মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঢাকার ৭টি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেনি বিএনপি, কী বলছেন নেতারা

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকায় ফাঁকা রাখা ৭টি আসনে প্রার্থিতা এখনো চূড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপি। আলোচনা রয়েছে, এসব আসনের বেশ কয়েকটি ছাড়া হতে পারে শরিক দলের প্রার্থীদের। তবে, বিপত্তি বেঁধেছে আরপিও সংশোধনীতে অন্য দলের প্রতীকে নির্বাচন বাতিলের নিয়মে। এর বিরোধিতা করছে বিভিন্ন দল। আর প্রতীক এবং দলগুলোর সঙ্গে কৌশল বিবেচনায় এসব আসনে দ্রুত প্রার্থী দেয়ার কথা বলছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

নানা ইস্যুতে বিতর্ক চললেও ভোট সামনে রেখে মাঠে বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা। অন্যান্য দলের পাশাপাশি বিভিন্ন সংসদীয় এলাকায় জনসংযোগে ব্যস্ত দেখা যাচ্ছে বিএনপি নেতাকর্মীদের।

 
গত ৩ নভেম্বর ২৩৭টি আসনে প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে বিএনপি। ৬৩টি আসনে প্রার্থিতার বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি দলটি। এর মধ্যে রয়েছে ঢাকার ৭টি আসনও। ঢাকা-৭, ৯, ১০, ১৩, ১৭, ১৮ এবং ২০ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা অপেক্ষার প্রহর গুনছেন চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের।
 
চাউর হয়েছে, ঢাকার এসব আসনের মধ্যে বেশ কয়েকটি আসন ছাড়া হতে পারে যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের। আলোচনায় আছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজসহ কয়েকজন। কয়েকটি আসনে আলোচনায় আছেন এনসিপি নেতা এবং সরকারের উপদেষ্টাও।
বিপত্তি বেঁধেছে আরপিও সংশোধনীতে অন্য দলের প্রতীক নিয়ে ভোট করার বিধান বাতিলে। বিএনপির সঙ্গে আসন সমঝোতায় আগ্রহী দলগুলো এর সমালোচনা করছে। নিজ দলের প্রতীকে ভোটে জয়ী হওয়া কঠিন মেনেই অনেকে উপায় খুঁজছেন ধানের শীষ নিয়ে ভোটে লড়ার।
 
তবে, রাজধানীতে অন্য দলের জন্য আসন ছাড়তে নারাজ বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। তাদের প্রত্যাশা, বিএনপি নেতাকর্মীদের কাছেই থাকবে ধানের শীষ।
 
ঢাকা- ১০ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী শেখ রবিউল আলম বলেন, এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ আসন। এটা অন্য কোনো নেতৃত্বের কাছে ছাড়া দেয়ার সুযোগ আছে বলে মনে করি না।
 
ঢাকা-১৮ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ঢাকা-১৮ আসনে একটি প্রবেশদ্বার। এটি অবশ্যই কোনো শরিকদের কাছে যাবে না। এটা দলের মধ্যেই থাকবে।
 
ফাঁকা রাখা আসনগুলোতে প্রচারে পিছিয়ে পড়ার কথা মানছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তার মতে, আরপিও সংশোধনী নতুন জটিলতা তৈরি করেছে। প্রতীক এবং দলগুলোর সঙ্গে কৌশল বিবেচনায় নিয়ে এসব আসনে দ্রুত প্রার্থী দেয়ার কথা বলছেন তিনি।
 
মির্জা আব্বাস বলেন, ফাঁকা আসনগুলোতে স্বাভাবিকভাবে যে প্রার্থী নির্বাচনে আসবেন, তিনি পিছিয়ে থাকবেন। সেখানে কীভাবে নির্বাচন করা হবে, পলিসি কী হবে, আলোচনায় মিলবে কি না, আরপিও সংশোধনীর মাধ্যমে তো জটিলতা সৃষ্টি হয়েই গেছে– এ ব্যাপারে আমাদের চেয়ারম্যান চিন্তাভাবনা করছেন। আমরাও ভাবছি। পরবর্তী সভায় সেটির সিদ্ধান্ত হয়ে যাবে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির সঙ্গে আসন সমঝোতায় আগ্রহী দলের তালিকায় রয়েছে ৮ দলের মোর্চা গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, সমমনা জোট, গণ অধিকার পরিষদ, এনডিএম, বিজেপিসহ নিবন্ধিত-অনিবন্ধিত ৪০টির মতো রাজনৈতিক দল। –সময় সংবাদ
জনপ্রিয়

