
দেশের শীর্ষস্থানীয় জাতীয় পত্রিকায় বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) প্রকাশিত কিছু খবর নিচে তুলে ধরা হলো।
প্রথম আলোর প্রথম পাতার খবর— ‘‘ফ্রিল্যান্সিং ও এআই প্রশিক্ষণ/ ‘পলক–স্টাইল’ প্রকল্প এবার যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে’’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তরুণদের আইটি দক্ষতা বাড়াতে আগের আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রকল্প নেওয়া হয়। এসব প্রকল্পে নামমাত্র প্রশিক্ষণ, অদক্ষতা ও অনিয়মের অভিযোগ ছিল। অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর আইসিটি বিভাগ নতুন প্রকল্প না নিলেও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর দুটি নতুন প্রকল্প হাতে নিয়েছে—একটি ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ (৩০০ কোটি টাকা) এবং আরেকটি প্রাথমিক ও উন্নত এআই প্রশিক্ষণের প্রকল্প (৪৬ কোটি টাকা)।

যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর বলছে, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এআই দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতেই নতুন প্রকল্প নেওয়া হয়েছে এবং বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে কাঠামো তৈরি করা হয়েছে। তবে আগের প্রকল্পগুলোর মূল্যায়ন না করে নতুন প্রকল্প নেওয়ায় কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, অভিজ্ঞতা ভালো না হওয়ায় এবার প্রকল্প বাস্তবায়ন কতটা ফল দেবে, তা নিশ্চিত নয়।
’ভোটার হননি তারেক রহমান, ফিরবেন মধ্য ডিসেম্বরে’ — সমকালের প্রথম পাতার খবরে শিরোনাম এটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এখনও ভোটার নন। দলীয় সূত্র জানিয়েছে, আগামী মাসের মধ্যভাগে দেশে ফিরে তিনি ভোটার হবেন। নির্বাচন কমিশন (ইসি) জানায়, বয়সসীমা পূরণ থাকা সত্ত্বেও কেউ ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়লে যে কোনো সময় আবেদন করে ভোটার হতে পারেন। তবে যারা নতুন ভোটার হওয়ার সময়সীমা (৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ১৮ বছর) মিস করেছেন, তাদের এখন আর অন্তর্ভুক্তির সুযোগ নেই। যেহেতু তারেক রহমান নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণা দিয়েছেন, তাই মনোনয়নপত্র জমার আগেই তাঁকে ভোটার হতে হবে।

দলীয় সূত্র বলছে, তারেক রহমানের দেশে ফেরার দিন রাজধানীতে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী জড়ো হবেন। দীর্ঘ ১৭ বছর লন্ডনে অবস্থানের পর তাঁর ফেরাকে দলটি রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হিসেবে দেখছে।
মানবজমিনের প্রথম পাতার খবর— ‘কড়াইল বস্তিতে কেন বারবার আগুন?’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে অগ্নিকাণ্ড যেন নিত্যঘটনা। দুর্বল অবকাঠামো, অবৈধ গ্যাস–বিদ্যুৎ সংযোগ, পুরোনো তার, অসচেতনতা—বিভিন্ন তদন্তে এসবই আগুনের প্রধান কারণ হিসেবে উঠে এসেছে। কেউ কেউ নাশকতার অভিযোগও তুলছেন। ফায়ার সার্ভিসের মতে, কড়াইলসহ বেশির ভাগ বস্তির আগুন বৈদ্যুতিক ত্রুটি থেকেই শুরু হয়।

যুগান্তরের প্রথম পাতার প্রধান খবরের শিরোনাম— ‘নির্বাচিত সরকারের জন্য অশনিসংকেত/ লুটপাটে বিধ্বস্ত ব্যাংক খাত’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের ব্যাংক খাত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়কার লুটপাটের ভারে নাজুক হয়ে পড়েছে—বিশ্লেষকদের এমন মন্তব্যই এখন বেশি আলোচিত। ঋণ বিতরণে অনিয়ম, অবলোপন, নবায়ন ও দীর্ঘকাল আদালতে ঝুলে থাকা মামলার কারণে খেলাপি ঋণ রেকর্ড পরিমাণে বেড়েছে। বর্তমানে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৬ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকায়, যা মোট বিতরণকৃত ঋণের ৩৫% এর বেশি। সরকার পরিবর্তনের পর গত এক বছরেই খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৪ লাখ কোটি টাকারও বেশি।

অর্থনীতিবিদদের মতে, প্রকৃত খেলাপি ঋণ ৪০% ছাড়িয়ে যেতে পারে। নতুন সরকারের সামনে তাই বড় চ্যালেঞ্জ—বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বাড়ানো। কিন্তু উচ্চ সুদের হার, পুঁজি সংকট এবং ব্যাংকের ওপর আস্থাহীনতা বড় বাধা হয়ে দাঁড়াবে। বিশ্লেষকরা বলছেন, শীর্ষ খেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নিলে এ সঙ্কট থেকে দেশ বের হতে পারবে না।
কালের কণ্ঠের শেষের পাতার খবর— ‘মব-সন্ত্রাসে ১০ মাসে নিহত ১৪০’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মানবাধিকার সংস্থাগুলোর পরিসংখ্যান বলছে, দেশে মব সহিংসতা ও গণপিটুনির ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে ২৫৬টি ঘটনায় ১৪০ জন নিহত ও ২৩১ জন আহত হয়েছে—এ সংখ্যা আগের দুই বছরকে ছাড়িয়ে গেছে। আসক ও এইচআরএসএসের হিসাবে গত ১২ বছর ১০ মাসে গণপিটুনিতে প্রাণ হারিয়েছেন এক হাজারের বেশি মানুষ, যার বেশির ভাগই ঢাকা বিভাগে। ছেলেধরা সন্দেহ, চুরি–ডাকাতির অভিযোগ, রাজনৈতিক বিভাজন ও ধর্ম অবমাননার গুজব—এসব নানা কারণে গণপিটুনি ঘটছে।

বার্তাকণ্ঠ ডেস্ক 






























