মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুয়েতে ব্রেইন স্ট্রোকে প্রবাসী কাসেমের মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

কথা ছিল দেশে ফিরে পরিবারের সঙ্গে ঈদ করবেন। দীর্ঘদিন পর আপনজনদের মুখে হাসি ফোটাবেন। কিন্তু সব পরিকল্পনা থামিয়ে দিল মৃত্যু। কুয়েতে ব্রেইন স্ট্রোকে মারা গেলেন কাসেম নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশি।

চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের ছত্তরয়া গ্রামের এই পরিশ্রমী মানুষটি কুয়েতের একটি বাড়ির দেখাশোনার কাজ করতেন। স্বল্প আয়ের জীবনে স্বপ্ন ছিল ডিসেম্বরে দেশে ফিরে পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করবেন।

 সেই আশায় হাতে নিয়েছিলেন কুয়েত এয়ারওয়েজের রিটার্ন টিকিটও। কিন্তু কে জানত প্রিয়জনদের সঙ্গে দেখা হওয়ার আগেই তাকে ফিরতে হবে নিথর দেহ হয়ে।
গত রোববার (২৩ নভেম্বর) কুয়েতের জাহারার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন কাসেম। মৃত্যুর আগে কয়েকদিন ধরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সহকর্মীরা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন।
 
মৃত প্রবাসীর সহকর্মীরা বলেন, কাশেম খুবই শান্ত-ভদ্র মনের মানুষ ছিলেন। ডিসেম্বরে দেশে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে ঈদ করবেন এই আনন্দেই দিন গুনছিলেন।
 
তারা জানান, স্থানীয় আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে জাহারায় প্রথম জানাজা শেষে,  মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) রাতে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে মরদেহ পাঠানো হয়েছে দেশে। অপেক্ষায় থাকা তার পরিবার কাসেমকে শেষবারের মতো দেখবেন, তবে জীবিত নয়, মৃত। 
জনপ্রিয়

আকাশে ইতিহাস রচনা করলো তুরস্ক

কুয়েতে ব্রেইন স্ট্রোকে প্রবাসী কাসেমের মৃত্যু

প্রকাশের সময় : ০৩:৫৩:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫

কথা ছিল দেশে ফিরে পরিবারের সঙ্গে ঈদ করবেন। দীর্ঘদিন পর আপনজনদের মুখে হাসি ফোটাবেন। কিন্তু সব পরিকল্পনা থামিয়ে দিল মৃত্যু। কুয়েতে ব্রেইন স্ট্রোকে মারা গেলেন কাসেম নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশি।

চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের ছত্তরয়া গ্রামের এই পরিশ্রমী মানুষটি কুয়েতের একটি বাড়ির দেখাশোনার কাজ করতেন। স্বল্প আয়ের জীবনে স্বপ্ন ছিল ডিসেম্বরে দেশে ফিরে পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করবেন।

 সেই আশায় হাতে নিয়েছিলেন কুয়েত এয়ারওয়েজের রিটার্ন টিকিটও। কিন্তু কে জানত প্রিয়জনদের সঙ্গে দেখা হওয়ার আগেই তাকে ফিরতে হবে নিথর দেহ হয়ে।
গত রোববার (২৩ নভেম্বর) কুয়েতের জাহারার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন কাসেম। মৃত্যুর আগে কয়েকদিন ধরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সহকর্মীরা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন।
 
মৃত প্রবাসীর সহকর্মীরা বলেন, কাশেম খুবই শান্ত-ভদ্র মনের মানুষ ছিলেন। ডিসেম্বরে দেশে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে ঈদ করবেন এই আনন্দেই দিন গুনছিলেন।
 
তারা জানান, স্থানীয় আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে জাহারায় প্রথম জানাজা শেষে,  মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) রাতে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে মরদেহ পাঠানো হয়েছে দেশে। অপেক্ষায় থাকা তার পরিবার কাসেমকে শেষবারের মতো দেখবেন, তবে জীবিত নয়, মৃত।