
যশোর প্রতিনিধি
যশোরের মনিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জের রামপুর গ্রামের মামলাবাজ, সুদখোর, আদম ব্যবসায়ী, মাদককারবারি ও ‘নারী লোভী’ হিসেবে পরিচিত কাদেরের অপকর্মের বিচার দাবিতে প্রতিবাদ ও মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারসহ স্থানীয় শান্তিপ্রিয় এলাকাবাসী। শনিবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে মশ্মিমনগর ইউনিয়নের রামপুর মোড়ে ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে রামপুর গ্রামের শতাধিক নারী-পুরুষ ও শিশু উপস্থিত ছিলেন।
বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, কাদের দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম, সুদের কারবার, মাদক ব্যবসা ও নারীদের কুপ্রস্তাব দেওয়াসহ নানা অপকর্ম চালিয়ে আসছে। তাকে কোনো আলেম বা মসজিদগামী মানুষ সহ্য হয় না—অকারণে তাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে থাকে। নিরীহ মানুষদের ওপর মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা তার নিত্যদিনের কাজ বলে দাবি করেন তারা।
স্থানীয় মসজিদের ইমাম রাসেল হোসেন বলেন, “মসজিদে নামাজ পড়তে গেলে কাদের দেখতে পারে না। আলেমদের সবসময় অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে।”
গৃহবধূ মিতা খাতুন অভিযোগ করে বলেন, “কাদের বিভিন্ন সময়ে সুন্দরী নারীদের কুপ্রস্তাব দেয়। প্রস্তাবে রাজি না হলে নানা উপায়ে হয়রানি করে। তার অত্যাচারে এলাকায় চলাচল করাও কঠিন হয়ে পড়েছে।”
হাজী ইউনুচ গাজী জানান, সুদ, মাদক ও আদম ব্যবসা করে হঠাৎ বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন কাদের। তার বিরুদ্ধে কথা বলায় নিজের দুই ছেলেকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, “কাদের আদম ব্যবসার নামে বহু মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। বিদেশে পাঠানোর কথা বলে প্রতারণা করে। ভুক্তভোগীদের নিয়ে তার কাছে গেলে আমাকে পর্যন্ত অপমান করে।”
এলাকাবাসীরা জানান, মশ্মিমনগর ইউনিয়নের প্রায় শতাধিক মানুষ কাদেরের মামলায় হয়রানির শিকার হয়েছেন। অর্ধশতাধিক পরিবার ভয়ে বাড়িছাড়া হয়ে অন্যত্র বসবাস করছেন। তার অপকর্মের কারণে এলাকাবাসী সামাজিকভাবে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন তারা।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন ইউপি সদস্য মো. আসাদুজ্জামান আসাদ, হাজী ইউনুচ গাজী, ইমাম রাসেল হোসেন, ভুক্তভোগী গৃহবধূ সালমা ইসলাম ও মিতা খাতুন, সমাজসেবক আশরাফুল ইসলাম, হারুনসহ অনেকে। এলাকাবাসী কাদেরের বিরুদ্ধে দ্রুত প্রশাসনিক ব্যবস্থা ও সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
যশোর প্রতিনিধি 




