আর্থিক সাহায্য চেয়ে জারার পোস্ট, সাত ঘণ্টায় পেলেন যত লাখ টাকা

ঢাকার ৭টি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেনি বিএনপি, কী বলছেন নেতারা

প্রকাশের সময় : ১২:০৬:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫

ঢাকায় ফাঁকা রাখা ৭টি আসনে প্রার্থিতা এখনো চূড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপি। আলোচনা রয়েছে, এসব আসনের বেশ কয়েকটি ছাড়া হতে পারে শরিক দলের প্রার্থীদের। তবে, বিপত্তি বেঁধেছে আরপিও সংশোধনীতে অন্য দলের প্রতীকে নির্বাচন বাতিলের নিয়মে। এর বিরোধিতা করছে বিভিন্ন দল। আর প্রতীক এবং দলগুলোর সঙ্গে কৌশল বিবেচনায় এসব আসনে দ্রুত প্রার্থী দেয়ার কথা বলছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

নানা ইস্যুতে বিতর্ক চললেও ভোট সামনে রেখে মাঠে বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা। অন্যান্য দলের পাশাপাশি বিভিন্ন সংসদীয় এলাকায় জনসংযোগে ব্যস্ত দেখা যাচ্ছে বিএনপি নেতাকর্মীদের।

 
গত ৩ নভেম্বর ২৩৭টি আসনে প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে বিএনপি। ৬৩টি আসনে প্রার্থিতার বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি দলটি। এর মধ্যে রয়েছে ঢাকার ৭টি আসনও। ঢাকা-৭, ৯, ১০, ১৩, ১৭, ১৮ এবং ২০ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা অপেক্ষার প্রহর গুনছেন চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের।
 
চাউর হয়েছে, ঢাকার এসব আসনের মধ্যে বেশ কয়েকটি আসন ছাড়া হতে পারে যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের। আলোচনায় আছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজসহ কয়েকজন। কয়েকটি আসনে আলোচনায় আছেন এনসিপি নেতা এবং সরকারের উপদেষ্টাও।
বিপত্তি বেঁধেছে আরপিও সংশোধনীতে অন্য দলের প্রতীক নিয়ে ভোট করার বিধান বাতিলে। বিএনপির সঙ্গে আসন সমঝোতায় আগ্রহী দলগুলো এর সমালোচনা করছে। নিজ দলের প্রতীকে ভোটে জয়ী হওয়া কঠিন মেনেই অনেকে উপায় খুঁজছেন ধানের শীষ নিয়ে ভোটে লড়ার।
 
তবে, রাজধানীতে অন্য দলের জন্য আসন ছাড়তে নারাজ বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। তাদের প্রত্যাশা, বিএনপি নেতাকর্মীদের কাছেই থাকবে ধানের শীষ।
 
ঢাকা- ১০ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী শেখ রবিউল আলম বলেন, এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ আসন। এটা অন্য কোনো নেতৃত্বের কাছে ছাড়া দেয়ার সুযোগ আছে বলে মনে করি না।
 
ঢাকা-১৮ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ঢাকা-১৮ আসনে একটি প্রবেশদ্বার। এটি অবশ্যই কোনো শরিকদের কাছে যাবে না। এটা দলের মধ্যেই থাকবে।
 
ফাঁকা রাখা আসনগুলোতে প্রচারে পিছিয়ে পড়ার কথা মানছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তার মতে, আরপিও সংশোধনী নতুন জটিলতা তৈরি করেছে। প্রতীক এবং দলগুলোর সঙ্গে কৌশল বিবেচনায় নিয়ে এসব আসনে দ্রুত প্রার্থী দেয়ার কথা বলছেন তিনি।
 
মির্জা আব্বাস বলেন, ফাঁকা আসনগুলোতে স্বাভাবিকভাবে যে প্রার্থী নির্বাচনে আসবেন, তিনি পিছিয়ে থাকবেন। সেখানে কীভাবে নির্বাচন করা হবে, পলিসি কী হবে, আলোচনায় মিলবে কি না, আরপিও সংশোধনীর মাধ্যমে তো জটিলতা সৃষ্টি হয়েই গেছে– এ ব্যাপারে আমাদের চেয়ারম্যান চিন্তাভাবনা করছেন। আমরাও ভাবছি। পরবর্তী সভায় সেটির সিদ্ধান্ত হয়ে যাবে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির সঙ্গে আসন সমঝোতায় আগ্রহী দলের তালিকায় রয়েছে ৮ দলের মোর্চা গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, সমমনা জোট, গণ অধিকার পরিষদ, এনডিএম, বিজেপিসহ নিবন্ধিত-অনিবন্ধিত ৪০টির মতো রাজনৈতিক দল। –সময় সংবাদ