বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যশোরে শ্বেতফর্সা আফিয়ার ডিএনএ পরীক্ষা চেয়ে আদালতে আবেদন

যশোর প্রতিনিধি

যশোরে বাবা-হারা শিশু আফিয়ার পিতৃত্ব যাচাইয়ের জন্য ডিএনএ পরীক্ষার আবেদন করেছেন কোতোয়ালি থানার জিডি তদন্ত কর্মকর্তা। মঙ্গলবার আদালতে এই আবেদন করা হলেও শুনানির দিন এখনো নির্ধারিত হয়নি। এর আগে মঙ্গলবার রাতে আফিয়ার মা মনিরা বেগম থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

জানা যায়, যশোর সদর উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের বাজুয়াডাঙ্গা গ্রামের মনিরা বেগম পাঁচ বছর আগে যশোর বাউলিয়া চাঁনপাড়া এলাকার মজিদ মোল্লার ছেলে মোজাফফর হোসেনকে বিয়ে করেন। দুই বছর পর তাদের মেয়ে আফিয়ার জন্ম হয়। কিন্তু শিশুটি শ্বেতবর্ণ হওয়ায় মোজাফফর দাবি করেন আফিয়া তার সন্তান নয়। এ নিয়ে দাম্পত্য কলহের একপর্যায়ে তিনি মনিরাকে তালাক দেন। এরপর মনিরা মেয়েকে নিয়ে বাবার বাড়িতে থাকছেন। জিডিতে বলা হয়, মোজাফফর ভরণ–পোষণ দেন না এবং বিভিন্নজনের কাছে কুরুচিপূর্ণ কথাও বলেন।

কোতোয়ালি থানা সূত্র জানায়,বিষয়টি জানাজানি হলে পুলিশ সুপার রওনক জাহান আইনি সহায়তার নির্দেশ দেন। জিডির তদন্ত কর্মকর্তা এসআই দেবাশীষ হালদার জানান,আদালতের অনুমতি পেলে আফিয়া ও তার বাবার ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে। প্রয়োজনে দাদা বা চাচার ডিএনএ মিলিয়েও পিতৃত্ব নির্ধারণ করা যাবে।

সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে লেখালেখি হলে সারা দেশে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে দলের খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত আফিয়ার বাড়িতে গিয়ে উপহার দেন ও শিশুটির দায়িত্ব নেন। বিষয়টি পুলিশ সুপারও নজরে আনেন এবং তাৎক্ষণিক আইনি সহায়তার আশ্বাস দেন। এর ধারাবাহিকতায় শুরু হয়েছে আফিয়ার ডিএনএ পরীক্ষার প্রক্রিয়া।

জনপ্রিয়

পঞ্চগড়ে কৃষকের অধিকার ও অন্তর্ভুক্তিকরন এবং নারী ও শিশুর সহিংসতারোধে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত

যশোরে শ্বেতফর্সা আফিয়ার ডিএনএ পরীক্ষা চেয়ে আদালতে আবেদন

প্রকাশের সময় : ১০:১১:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫

যশোর প্রতিনিধি

যশোরে বাবা-হারা শিশু আফিয়ার পিতৃত্ব যাচাইয়ের জন্য ডিএনএ পরীক্ষার আবেদন করেছেন কোতোয়ালি থানার জিডি তদন্ত কর্মকর্তা। মঙ্গলবার আদালতে এই আবেদন করা হলেও শুনানির দিন এখনো নির্ধারিত হয়নি। এর আগে মঙ্গলবার রাতে আফিয়ার মা মনিরা বেগম থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

জানা যায়, যশোর সদর উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের বাজুয়াডাঙ্গা গ্রামের মনিরা বেগম পাঁচ বছর আগে যশোর বাউলিয়া চাঁনপাড়া এলাকার মজিদ মোল্লার ছেলে মোজাফফর হোসেনকে বিয়ে করেন। দুই বছর পর তাদের মেয়ে আফিয়ার জন্ম হয়। কিন্তু শিশুটি শ্বেতবর্ণ হওয়ায় মোজাফফর দাবি করেন আফিয়া তার সন্তান নয়। এ নিয়ে দাম্পত্য কলহের একপর্যায়ে তিনি মনিরাকে তালাক দেন। এরপর মনিরা মেয়েকে নিয়ে বাবার বাড়িতে থাকছেন। জিডিতে বলা হয়, মোজাফফর ভরণ–পোষণ দেন না এবং বিভিন্নজনের কাছে কুরুচিপূর্ণ কথাও বলেন।

কোতোয়ালি থানা সূত্র জানায়,বিষয়টি জানাজানি হলে পুলিশ সুপার রওনক জাহান আইনি সহায়তার নির্দেশ দেন। জিডির তদন্ত কর্মকর্তা এসআই দেবাশীষ হালদার জানান,আদালতের অনুমতি পেলে আফিয়া ও তার বাবার ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে। প্রয়োজনে দাদা বা চাচার ডিএনএ মিলিয়েও পিতৃত্ব নির্ধারণ করা যাবে।

সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে লেখালেখি হলে সারা দেশে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে দলের খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত আফিয়ার বাড়িতে গিয়ে উপহার দেন ও শিশুটির দায়িত্ব নেন। বিষয়টি পুলিশ সুপারও নজরে আনেন এবং তাৎক্ষণিক আইনি সহায়তার আশ্বাস দেন। এর ধারাবাহিকতায় শুরু হয়েছে আফিয়ার ডিএনএ পরীক্ষার প্রক্রিয়া।