
ইসলাম আমাদের শেখায়, প্রত্যেকটি দিন যেন আমরা আল্লাহর ইবাদত ও তার স্মরণে কাটাই। দিনের শুরুটা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি সকালে কিছু আমল করা বান্দার আত্মিক উন্নতির জন্য অত্যন্ত ফলপ্রসূ হতে পারে। জীবনকে আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টির পথে পরিচালিত করা একজন মুমিনের প্রধান লক্ষ্য।
আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.) সহজ কিন্তু কার্যকর আমলগুলো আমাদের সামনে রেখেছেন, যা আল্লাহর নৈকট্য লাভের এক অসাধারণ মাধ্যম। আজ আমরা দুটি সহজ, কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ আমল সম্পর্কে জানব, যা সকালে উঠে করতে পারলে দিনটি আল্লাহর রহমত ও বরকতে ভরপুর হয়ে উঠবে।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সকালে একশত বার ও সন্ধ্যায় একশত বার ‘সুবহা-নাল্লা-হি ওয়া বিহামদিহি’ পড়বে, কিয়ামতের দিন তার চেয়ে উৎকৃষ্ট কিছু কেউ নিয়ে আসতে পারবে না। তবে সে ব্যক্তি ছাড়া যে তার মত বলবে বা তার চেয়ে বেশি আমল করবে।’ (মুসলিম, হাদিস ২৬৯২)
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন যে, এক লোক নবী (সা.)-এর কাছে এসে বলল, হে আল্লাহর রাসুল! গত রাতে আমাকে একটা বিচ্ছু কামড় দেয়ায় কী কষ্টটাই না পেয়েছি! তিনি বললেন: তুমি যদি সন্ধ্যাকালে বলতে-
أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ (উচ্চারণ: আউজু বিকালিমা-তিল্লা-হিত তা-ম্মাতি মিন শাররি মা খালাক্বা।)
ফজরের পর পড়ার মতো ফজিলতপূর্ণ অনেক আমল রয়েছে। যেগুলো পড়ে মুমিন বান্দা নানা ধরনের উপকার লাভ করতে পারে। নিম্নে কতিপয় আমল উল্লেখ করা হলো-
জাহান্নাম থেকে মুক্তির দোয়া
জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে আল্লাহর ইবাদতে নিযুক্ত করার চেষ্টা একজন মুসলিমের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দিনের শুরুতে এই সহজ কয়েকটি আমল একজন মুমিনকে আল্লাহর নৈকট্য এবং তার রহমতের অধিকারী করবে। আমাদের সকলেরই উচিত, এই সুন্নত অনুসরণ করে প্রতিদিনের জীবনে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করার চেষ্টা করা। আল্লাহ আমাদেরকে এসব আমল পালন করার তাওফিক দান করুন। দয়াময় আল্লাহর অশেষ রহমত দিয়ে আমাদের জীবনের প্রতিটি দিনকে বরকতময় করুন। আমিন। —সময় সংবাদ
ধর্ম ডেস্ক 







































