশোর প্রতিনিধি 
সন্তানের গায়ের রঙ ভিন্ন হওয়ায় স্বামী কর্তৃক তালাকপ্রাপ্ত মনিরা খাতুন এবং তার শিশু কন্যা আফিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছে যশোরের একটি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান। মঙ্গলবার দুপুরে যশোর সদর উপজেলার বাজুয়াডাঙ্গা পশ্চিমপাড়ায় শিশুটির বাড়িতে গিয়ে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেন মাতৃসেবা হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিরুল ইসলাম।
গত ১০ নভেম্বর দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে শিশু আফিয়া ও তার মায়ের করুণ কাহিনী প্রকাশিত হওয়ার পর সমাজের বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান তাদের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। অনেকেই মনিরা খাতুনের জন্য একটি বসতঘর নির্মাণের পাশাপাশি শিশু আফিয়ার পড়াশোনার দায়িত্ব নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
জানা যায়, প্রায় পাঁচ বছর আগে যশোর সদর উপজেলার বাউলিয়া চাঁদপাড়া গ্রামের মজিদ মোল্লার ছেলে মোজাফফর হোসেনের সঙ্গে বাজুয়াডাঙ্গা পশ্চিমপাড়ার শহিদ মোল্লার মেয়ে মনিরা খাতুনের বিয়ে হয়। ২০২২ সালের ১৩ নভেম্বর মনিরা খাতুন শহরের মাতৃসেবা হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে একটি কন্যাসন্তান জন্ম দেন। শিশুটি আর পাঁচটা সাধারণ বাচ্চার মতো না হওয়ায় স্বামী মোজাফফর স্ত্রী ও মেয়েকে ত্যাগ করে প্রবাসে চলে যান এবং মিথ্যা অপবাদ দিয়ে মনিরা খাতুনকে তালাক দেন।
নির্যাতিতা মা মনিরা খাতুন জানান, গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হওয়ার পর তার স্বামী বিদেশ থেকে তাকে হুমকি দিচ্ছেন এবং তার নামে বিভিন্ন ফেসবুক পেজে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। এ ঘটনায় তিনি থানায় অভিযোগ করেছেন এবং পুলিশ সুপারের (এসপি) সাথে দেখা করেছেন। পুলিশ সুপার রওনক জাহান তাকে সার্বিক আইনি সহায়তা এবং ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে তার মেয়ের পরিচয় শনাক্ত করতে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
মাতৃসেবা হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিরুল ইসলাম জানান, শিশু আফিয়া তার প্রতিষ্ঠানেই জন্মগ্রহণ করেছিল। গণমাধ্যমের খবরে তাদের দুর্দশার কথা জানতে পেরে তিনি ব্যক্তিগতভাবে এই সহায়তা করেছেন এবং ভবিষ্যতেও এই সহযোগিতা অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন।
জনপ্রিয়

যশোরে স্বর্ণের বারসহ আটক ১

যশোর

গায়ের রঙ ভিন্ন: সেই আফিয়ার পাশে মাতৃসেবা হাসপাতাল

প্রকাশের সময় : ০৮:৩৭:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
যশোর প্রতিনিধি 
সন্তানের গায়ের রঙ ভিন্ন হওয়ায় স্বামী কর্তৃক তালাকপ্রাপ্ত মনিরা খাতুন এবং তার শিশু কন্যা আফিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছে যশোরের একটি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান। মঙ্গলবার দুপুরে যশোর সদর উপজেলার বাজুয়াডাঙ্গা পশ্চিমপাড়ায় শিশুটির বাড়িতে গিয়ে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেন মাতৃসেবা হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিরুল ইসলাম।
গত ১০ নভেম্বর দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে শিশু আফিয়া ও তার মায়ের করুণ কাহিনী প্রকাশিত হওয়ার পর সমাজের বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান তাদের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। অনেকেই মনিরা খাতুনের জন্য একটি বসতঘর নির্মাণের পাশাপাশি শিশু আফিয়ার পড়াশোনার দায়িত্ব নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
জানা যায়, প্রায় পাঁচ বছর আগে যশোর সদর উপজেলার বাউলিয়া চাঁদপাড়া গ্রামের মজিদ মোল্লার ছেলে মোজাফফর হোসেনের সঙ্গে বাজুয়াডাঙ্গা পশ্চিমপাড়ার শহিদ মোল্লার মেয়ে মনিরা খাতুনের বিয়ে হয়। ২০২২ সালের ১৩ নভেম্বর মনিরা খাতুন শহরের মাতৃসেবা হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে একটি কন্যাসন্তান জন্ম দেন। শিশুটি আর পাঁচটা সাধারণ বাচ্চার মতো না হওয়ায় স্বামী মোজাফফর স্ত্রী ও মেয়েকে ত্যাগ করে প্রবাসে চলে যান এবং মিথ্যা অপবাদ দিয়ে মনিরা খাতুনকে তালাক দেন।
নির্যাতিতা মা মনিরা খাতুন জানান, গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হওয়ার পর তার স্বামী বিদেশ থেকে তাকে হুমকি দিচ্ছেন এবং তার নামে বিভিন্ন ফেসবুক পেজে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। এ ঘটনায় তিনি থানায় অভিযোগ করেছেন এবং পুলিশ সুপারের (এসপি) সাথে দেখা করেছেন। পুলিশ সুপার রওনক জাহান তাকে সার্বিক আইনি সহায়তা এবং ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে তার মেয়ের পরিচয় শনাক্ত করতে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
মাতৃসেবা হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিরুল ইসলাম জানান, শিশু আফিয়া তার প্রতিষ্ঠানেই জন্মগ্রহণ করেছিল। গণমাধ্যমের খবরে তাদের দুর্দশার কথা জানতে পেরে তিনি ব্যক্তিগতভাবে এই সহায়তা করেছেন এবং ভবিষ্যতেও এই সহযোগিতা অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন।